বৃহস্পতিবার, ২৩ মার্চ ২০২৩, ০৯:২৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
গাজীপুরে মেয়র পদপ্রার্থী রাসেল সরকারের উদ্যোগে ইফতার সামগ্রী বিতরণ নড়াইলে চোর চক্রের ৬ সদস্যকে গ্রেফতার, জেলা পুলিশ সুপারের সংবাদ সম্মেলন মানিকগঞ্জে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা ইএসডিও-রেসকিউ প্রকল্পের উদ্যোগে উদ্যোক্তা ও স্টেকহোল্ডারদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত পবিত্র মাহে রমজান ও আসন্ন ঈদ-উল ফিতর উপলক্ষে আইন শৃংঙ্খলা ও নিরাপত্তা সংক্রান্ত মতবিনিময় সভা সমাজের সকল মতাদর্শের মানুষের কাছে একজন দক্ষ ও পরিশ্রমী চেয়ারম্যান খোকা স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি বাচ্চু মন্ডলের পদত্যাগ দাবীতে শিক্ষার্থীদের মিছিল সাতক্ষীরায় ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমির দলিল ও চাবি হস্তান্তর বাগেরহাটের মোংলায় আ’লীগ নেতার বিরুদ্ধে কৃষি জমি দখলের অভিযোগ, প্রতিবাদে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ শ্রীবরদীতে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারের মাঝে জমিসহ গৃহ হস্তান্তর

যুগোশ্লাভিয়ার ভয়াবহ পরিণতি দেখে শেখা উচিত মিয়ানমারের

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০১৭
  • ৩৫ Time View

সশস্ত্র গোষ্ঠী আরাকান রোহিঙ্গা সালভেশন আর্মি (আরসা) ও মিয়ানমারের পুলিশের মধ্যে গত ২৫ আগস্ট থেকে শুরু হওয়া সংঘাত আরও জটিল রূপ ধারণ করেছে। আরসা যুদ্ধবিরতির প্রস্তাব দিলেও মিয়ানমার সরকার তা অগ্রাহ্য করেছে।

তাদের বক্তব্য, সন্ত্রাসীদের সঙ্গে কোনো আলোচনা নয়।

এই সমস্যা যদি এখনই মিটিয়ে ফেলা না হয় তবে নতুন করে সংঘাত শুরু হয়ে যেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম মিজিমা।

কয়েকটি সংবাদমাধ্যমের উদ্ধৃতি দিয়ে মিজিমা জানায়, রাখাইনের এ সংঘাত যুগোশ্লাভিয়ার মতো পরিণতি ডেকে আনতে পারে। বিংশ শতাব্দীর শেষ দিকে দীর্ঘ সময় ধরে চলা সংঘাত থেকে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধে দেশটির জনগণ মানবেতর সমস্যায় পতিত হয় এবং শেষে বৃহৎ দেশটি খণ্ড-বিখণ্ড হয়ে যায়। ওই গৃহযুদ্ধে আমেরিকা, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও ন্যাটো বাহিনীও গভীরভাবে জড়িয়ে পড়ে। ১৯৯০ সালে ন্যাটো বাহিনী ‘মানবিক দুর্যোগ  প্রতিরোধ’র দোহাই দিয়ে যুগোশ্লাভিয়ায় ৭৮ দিন ধরে বোমাবর্ষণ করে। এর ফলে যগোশ্লাভিয়ার সরকার আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয় এবং স্বাধীন কসোভো রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে চলা জাতিগোষ্ঠীগুলোর মধ্যকার সংঘাতের কারণে মিয়ানমারকেও সমাজতান্ত্রিক দেশ যুগোশ্লাভিয়ার পরিণতি বরণ করতে হতে পারে। আর তা না চাইলে রাখাইনের চলমান সংকটের অবসান ঘটাতে হবে। কারণ সংকট অবসানে কোনো পদক্ষেপ না নেয়া হলেও তার নেতিবাচক প্রভাব বহুদিক থেকে মিয়ানমারেই পড়বে এবং যার পরিণাম হবে ভয়াবহ।

মিয়ানমারের পশ্চিমে রাখাইন রাজ্য অবস্থিত। যার অধিকাংশ বাসিন্দাই দেশের সংখ্যালগু মুসলিম রোহিঙ্গা। দশকের পর দশক ধরে বৌদ্ধদের সঙ্গে তাদের সংঘাত চলছে যার শেকড় অনেক গভীর প্রোথিত। শুধু দুটি ভিন্ন ধর্মবিশ্বাসের জন্যই নয়, সীমিত রাষ্ট্রীয় ও সামাজিক সম্পদ, জমি এবং কর্মসংস্থানের সুবিধা নিয়ে তারা দীর্ঘ সময় ধরে লড়াই করে আসছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়