মঙ্গলবার, ৩০ মে ২০২৩, ০৯:৪৭ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
টাঙ্গাইলে জিয়াউর রহমানের মৃত্যু বার্ষিকী পালিত ছেলেকে বাঁচাতে গিয়ে সাগরে ডুবে সৌদি আরবের ব্রিগেডিয়ার জেনারেলের মৃত্যু বনানীতে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্ন করল তিতাস ঢাকা-কক্সবাজার রুটে চলবে একটি ট্রেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ ত্রি বার্ষিক সম্মেলনে জুনাইদ মনিরকে সভাপতি হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী ঘাটাইলে কৃষি জমিতে বন বিভাগের গাছের চারা রোপণ, বিপাকে এলাকাবাসী মাদক ও চোরাই মোবাইলসহ গ্রেপ্তার একজন  ইবির মেগা প্রকল্প নিয়ে ষড়যন্ত্র প্রমান মেলেনি আক্তার ফার্নিচারের বিরুদ্ধে নীলফামারীতে আসাদুজ্জামান নূর এমপির সাথে নাসিব নীলফামারীর শুভেচ্ছা বিনিময় মাদারগঞ্জে বাচ্চু চেয়ারম্যান ও আওয়ামীলীগ নেতা বাদল এর মা আর নেই

রাজধানীতে সিটিং সার্ভিসের নামে চলছে চাঁদাবাজি সৃষ্টি হচ্ছে বিশৃংঙ্খলার

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০১৭
  • ৪৮ Time View

জাকির হোসেনঃ
বাংলাদেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে জীবন জীবিকার তাগিদে ঢাকা শহরে ছুটে আসছে অসংখ মানুষ। কর্মের সন্ধানে তারা শহরের এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে ছোটা-ছুটি করে। কেউবা চাকরী, ব্যবসা ও বিভিন্ন কর্মের মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করে জীবিকা নির্বাহ করে, তাই বিভিন্ন যায়গায় যেতে হয়। এই সুযোগে কিছু অসাধু গাড়ির মালিকেরা রুটে গাড়ী নামিয়ে ইচ্ছে মত ভাড়া আদায় করার নির্দেশ দিচ্ছে। যার কারনে তারা বিভিন্ন যায়গায় চেকার বা অবিল পদ্ধতি চালু করেছে। যদিও বিভিন্ন পাবলিক সার্ভিস গুলো সিটিং সার্ভিস এর নামে চলছে শহরের বিভিন্ন রুটে, এবং সিটিং সার্ভিসের নামে তারা করছে এক ধরনের চাঁদাবাজি। ১০ টাকার ভাড়া নিচ্ছে ২০ থেকে ৩০ টাকা পর্যন্ত। এতে যাত্রীদের সাথে ঝগড়া বিবাদ এমনকি হাতাহাতি পর্যন্ত হয়ে থাকে। বি আর টি থেকে যে ভাড়া নির্ধারন করা হয়েছিল এবং এই নির্ধারিত ভাড়ার তালিকা গাড়ির সামনে ঝুলানোর নির্দেশ থাকলেও তা পরিনত হয়েছে মালিকদের অভিলে। যাত্রীরা ভাড়ার চার্ট দেখতে চাইলে চেকারদের সই করা অভিল বের করে দেখায়। বাধ্য হয়ে যাত্রীদের সাথে দ্বিধা দ্বন্দ ও ঝগড়া বিবাদ প্রতিনিয়তই লেগে থাকে। এবং সিটের অধিক পরিমান যাত্রী বহন করেও সিটিং ভাড়া আদায় করে থাকে। বি আর টি এর কোন নির্দেশনাই তারা মানছে না। এমনকি তারা কাউকে কোন তোয়াক্কাই করছে না। নিজেদের তৈরী আইন পাশ করে তারা দাপটের সাথে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে চলছে। তাতে যেমন নেই বি আর টি এর মাথা ব্যথা তেমনি প্রশাসনের নিরব ভুমিকা হতাশ করে দিচ্ছে সাধারণ যাত্রীদের। মাঝে মাঝে মোবাইল কোর্ট এর মাধ্যমে প্রশাসন কিছু সংখ্যক গাড়ী জরিমানা করলেও বাস মালিকেরা নাছোর বান্দা, তাদের রুটে থাকা গাড়ী থেকে অর্ধেক গাড়ীই বন্ধ করে রাখে। কারন কোন কোম্পানির ১০০ টি বাস থাকলে তার মধ্যে ৪০ থেকে ৫০ টি বাসেরই নেই রুট পারমিট বা ফিটনেস। ঢাকা শহরের প্রতিটি রুটে ট্রাফিক পুলিশ সার্জেন্ট রয়েছে, তারা রুট পারমিট বা ফিটনেস বিহীন গাড়ি ধরে মামলা করে দিলেও অধিকাংশ গাড়ির মামলা হয়না টাকার বিনিময়ে। মূল সড়কে ইউ টার্নে গাড়ী ঘুরানো হচ্ছে ট্রাফিক পুলিশকে ১০ টাকা ঘুষ এর বিনিময়ে, তাতে রুটে সৃষ্টি হচ্ছে জ্যামের। এভাবে চলতে থাকলে প্রশাসনের প্রতি সাধারণ জনগনের আস্থা অধিকাংশেই কমে যাবে। তাই সাধারণ জনগণের দাবী, বি আর টি এর নির্ধারীত ভাড়ার তালিকা যেন প্রতিটি গাড়ীর সামনে ঝুলানো হয়, টিকিট বা টোকেন এর ব্যবস্থা করা হয়, সিটিং সার্ভিস এ সিটের অতিরিক্ত যাত্রী বহন না করা, গাড়ীর ফিটনেস ও রুট পারমিট যেন সঠিক মানে থাকে, গাড়ীতে গাড়ীতে রাস্তার মাঝে চলন্ত অবস্থায় টাকা-টাকি বা ঘষা-ঘষি করলে জেল জরিমানার ব্যবস্থা করা, অপর বাসের সাথে প্রতিযোগীতা না করা, রাস্তার মাঝে যাত্রী উঠানামা না করা, মূল সড়কের উপর গাড়ী পাকিং না করা। তাহলে আইনের প্রতি সাধারণ জনগণের শ্রদ্ধা বাড়বে এবং সিটিং সার্ভিস নামে চাঁদাবাজি থেকে রক্ষা পাবে সাধারণ জনগণ।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়