বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো:
অবশেষে মোংলা কাস্টমস হাউস খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে স্থানান্তর পক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কাস্টমসের দুইটি ইউনিট গত কয়েক দিন ধরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ভবনের কয়েকটি কক্ষে তাদের কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে আমদানী-রপ্তানীকারকদের সেবা দিতে শুরু করেছেন। এতে করে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি খুলনা থেকে মোংলা কাস্টমস হাউজ মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন কাস্টমস হাউস মোংলায় স্থানান্তরের দাবি ও সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে শেষ পর্যন্ত নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে খুলনা থেকে মোংলা কাস্টমস হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্স এর মালিক এইচ এম দুলাল বলেন, মুলত মোংলা কাস্টমস হাউস খুলনায় থাকাতে ব্যবসায়ীদেরকে একবার মোংলা-একবার খুলনা এভাবে যাতায়াত ও হয়রানী এবং ভোগান্তীর শিকার হতে হতো। এতে সময় ও কাজের চরম ব্যাঘাত ঘটত। এখন থেকে সময়ও বাজবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ কর্ম সারা যাবে। দীর্ঘদিন পরে হলেও ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাস্টমস হাউস মোংলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীরা সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
মোংলা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাস্টমস হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের কাজ চলছে। সম্প্রতি বন্দরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ভবনের বিশেষ করে আমদানীকৃত রিকন্ডিশন গাড়ি ও রপ্তানি পণ্য শুল্কায়নের দুইটি ইউনিটনের ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ শুরু করেছেন। রুম স্বল্পতার কারণে একসাথে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম এখানে শুরু করা যাচ্ছে না। অল্প সময়ের মধ্যে কাস্টমসের পুরো হাউস এখানে চলে আসবে এবং সেই প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে কাস্টমস কমিশনার মারগুব আহম্মেদ আপাতত ব্যবহারের জন্য কাস্টমসে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া ভবন ঘুরে দেখে গেছেন। বর্তমানে এখানে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকলেও এটিকে আরো ব্যাপক পরিসরে আনতে হবে তা না হলে ব্যাংকিং সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে না। তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত গাড়ি থেকেই প্রায় ৭২ থেকে ৮০ ভাগ শুল্কায়ন ও পাট, পাটজাত দ্রব্য এবং হিমায়িত চিংড়ির একটি বড় অংশের শুল্কায়ন তুলনামুলক বেশি হয়ে থাকে। সেজন্য প্রথম পর্যায়ে গাড়ী ও রপ্তানি শুল্কায়ন স্থানান্তর করা হয়েছে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: মারগুব আহম্মেদ বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিদের্শে খুলনা থেকে কাস্টমস হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমদানীকৃত গাড়ি ও রপ্তানি শুল্কায়নের প্রধান দুইটি ইউনিট মোংলা বন্দরে স্থানাস্তরিত হয়েছে এবং সেখানে তারা কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা পুরো হাউসকে মোংলা বন্দরে নিয়ে যেতে পারবো। এছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া জায়গার উপর কাস্টমসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, বন্দরের প্রধান গেইট সংলগ্ন নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ভবনে কাস্টমসকে জায়গা দেয়া হয়েছে। তারা সেখানে কাজও শুরু করেছেন। এতে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এক জায়গায় বসে বন্দরের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন আমদানি-রপ্তানিকারকেরা।
মোংলায় স্থাপিত হচ্ছে
মোংলা বন্দর কাস্টম হাউস
বি এম রাকিব হাসান, খুলনা ব্যুরো:
অবশেষে মোংলা কাস্টমস হাউস খুলনা থেকে মোংলা বন্দরে স্থানান্তর পক্রিয়া শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে কাস্টমসের দুইটি ইউনিট গত কয়েক দিন ধরে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া ট্রাফিক ও নিরাপত্তা ভবনের কয়েকটি কক্ষে তাদের কার্যক্রমের মধ্যদিয়ে আমদানী-রপ্তানীকারকদের সেবা দিতে শুরু করেছেন। এতে করে ব্যবসায়ীদের দীর্ঘদিনের দাবি খুলনা থেকে মোংলা কাস্টমস হাউজ মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের দাবি পূরণ হতে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন কাস্টমস হাউস মোংলায় স্থানান্তরের দাবি ও সিদ্ধান্ত হয়ে থাকলে শেষ পর্যন্ত নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের যৌথ সিদ্ধান্তে খুলনা থেকে মোংলা কাস্টমস হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের কার্যক্রম শুরু হয়েছে।
মোংলা বন্দর ব্যবহারকারী মেসার্স নুরু এন্ড সন্স এর মালিক এইচ এম দুলাল বলেন, মুলত মোংলা কাস্টমস হাউস খুলনায় থাকাতে ব্যবসায়ীদেরকে একবার মোংলা-একবার খুলনা এভাবে যাতায়াত ও হয়রানী এবং ভোগান্তীর শিকার হতে হতো। এতে সময় ও কাজের চরম ব্যাঘাত ঘটত। এখন থেকে সময়ও বাজবে এবং দ্রুত সময়ের মধ্যে কাজ কর্ম সারা যাবে। দীর্ঘদিন পরে হলেও ব্যবসায়ীদের দাবির প্রেক্ষিতে এবং নৌ পরিবহন মন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাস্টমস হাউস মোংলায় আনার প্রক্রিয়া শুরু হওয়ায় আমরা ব্যবসায়ীরা সরকারকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।
মোংলা কাস্টমস হাউসের সহকারী কমিশনার শরীফ মোহাম্মদ ফয়সাল বলেন, সিদ্ধান্ত অনুযায়ী কাস্টমস হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের কাজ চলছে। সম্প্রতি বন্দরের নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ভবনের বিশেষ করে আমদানীকৃত রিকন্ডিশন গাড়ি ও রপ্তানি পণ্য শুল্কায়নের দুইটি ইউনিটনের ২০ কর্মকর্তা-কর্মচারী কাজ শুরু করেছেন। রুম স্বল্পতার কারণে একসাথে সকল দাপ্তরিক কার্যক্রম এখানে শুরু করা যাচ্ছে না। অল্প সময়ের মধ্যে কাস্টমসের পুরো হাউস এখানে চলে আসবে এবং সেই প্রস্তুতি চলছে। প্রস্তুতির অংশ হিসেবে গত সপ্তাহে কাস্টমস কমিশনার মারগুব আহম্মেদ আপাতত ব্যবহারের জন্য কাস্টমসে মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া ভবন ঘুরে দেখে গেছেন। বর্তমানে এখানে ব্যাংকিং ব্যবস্থা থাকলেও এটিকে আরো ব্যাপক পরিসরে আনতে হবে তা না হলে ব্যাংকিং সুবিধা দেয়া সম্ভব হবে না। তিনি আরো বলেন, মোংলা বন্দর দিয়ে আমদানীকৃত গাড়ি থেকেই প্রায় ৭২ থেকে ৮০ ভাগ শুল্কায়ন ও পাট, পাটজাত দ্রব্য এবং হিমায়িত চিংড়ির একটি বড় অংশের শুল্কায়ন তুলনামুলক বেশি হয়ে থাকে। সেজন্য প্রথম পর্যায়ে গাড়ী ও রপ্তানি শুল্কায়ন স্থানান্তর করা হয়েছে।
মোংলা কাস্টমস হাউসের কমিশনার মো: মারগুব আহম্মেদ বলেন, নৌ পরিবহন মন্ত্রনালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নিদের্শে খুলনা থেকে কাস্টমস হাউস মোংলা বন্দরে স্থানান্তরের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে আমদানীকৃত গাড়ি ও রপ্তানি শুল্কায়নের প্রধান দুইটি ইউনিট মোংলা বন্দরে স্থানাস্তরিত হয়েছে এবং সেখানে তারা কাজ করছেন। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমরা পুরো হাউসকে মোংলা বন্দরে নিয়ে যেতে পারবো। এছাড়া মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের দেয়া জায়গার উপর কাস্টমসের নিজস্ব ভবন নির্মাণের কাজ শীঘ্রই শুরু হবে বলেও জানান তিনি।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান কমডোর একেএম ফারুক হাসান বলেন, বন্দরের প্রধান গেইট সংলগ্ন নিরাপত্তা ও ট্রাফিক ভবনে কাস্টমসকে জায়গা দেয়া হয়েছে। তারা সেখানে কাজও শুরু করেছেন। এতে ব্যবসায়ীরা উপকৃত হবেন। এক জায়গায় বসে বন্দরের সকল সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারবেন আমদানি-রপ্তানিকারকেরা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply