হাবিব সরকার স্বাধীনঃ
ঢাকা সাভার উপজেলার আশুলিয়ার ৪ নং ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের তিন বারের নির্বাচিত ও স্বর্ণপদকপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ মাস্টারের মৃত্যুতে গত ২৯ ডিসেম্বর উপনির্বাচনে বিজয়ী হয়েছেন চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন আহমেদ ভুঁইয়া।
যোগ্য বাবার যোগ্য সন্তান এমনটাই প্রমাণ করলেন সুমন ভূঁইয়া এলাকাবাসীর দাবি বাবার সন্তান বাবার মতই যা প্রশংসা করার মতো। আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ সুমন আহমেদ। বাবার মৃত্যুর পর জনগণের ভালোবাসায় চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে জনপ্রিয়তায় এগিয়ে ছিলেন তিনি। সর্বশেষ বিজয়ের মালা তিনিই পড়লেন। স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, বিগত দিনে বাবার সাথে থেকে সাধারণ মানুষের সেবা ও এলাকার ব্যাপক উন্নয়নের কারণে সাধারণ মানুষ যোগ্য ব্যক্তি হিসেবে তাকে চেয়ারম্যান হিসেবে ভোট দিয়ে বিজয় করেছেন।
সাধারণ ভোটাররা জানান, তাদের সব বিপদে-আপদে এগিয়ে আসতেন চেয়ারম্যান সৈয়দ আহমেদ ভূঁইয়া এবং তার ছেলে সৈয়দ সুমন আহমেদ ভূঁইয়া। তাই এ উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে গত ২৯ ডিসেম্বরে উপ-নির্বাচনে তাকে এলাকাবাসীরা ভোট দিয়ে চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত করেছেন।
চেয়ারম্যান সুমন আহমেদ ভূঁইয়া বলেন, আমার বাবা চেয়ারম্যান হওয়ার পর থেকে বর্তমান সরকারের সহযোগিতায় এই ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্নকে সফল করতে বাবার সাথে আমিও কাজ করে এসেছি । তাই বাবার অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার জন্য জনগণের ভালোবাসায় আজ আমি চেয়ারম্যান হতে পেরেছি।
আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনে ৪২টি কেন্দ্রের প্রাপ্ত ফলাফলে স্বতন্ত্র পার্থী (আনারস) সুমন আহম্মেদ ভূইয়া ২৯৮৯ ভোট বেশী পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। নির্বাচনে আনারস প্রতীকে স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন আহম্মেদ ভূইয়া পেয়েছেন ১১,৫৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বি নৌকা প্রতিকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন মুসা পেয়েছেন ৮৫৬০ ভোট।
এর আগে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়াই দিনব্যাপী সুষ্ঠু পরিবেশে ভোট অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল সাড়ে ৮টা থেকে শুরু হয়ে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট প্রদান করেন ভোটাররা। স্থানীয় কারখানাগুলোতে ছুটি না দেয়া ভোট কেন্দ্রগুলোতে ভোটারদের উপস্থিতি কম লক্ষ্য করা গেছে। সরেজমিনে আশুলিয়ার জামগড়া, নরসিংহপুর, নিশ্চিন্তপুর, গোরাট, ইয়ারপুর ও তৈয়বপুর এলাকা ঘুরে দেখা যায়, অজস্র বাঁধা অতিক্রম করে সাফল্য হয়েছেন সুমন সমর্থকরা। নির্বাচনের সময় কয়েকটি বাধার সম্মুখীন হয়েছেন সুমন সমর্থকরা। স্থানীয় আরিফ মাদবর ও তার বাবা সাবেক শাহাবুদ্দিন মাদবর নৌকা প্রতীকের পক্ষে প্রভাব বিস্তার করে। এসময় তারা বাড়ি বাড়ি থেকে ভোটারদের ধরে নিয়ে এসে টাকা দিয়ে ভোটকেন্দ্রে নিয়ে ভোট প্রদানে উৎসাহিত করে। এঘটনায় দুপুরের পরে ওই কেন্দ্রে পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটনা ঘটে। পড়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ভোটকেন্দ্রটিতে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।
এছাড়া কেন্দ্রের বাহিরে মোটরসাইকেল রেখে জটলা পাকানোর ঘটনায় ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট কয়েকজনকে জরিমানা করেন। ইয়ারপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে ৯টি ওয়ার্ডের ৪২টি কেন্দ্রে ইভিএমএর মাধ্যমে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। নির্বাচনে ৮৬ হাজার ৩৬১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করার কথা থাকলেও ভোটারের উপস্থিতি কম থাকায় ত্রিশ হাজারের মতো ভোট কাস্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। নির্বাচনে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সুমন আহম্মেদ ভুইয়া পেয়েছেন ১১,৫৪৯ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দি নৌকা প্রতীকের প্রার্থী মোশারফ হোসেন মুসা পেয়েছেন ৮৫৬০ ভোট। সুমন আহম্মেদ ভূইয়া ২৯৮৯ ভোট বেশি পেয়ে বেসরকারিভাবে বিজয়ী হয়েছেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply