শনিবার, ২৫ মার্চ ২০২৩, ০১:১৬ অপরাহ্ন

রাজধানীর গুলশান-বনানীতে স্পার অন্তরালে চলছে অনৈতিক কার্যকলাপ ও মাদক ব্যবসা

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ৬২ Time View

 

 

 

হাবিব সরকার স্বাধীন :

 

রাজধানীর গুলশান বনানী ডিপ্লোমেটিক জোন কুটনীতিক পাড়া, গুলশান, বনানী, হেয়ার কাটিং সেলুন, বিউটি পার্লার, স্পা সেন্টার গুলো নামে-বেনামে তরুণ-তরুণী দিয়ে চালাচ্ছে জমজমাট মাদক ব্যবসা ব্ল্যাকমেইলের রমরমা বাণিজ্য। ভয়ংকর অপরাধমূলক বিভিন্ন কর্মকান্ড আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি চরম অবক্ষয়ের কারণে অনেকটা প্রকশ্যেই নীতিহীন ঘৃণিত জেনা ব্যাভিচার আর মাদক ব্যবসা সয়লাব করে দিচ্ছে। কি ভাবে স্থানীয় থানা পুলিশের নাকের ডগার উপরে অনৈতিক কর্মকান্ড চলছে তা বোধগম্য নয়। তবুও এক শ্রেণীর অর্থলোভী দালালরা নারীদেরকে চাকরির প্রবল দেখিয়ে ফিল্মি স্টাইলে ব্ল্যাকমেইল করে দেহ ব্যবসা করাতে বাধ্য করেন বলে অভিযোগ উঠেছে। টার্গেট বিত্তবান প্রভাবশালী সন্তানের ছেলেরা। অল্প বয়সী নারী দিয়ে ফাঁদ পেতে মওকা হাসিল করছে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গুলশান বনানীর প্রায় প্রতিটি সড়কে তারা একটা ট্রেড লাইসেন্স আর বাড়ী ভাড়া নিয়ে বিউটি পার্লার অথবা হেয়ার কাটিং দেদারসে মাদক বিক্রি ও পতিতা ভিত্তির যৌন ধান্দার ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। পূর্বের তুলনায় এ বছর গুলশান-বনানী, বারিধারা নিকেতন কালাচাঁদপুর, বেঙ্গের ছাতার মতো গর্জে উঠেছে পতিতা বাণিজ্যের। রাজধানীর বনানীতে স্পা ব্যবসায়ীদের দৌরাত্ম্য দিন দিন বেড়েই চলেছে। তাদের তৎপরতায় এলাকায় অপরাধের সংখ্যাও বেড়েই চলেছে। নষ্ট হচ্ছে সামাজিক ভারসম্য। এধরনের অবৈধ স্পা প্রতিষ্ঠানে জড়িয়ে পড়ছে স্কুল কলেজ পড়ুয়া ছাত্র-ছাত্রী ও তরুন তরুণীরা।

(অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের কিছু ঠিকানা) সম্প্রতি, বনানীর রোড নং ১৭, হাউজ নং( ২১) ( লিফটের ৯ম তলা), যাহার মালিক জামান, সুইট ড্রিম লিফটের ৭ তলা জাবেদ, মেঘলা, রোড নং ১৮ ইস্পার মালিক। লাবনী আক্তার ইভা সুন্দরী, হাউজ- ৪৯, গুলশান ক্লাবের সামনে।

অনুসন্ধানে জানা যায়, গোপালগঞ্জের ডিআইজি হাবিব সাহেবের আত্মীয় (চাচাতো ভাই) পরিচয় দিয়ে পায়েল স্পার অন্তরালে মাদকসহ নানান রকমের ব্যবসা করছে। ডিআইজি হাবিব সাহেবের ছবি প্রোফাইলে দিয়ে নিজেকে হাবিব স্যারের চাচাতো ভাই পরিচয় দিয়ে অবৈধ ব্যবসা চলমান রেখেছেন পায়েল। রোড নং ৪, ২ তলা চেয়ারম্যান বাড়ি মসজিদের পাশে। নিজের মোবাইল এবং ফেসবুকে যেন মুদির দোকানদারি খুলে বসে রয়েছে পায়েল। রোড নং ২৭ কবর স্থানের রাস্তায় আজাদ লিপ্ট ৫ম তলা।

অপর দিকে ৫ম তলায় আজাদের একটি স্পা সেন্টার, রোড নং ১১ হাউজ নং ১০০ লিফটের ৬ বনানী ফার্মেসি উপর দেহ ব্যবসা চলমান।জি স্পা রোড নং ১৫/ব্লক ডি.হাউজ ৪২ ওমনি রেস্তোরাঁ। তবে পুলিশ প্রতিদিন এসব প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালালে কাউকে পায় না। এর অন্যতম কারন হচ্ছে প্রতিষ্ঠানগুলো সিসি ক্যামেরা দ্বাড়া নিয়ন্ত্রিত এবং পুলিশ আশার আগেই একটি কুচক্র মহল তাদেরকে জানিয়ে দেয়। যার ফলে অপরাধীরা নিরাপদ স্থানে ছিটকে পড়ে। গুলশান -১এ,১৩১নং সড়কে ৬০/বি খুশবু রেস্টুরেন্টের উপরে বাড়ির চতুর্থ তলা ফ্লোরে রয়েছে মালিক সুমনার স্মার্ট থাই স্পা গুলশান -২এ ৪৪নং সড়কে বাড়ির ৬/বি ৫ তলা অ্যারোমা থাই স্পা মালিক হাসি, গুলশান -২এ ৪৫নং সড়কে ৩৩ বাড়ির ৪তলা হ্যাপি থাই স্পা মালিক রতন।

গুলশান-১ এ ৮নং সড়কে ১/বি বাড়ীর সি১ ফ্লাটে রয়েছে অরোরা স্পা সেন্টার এবং গুলশান-২ এ ২নং সড়কে ৪নং বাড়ীর ফ্লাটে রয়েছে স্পার। ২য় শাখা যার মালিকদের তত্বাবধায়ক হিসেবে রয়েছে কাউসার। এদিকে গুলশান-১এর ১৩০নং সড়কের ১১/এ বাড়ীর ৬তলায় সুয়াই বিউটি কেয়ার স্পা এন্ড সেলুন পার্লার এর ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ইএনটি কেয়ার সেন্টার। এবং হেয়ারিং সেন্টার খুলে তারা অনৈতিক কর্মকান্ড করছে। সেখানে রয়েছে অত্যাধুনিক সয়ংক্রিয় অটোমেটিক লক সিস্টেম সু-সজ্জিত ১০টি কামরা, যেখানে অত্যান্ত সুদ্ররী যুবতি রমনিরা অর্থের বিনিময়ে প্রতি নিয়ত অসংখ্য খরিদ্দারের কামনার তৃপ্তির খোরাক মেটাতে সজ্জাসংগি হচ্ছে। খোজ নিয়ে জানা যায়, মোঃ মামুনুর রশিদ সিদ্দিক এবং রাবেয়া আক্তার লাবনী যৌথ ভাবে ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে এই মিনি পতিতালয় গড়ে তুলে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। আর এ সকল অবৈধ ব্যবসাকে কেদ্র্র করে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতি ঘটছে প্রকাশ্যে ছুরিকাঘাতে নৃসংসভাবে মানুষ খুন হচ্ছে।

যারা তাদের কথামত কাজ করতে অপরাগতা প্রকাশ করে তাদেরকে গুম করে দেয়া হয়। যার কোন রহস্য উদঘাটনের কিনারা পাওয়া যায় না। আর এ প্রতিটি খুনের মর্মান্তিক ঘটনাকে ইসু করে কতক লোকজন লাভবান হচ্ছে। অন্যদিকে গোপন ক্যামেরার সাহায্যে ডিজিটাল ব্ল্যাকমেইল হয়রানির মাধ্যমে মানুষের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে দিচ্ছে। কথিত স্পা সেন্টারের অন্তরালে চলছে ভয়ংকর মাদক দ্রব্য স্মাগলিং চোরাকারবারী আর সুন্দরী যুবতি রমনিদের দেহ বিক্রি করে পাশ্চাত্য স্টাইলে সবচেয়ে নোংড়া ও নিকৃষ্ট পাপাচার, তারা জেনা ব্যাভিচারের অবৈধ যৌনতার বিষ বাস্প ছড়িয়ে দিয়ে সমাজকে প্রতিনিয়ত ধ্বংস করছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শী সুত্রে জানা যায়, সেখানে প্রতিদিন সন্ধ্যার পর সব ভয়ংকর প্রকৃতির লোকের সমাগম লক্ষ করা যায়। এমনকি প্রশাসনের কতিপয় অফিসার ও সেখানে প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে এবং অশ্লীল কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়ে। অবিলম্বে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করে সমাজ থেকে অশ্লীলতা পাপাচার দুর করার জন্য সরকারের সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের প্রতি জোর দাবি জানায় স্থানীয় সচেতন নাগরিক সমাজ।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়