রংপুরের আকাশে এক ক্ষুদে উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম সামিয়া আক্তার বন্যা, রংপুর সরকারী বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণীতে অধ্যায়নরত, এই ধ্রুবতারা সাম্প্রতিক ওয়ার্ল্ড ভিশন এর পক্ষ থেকে ব্রাসেলস্ এ বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করে।বণ্যা বিগত তিন বছর থেকে ওয়াল্ড ভিশনের সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
নার্সারী ক্লাস থেকেই তার প্রতিভার দীপ্তি ছড়াতে শুরূ করে ।বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ গ্রহণ করে আদ্য়া করে নেয় তার কৃতিত্ব ।তারই ধারাবাহিকতায় ওয়ার্ল্ড ভিশনে ব্রাসেলসে End Violence Against Children (EVAC) ক্যাম্পেইন এ অংশ গ্রহন করে। এবারের ক্যাম্পেইনের প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল- বাল্য বিবাহ, নারীর ক্ষমতায়ন।
সামিয়া আক্তার বন্যা রংপুর জেলার সাতগাড়া মিস্ত্রিপাড়া, মুন্সিপাড়া এলাকায় ২৪/০১/২০০৩ ইং তারিখে জন্মগ্রহণ করে। পিতা মো: গোফরান উল্ল্যাহ, মাতা- মোছাঃ খালেদা বেগম, দুই ভাই বোনের মধ্যে বণ্যা বড়।
বণ্যা’র সাফল্য-
১। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযান
২। CSA for sun আয়োজিত দেয়ালিকা প্রতিযোগীতায় ২য় স্থান অধিকার
৩। world vision আয়োজিত স্টল, দেয়ালিকা, কবিতা, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান অধিকার
৪। শিশু বাজেটে অংশ গ্রহণ
৫। বাল্য বিবাহ রোধ
৬। মানবাধিকার দিবস পালন
৭। জাতীয় দিবস পালন।
বণ্যা’র বিশেষ অর্জন-
১। নার্সারী ক্লাসে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান
২। কেজিতে আবৃতি প্রতিযোগীতায় প্রথম স্থান
৩।৮ম শ্রেণীতে চিত্রাংকন প্রতিযোগীতায় আঁকা ঢাকায় প্রদর্শীত।
৪। ৭ম ও ৮ম শ্রেণি স্কুল ফুটবল টিমে অংশ গ্রহণ।
নার্সারী থেকে ৯ম শ্রেণীতে বিভিন্ন সময় রচনা, কবিতা আবৃত্তি, চিত্রাংকন প্রতিযোগীতার অসখ্য পুরুষ্কার দেখা গেলো তার বাসায়।
বণ্যা’র শখ: ছবি আঁকা, প্রজাপতি সংগ্রহ, এলাকার শিশুদের আনন্দ দেওয়া।
ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা জানতে চাওয়া হলে সে নিজেকে একজন অধ্যাপক হিসেবে দেখতে চায় এবং শিশুদের নিয়ে কাজ করতে চায়।
তার স্বপ্ন সম্পর্কে জানতে চাইলে- সকল শিশুর অধিকার নিশ্চিতকরণ সহ বাংলাদেশকে একটি উন্নত সমৃদ্ধদেশ হিসেবে গড়ার স্বপ্ন দেখে।
উল্লেখ্য যে, এশিয়া মহাদেশের মধ্যে নির্বাচিত ২ জন, এক জন বাংলাদেশ থেকে সামিয়া আক্তার বন্যা, এবং সেনেগাল থেকে একজন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply