সামছুদ্দিন জুয়েল :
গাজীপুরে যৌতুকের দাবিতে রাবিয়া বসরী (১৯) নামে এক গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার স্বামী পক্ষের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় চারজনকে আসামি করে নিহতের বড় ভাই মো. জয়নাল আবেদিন জয়দেবপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন
অভিযুক্তরা হলেন- জয়দেবপুর থানার নলজানী এলাকার মো. ফজলুল হক (৫৫), তার ছেলে গৃহবধূর স্বামী মো. আফজাল হোসেন (২৪), আরেক ছেলে মো. আক্তার হোসেন (৩৩) ও তার স্ত্রী হেনা আক্তার (৫১)।
অভিযোগের তথ্যমতে, দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্কের পর ২০১৮ সালের ৩১ জুলাই রাবিয়া বছরি ও আফজালের বিয়ে হয়। এর কিছুদিন পর থেকেই যৌতুকের জন্য তাকে অত্যাচার করা হতো। বাধ্য হয়ে যৌতুক বাবদ ২ লাখ টাকার আসবাবপত্র দেয়া হয়। পরবর্তীতে আরও ৩ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে স্বামী পক্ষ। তাদের দাবি না মেটানোয় রাবিয়ার উপর নির্যাতনের মাত্রা বেড়ে যায়। রাবিয়ার বাবার পক্ষ থেকে করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সাধ্যমত সহযোগিতার আশ্বাস দেয়া হয়।
অভিযোগকারীর ভাষ্যমতে, বুধবার (৬ মে) রাত ১১টার দিকে রাবিয়ার শ্বশুর ফজলুল হক ফোনে জানায় রাবিয়ার অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে দ্রুত হাসপাতালে নেয়ার কথা বলে তিনি ফোন কেটে দেন। তাৎক্ষণিক গিয়ে স্বামী আফজালকে পাওয়া যায়নি। ঘরে ঢুকে খাটের উপর রাবিয়ার নিথর দেহ পড়ে থাকতে দেখা যায়। পরে রাবিয়ার শ্বশুর ফজলুক হককে সঙ্গে নিয়ে তাকে বাঘের বাজার এলাকার কাজী হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাকে নেয়া হয় ময়মনসিংহ সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে গত রাত ১টা ২০ মিনিটে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুর খবর শুনে হাসপাতাল থেকেই পালিয়ে যান শ্বশুর ফজলুল হক। নিহতের গলায়, মাথায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
জয়দেবপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আলমগীর বলেন যৌতুকের টাকার জন্যই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। মরদেহ ময়মনসিংহ সরকারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। অভিযোগটি নথিভুক্ত হলে আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে নামবে পুলিশ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply