শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৬:৪৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নীলফামারীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন ঢাকাসহ তাপপ্রবাহ বইছে ৬০ জেলায় সোনারগাঁয়ে ৭টি রেষ্টুরেন্টসহ দুই হাজার অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন ১ জনকে আটক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা দাম কমবে ইন্টারনেটের ১৬১ টাকা কমলো ১২ কেজি এলপিজির দাম মেলান্দহের আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র! উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রেললাইন বস্তি অপরাধ মাদকের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানীর বিস্তৃত এলাকার একচ্ছত্র মাদক সম্রাট হুমায়ুন কবির গাজী ক্ষমতার জোরে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে; থানায় অভিযোগ

রাজধানীতে গণ-পরিবহনে হিজড়ার উপদ্রব; যাত্রীরা হয়রানির শিকার

বেলায়েত হোসেন
  • Update Time : শনিবার, ২০ মে, ২০২৩
  • ৩৪ Time View

বেলায়েত হোসেন:

রাজধানীর মগবাজার থেকে মহাখালী, চেয়ারম্যানবাড়ি হয়ে বনানী, কাকলি পর্যন্ত গণপরিবহনে যাতায়াতকালে হিজড়াদের সাথে সাক্ষাৎ হবে না, তা হবে না।

প্রতিনিয়ত যারা এই রাস্তায় চলাচল করেন, তারা কোনো না কোনো সময় গণ-পরিবহনে হিজড়াদের দ্বারা হয়রানির শিকার হন। হিজড়াদের সঙ্ঘবদ্ধ একটি টিম, হতে পারে দুই থেকে চার জন অথবা একাই। গাড়িতে উঠেই সোজা চলে যাবে গাড়ির পিছনে। সেখান থেকে শুরু হবে তাদের অত্যাচার। ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৩০ টাকা, ৫০ টাকা পর্যন্ত দাবি তাদের। দুই টাকা, পাঁচ টাকা দিলে নিস্তার নেই। শুরু হবে শারীরিকভাবে নির্যাতন। হয় কাপড় খুলে ফেলবে, না হয় গায়ে হাত দিবে, গায়ে প্রস্রাব করে দিতেও দ্বিধা করে নেতারা। সাধারণ যাত্রীরা লজ্জায়, ভয়ে বাধ্য হয়ে ১০ টাকা, ২০ টাকা, ৩০ টাকা দিয়ে দিচ্ছেন। তাদের হয়রানির শিকার শুধু যাত্রীরা নয়, বাসের ড্রাইভার, হেলপারও। কারণ রাস্তার যে কোন জায়গা থেকে উঠাতে হবে তাদের। নামাতেও হবে যে কোন জায়গায়। না হলে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে যাবে তারা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ( জাকির হোসেন) ‘ছদ্দ নাম’ যাত্রী জানান, তিনি মগবাজার থেকে বলাকা বাসযোগে এয়ারপোর্ট যাচ্ছিলেন, পথিমধ্যে তিব্বত থেকে দুইজন হিজড়া বাসে ওঠেন এবং যথারীতি শুরু করেন চাঁদাবাজি, অকথ্য ভাষায় গালাগালি, টাকা না দেয়ায় শুরু করেন শারীরিক নির্যাতন। এদের মধ্যে একজনের নাম “ময়ূরী” (ছবি উপরে)। তার সাথের জন একই অবস্থা, টাকা না দিলেই গায়ে হাত, অকথ্য ভাষায় গালাগালি, লজ্জায় এবং ভয়ে মহিলারাও নির্দ্বিধায় টাকা বের করে দিচ্ছেন ব্যাক থেকে। আমি টাকা দিতে অস্বীকার করলে, হাতে তালি দিয়ে কাপড় খুলে আমার শরীরে প্রস্রাব করে দেওয়ার শুরু করেন “ময়ুরী”। তড়িঘড়ি করে আমিও টাকা বের করে দেই। এ ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তা কামনা করছেন তিনি।

উল্লেখ্য, মহাখালী জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট এবং কলেরা হাসপাতালের মাঝখানে স্টিলের ফুট ওভার ব্রিজের নিচে চার থেকে পাঁচটি চায়ের দোকান রয়েছে, সে বেশিরভাগ সময়ে হিজড়ারা অবস্থান করেন। বিভিন্ন গাড়ি থেকে চাঁদাবাজির শেষে এখানেই আড্ডা দেন এসব হিজলারা।

এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রশাসনের কোনরকম নজরদারি চোখে পড়েনি, এমন অভিযোগ সাধারণ মানুষের। অথচ এদেরকে নিবারণ অথবা সরিয়ে দেয়ার দায়িত্ব স্থানীয় প্রশাসনের। হিজড়াদের অত্যাচার নিবারণে পুলিশ প্রশাসন অথবা ট্রাফিক পুলিশকে কোনরকম কার্যক্রম চালাতে দেখা যায়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়