(এ্যাড. সাহারা খাতুনের মৃত্যুর পর দক্ষিণখান ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি যখন ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ হাবিব হাসানের অনুগত হয়ে দেশ সেবায় ব্রত। তখন একটি স্বার্থানেষী মহল সন্ত্রাসী কার্যক্রম করে বৈধ ব্যবসাকে অবৈধভাবে গ্রাস করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে। জনমনে প্রশ্ন এসব সন্ত্রাসীদের কালো হাত ঢাকা-১৮ আসনের সাংসদ হাবিব হাসানের সুনামকে কতটুকু ক্ষুন্ন করবে?)
হযরত আলী রানা :
ঢাকা-১৮ আসনের প্রয়াত এ্যাড. সাহারা খাতুনের একনিষ্ঠ কর্মীরা জাতির জনকের আদর্শের দিশারী হয়েও বর্তমান সময়ে আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে। দক্ষিণখান ইউনিয়ন দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি মোহাম্মদ আলীকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন সংগঠনের বেকার কর্মীদের নিয়ে আজমপুর কাঁচাবাজার হইতে শাহ কবির (রহঃ) মাজার পর্যন্ত ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা তরান্বিত করে জীবিকা নির্বাহের ব্যবস্থা করে দেন প্রয়াত এ্যাড. সাহারা খাতুন।
বিষয়টি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বৃহত্তর উত্তরার অনেকেই জানে। বিষয়টি নিয়ে মোহাম্মদ আলী সাংসদ হাবিব হাসানের কাছে গেলে এবং সম্পূর্ণ বিষয়টি অবহিত করে তিনি মোহাম্মদ আলীকে আশ^স্ত করেন বিষয়টি আমি দেখব। সেই মতে আওয়ামীলীগের সংগঠনের কর্মীদের নিয়ে একটি লিখিত আদেশের মাধ্যমে ডিস ব্যবসা মোহাম্মদ আলীর নেতৃত্বে নির্দিষ্ট স্থান পর্যন্ত চলবে বলে জানা যায়। কিন্তু এ্যাড. সাহারা খাতুনের ইন্তেকালের পর দক্ষিণখান থানা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহসীন সরকারের নেতৃত্বে তার ছোট ভাই দক্ষিণখান থানা ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ১নং ওয়ার্ড (উত্তরা পূর্ব থানা) যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মোশাররফ সরকার আজমপুর কাঁচা বাজার হইতে শাহ কবির (রহঃ) এর মাজার পর্যন্ত ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসা নিয়ন্ত্রণে নেওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
এমনকি প্রয়াত এ্যাড. সাহারা খাতুন মারা গেছে ভাল হয়েছে ইত্যাদি কথা বলে বর্তমান সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোহাম্মদ হাবিব হাসানের নাম বিক্রি করে ডিস ও ইন্টারনেটের ব্যবসাকে নিয়ন্ত্রণ করার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছে। এ্যাড. সাহারা খাতুনের সময় হইতে অদ্যবধি মোহাম্মদ আলী দলীয় কর্মীদেরকে নিয়ে ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসাকে সম্প্রসারণ করার লক্ষ্যে প্রায় পঞ্চাশ লক্ষ টাকার মতো বিনিয়োগ করেছে। এখান থেকে আয়ের একটি অংশ বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যেমন- শোক দিবস, বিজয় দিবস ও স্বাধীনতা এবং ভাষা দিবসে খরচ করে থাকে।
এখান থেকে কর্মরত শ্রমিকদের বেতন ভাতা দেওয়া হয়। প্রায় অনেক বছর মোহাম্মদ আলী সুনামের সাথে ডিস এবং ইন্টারনেটের ব্যবসা করে আসছে। একটি কু-চক্রী মহল যারা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগে অনুপ্রবেশ করেছে তাদের ইন্ধনে মোশারফ ও মহসিন গং অবৈধ পেশী শক্তির সাহায্যে বৈধ ব্যবসায়ী মোহাম্মদ আলীকে সরিয়ে জামায়াত বিএনপি’র এজেন্ডা কায়েম করে অনুপ্রবেশকারীদের স্বপ্ন পূরণে ব্যস্ত হয়ে উঠেছে।
এদের হাতে দেশ ও দেশের জনগণ কতটা নিরাপদ জাতি জানতে চায়। এরা কি সত্যি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের রাজনীতি করে নাকি রাজনীতির নামে পেটনীতি করে তা আপনারাই বিবেচনা করুন। মোহাম্মদ আলী একজন আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মী এবং দক্ষিণখান ইউনিয়নের দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সভাপতি হওয়ার পরেও জোরপূর্বক তার ব্যবসা কে দখল করে নেয়ার হুমকি এবং তার লোকজনকে মারধর করার মতো ঘটনা ঘটিয়ে আসছে এসব দখলবাজরা।
সন্ত্রাসীরা মোহাম্মদ আলীকে জানে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে আসছে। দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের সাথে মোহাম্মদ আলীর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি যেমন এ্যাড. সাহারা খাতুনের আদর্শকে ভালবেসে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের উন্নয়নে কাজ করেছি তেমনি আমার প্রিয় নেতা ঢাকা-১৮ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোহাম্মদ হাবিব হাসানকে আদর্শ মেনে প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নে যতদিন বেঁচে আছি কাজ করে যাবো। আমার প্রিয় নেতা হাবিব হাসানের কাছে আমার চাওয়া একটি সাজানো বাগান কোন ষড়যন্ত্রকারীর কুপরামর্শে আপনি ভেঙ্গে দিবেন না। আমি আপনার আদেশ নিষেধকে অক্ষরে অক্ষরে পালন করে যাবো। যারা আজমপুর কাঁচা বাজার হইতে শাহ কবির (রহঃ) এর মাজার শরীফ পর্যন্ত ডিস ও ইন্টারনেট ব্যবসাকে অবৈধ ভাবে মোহাম্মদ আলীর নিকট হইতে পেশী শক্তি ও সন্ত্রাসী কার্যক্রমের মাধ্যমে গ্রাস করতে চায় তারা প্রকৃতপক্ষে বঙ্গবন্ধুর সৈনিক নয়।
ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ¦ মোহাম্মদ হাবিব হাসানের কথা অমান্য করে মোহাম্মদ আলীর মতো আওয়ামীলীগের একনিষ্ঠ কর্মীর উপর হামলা করতে পারে তারা রাজাকারের দোষর ছাড়া অন্য কিছু নয়। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের সোপানে তার কুসুম বাগানে কোন মুনাফিক অনুপ্রবেশকারীদের স্থান নেই। আগে সোনার বাংলা পরে অন্যসব। সাধু সাবধান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply