বাংলাদেশ আমার অহংকার এই শ্লোগান নিয়ে র্যাব প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকেই সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজ, জঙ্গি দমন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, মাদক, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞানপার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেপ্তারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। ফলে দেশের সাধারণ মানুষ র্যাব প্রতিষ্ঠার পর হতে শান্তিতে জীবন যাপন করছে এবং আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি জনগণের আস্থা ফিরে এসেছে এ কথা তর্কাতিতভাবে অনস্বীকার্য। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, ছিনতাইকারী ও অজ্ঞানপার্টির দমন প্রতিরোধে এলিট ফোর্স র্যাবের বিশেষ অভিযান সমূহ দেশব্যাপী ব্যাপকভাবে প্রশংসিত।
সম্প্রতি মৌসুমী অপরাধীদের দৌরাত্ম্য বেড়েছে। পেশাদার অপরাধীদের পাশাপাশি ছিনতাই, চুরি, ডাকাতি, জাল নোট চক্র ও অজ্ঞান পার্টিসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কাজে তৎপর মৌসুমী অপরাধীরা। গত ১৮ জুন ২০১৭ ইং তারিখ সকালের খবর পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয় যেখানে ঢাকা শহরের বিভিন্ন স্থানের ছিনতাই স্পট, ছিনতাইকারী চক্র এবং তাদের কার্যক্রম সম্বন্ধে বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রদান করা হয়। উক্ত প্রতিবদেনটি প্রকাশিত হওয়ার পর র্যাব গোয়েন্দা কার্যক্রম শুরু করে এবং ছায়া তদন্তে নামে। দেখা যায় যে, রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে কিছু সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারী অবস্থান নিয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল হতে আসা সাধারণ মানুষের নিকট হতে টাকা-পয়সা, মোবাইল সেট, ল্যাপটপসহ সংগে থাকা দামী মালামাল ছিনতাই করে নিচ্ছে। এ সংঘবদ্ধ ছিনতাইকারীদের আইনের আওতায় আনয়নের লক্ষ্যে র্যাব-২ গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় গত ২১/০৮/১৭ ইং তারিখ ২০:৪৫ ঘটিকায় র্যাব-২-এর আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগরীর শেরেবাংলা নগর থানাধীন শিশুমেলা ক্রসিং এলাকা হইতে ছিনতাইকারী চক্রের সক্রিয় সদস্য ১। সোহেল (২৫), ২। মোঃ খলিল (১৮), ৩। মোঃ হালিম (৫০), ৪। আলামিন (১৮), ৫। সুমন (১৮), ৬। মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৮), ৭। শারমিন আক্তার সুখি (১৯) এবং ৮। রুকসানা (১৮) দের গ্রেফতার পূর্বক তাদের নিকট হতে ০৬ টি চাকু, ০৫ টি ব্লেড, ০২ টি মোবাইল জব্দ করা হয়। এছাড়াও উক্ত আসামীদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, তারা কয়েক বছর যাবত রাজধানীর বিভিন্নস্থানে ছিনতাই কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। বিশেষ করে চলন্ত গাড়ীতে অবস্থানরত মানুষের ব্যবহৃত মোবাইলসেট এবং হাতে থাকা ল্যাপটপসহ প্রয়োজনীয় গুরুত্বপূর্ণ ছোট ছোট জিনিসপত্র হঠাৎ করে টান দিয়ে নিয়ে চলে যায়। তারা মুলত একটি সংঘবদ্ধ দলে কাজ করে। বিভিন্ন বাস/ট্রাক কাউন্টার/সড়কে এ গ্রুপের এজেন্ট ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। এছাড়া তাদের নিকট হতে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া গেছে, যা যাচাই বাছাই করে ভবিষ্যতে র্যাব-২ এ ধরনের ছিনতাইকারীর বিরুদ্ধে অভিযান চলমান রাখবে।
আসামীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
আসামীদের নাম-ঠিকানা ঃ
ক। সোহেল (২৫), পিং- আহাম্মদ আলী, সাং-পাচুয়া মসজিদ , থানা-গফরগাঁও, জেলা-ময়মনসিংহ।
খ। মোঃ খলিল (১৮), পিং- মোঃ তারা মিয়া, সাং-বাগুটিয়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-মানিকগঞ্জ।
গ। মোঃ হালিম (৫০), পিতা-মৃত আজগর আলী, সাং-ব্লক সি, বাসা নং-৫১৯, জেনেভাক্যাম্প, থানা-মোহাম্মদপুর, ডিএমপি, ঢাকা ।
ঘ। আলামিন (১৮), পিং- মোঃ আকাবর, সাং-ধনাগুসা, থানা- নকলা, জেলা- শেরপুর।
ঙ। সুমন (১৮), পিং-মানিক, সাং-১০ নং বালুর মাঠ, রহমান মিয়ার বাসা, থানা-আদাবর, ঢাকা (ভাসমান)।
চ। মোঃ শহিদুল ইসলাম (২৮), পিং- মোঃ আবুল মনসুর, সাং- দিলালপুর, থানা- পাবনা সদর, জেলা- পাবনা।
ছ। শারমিন আক্তার সুখি (১৯), স্বামী- শামীম, সাং- বোর্ডপাড়া, থানা- মান্দা, জেলা- নওগাঁ।
জ। রুকসানা (১৮), স্বামী- ইমন, সাং-মিরপুর ১ নম্বর, মেম্বারের বাড়ী, লাল কুঠি বাজার, থানা- দারুস সালাম, ঢাকা (ভাসমান)।
উদ্ধারকৃত মালামাল ঃ
ক। চাকু ০৬ টি।
খ। ব্লেড ০৫ টি।
গ। মোবাইল ফোন ০২ টি।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply