মোঃ ইলিয়াছ মোল্লাঃ যশোর জেলা সদরের গোবিন্দপুর এলাকায় স্বামী সহ তার পরিবারের সদস্যদের শারীরিক ও মানুষিক নির্যাতন সইতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে এক গৃহবধু আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ২২ ফেব্রুয়ারী ২০১৮ইং সকাল ৮টার দিকে সালেহা(২২) নামের ঐ গৃহবধু স্বামীর বাড়ীর নিজ শয়ন কক্ষে আড়ার সাথে ওড়না দ্বারা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। খবর পেয়ে কতোয়ালী থানা পুলিশ গৃহবধুর লাস উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল মর্গে প্রেরন করে ।
নিহত সালেহার পরিবারের বরাত দিয়ে, নিহতের ভাগিনা জসিম উদ্দীন এই পতিবেদককে জানান গত প্রায় পাচঁ বছর পূর্বে পার্শ্ববর্তী চুয়াডাঙ্গা জেলার, জীবননগর থানার, বাড়ান্দী গ্রামের মৃত আব্দুল হক দেওয়ানের মেয়ে সালেহার বিয়ে হয় যশোর জেলা সদরের গোবিন্দপুর গ্রামের গফর আলীর ছেলে আবুল কালাম এর সাথে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য বিভিন্ন ভারে শারিরিক ও মানসিক নির্যাতন করে আসত সালেহার স্বামী আবুল কালাম সহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা।এসব বিষয় নিয়ে এলাকায় বেশ কয়েক বার স্থানীয় ভাবে বিচার স্বালীসও হয়। কিন্তু পাষন্ডদের অত্যাচার কোন প্রকারেই কমছিল না।এভাবে ৩ বছর কাটার পড় সালেহার কোল জুড়ে ফুটফুটে এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয় এবং নাম রাখা হয় সামিরুল। সন্তানের মুখের দিকে তাকিয়ে যৌতুক লোভি পাষন্ডদের অত্যাচার মুখবুজে সহ্য করে সালেহা।এভাবে কেটে যায় প্রায় ২বছর। বর্তমানে সালেহার প্রতি নির্যাতনের মাত্রা এতোই বেশী বেড়ে যায় যে সালেহার পক্ষে সহ্য করা সম্ভব ছিল না, তাই সে নিজেকে নির্যাতনের হাত থেকে বাচাতে আত্নহত্যা করেছে, তিনি আরো বলেন ফাসঁ থেকে লাস নামানোর পরেও সালেহার কপাল সহ শরিরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল।এথেকেই বুঝা যায় নির্যাতনের কারনেই সে আত্নহত্যা করেছে।এব্যাপারে যানতে যশোর কতোয়ালী থানায় যোগাযোগ করা হলে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আজমল হুদা জানান, আমরা সালেহার লাস উদ্ধার করে যশোর মেডিকেল মর্গে প্রেরন করেছি এবং এব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলা রুজু করা হয়েছে।মেডিকেল রির্পোট হাতে পেলে পরর্বতী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply