স্টাফ রিপোর্টার:
রাজধানীতে দেহ ব্যবসা থামছে না, দেহ ব্যবসা অবাধে চলছে । প্রশাসনের কিছু অসাধু কর্মকর্তা আর নামধারী সাংবাদিকদের সহযোগীতায় তাদেরকে মাসিক মাসোয়াবায় চালাছে এই অপকর্ম । মাঝে মধ্যে পুলিশের অভিযানে দেহ ব্যবসায়ীরা আটক হলেও আইনের ফাঁক ফোকর দিয়ে বেরিয়ে যাচ্ছে ।
গত বছর থেকে অদ্যবদি খোদ রাজধানী থেকেই ২৫০০ কিশোরী তরুনী উধাত্ত হওয়ার চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া গেছে । দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে এসব তরুনী ভাগ্যন্বেষনে ঢাকায় এসেছিল। পরবতীর্তে পরিবার পরিজন বহু খোঁজাখুজী করেও তাদের আর সন্ধান পাচ্ছেন না। অন্যদিকে থানা পুলিশও বেশির ভাগ ক্ষেত্রে জিডি লিপিবদ্ধ করার মধ্যেই দায়িত্ব সীমাবদ্ধ রেখেছেন। ফলে উধাত্ত হওয়া কিশোর তরুনীদের বড় অংশই আর উদ্ধার হয়নি। রহস্য জনকভাবে উধাত্ত হওয়া কিশোর তরুনীর শেষ ঠিকানা কোথায় কেমন আছেন তারা ।
এ ব্যাপারে অনুসন্ধান বেরিয়ে এসেছে অনেক চাঞ্চল্যকর কাহিনী । রাজধানীতে উধাত্ত হওয়া কিশোরী তরুনীদের বড় অংশই আটকে পড়েছে রাজধানী উত্তরার দেহ বানিজ্যের বেড়াজালে । অনেকেই আবাসিক হোটেল ও গেস্ট হাউজের বাসিন্দা হতে বাধ্য হয়েছেন । বাকিদের ঠাই হয়েছে বিভিন্ন বাসাবাড়ি । অ্যাপার্ট মেন্টের আবদ্ধ ফ্ল্যাটে ,অনুসন্ধানে জানা যায়। জীবিকার তাগিদে তিলোত্তমা ঢাকায় পা রেখেই প্রতারকের প্রেম ছলনায় সব হারিয়েছে মমতাজ, শিউলি, রেজিয়া, বীনা, তিথি, তারা, মুন্নী সহ অনেকেই । এরকম অসংখ্য মেয়েদের হায়ঃ আফসুস চোখের পানি বুক ফাটা কান্না আকাশে বাতাসে ঘুরে বেড়ায়। ঢাকার কলগান্ট বিজনেস খুবই সুসংগঠিত ।
এ পেশাটি যারা নিয়ান্ত্রন করেন তাদের নেটওয়ার্কও শক্তিশালী প্রশাসনের নাকের ডগায় এরা ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছে। থানার দুই একজন চরিত্রহীন এস আই কিংবা থানার বড় বাবুর সাথে এদের সম্পর্ক থাকে চরম। মাঝে মাঝে এসব জায়গায় আসা যাওয়া করে তারা আবার মাসিক টাকাও পায়।
এরকম আবার কিছু ভূয়া নামধারী সাংবাদিকও আছে ভুইফোড় বিভিন্ন অনলাইন ও দৈনিক, সাপ্তাহিক মাসিক পত্রিকার কার্ড বানিয়ে সেকেন্ড হ্যান্ড একটা হোন্ডা জোগাড় করে খুজে বেড়ায় কোথায় আছে টু নাইনটি দেহ ব্যবসায়ীরা আর খুজে পেলে তারাও ঐ পুলিশদের মতো নিষিদ্ধ জায়গায় যাতায়তও করে আর টাকাও খায় এসব পুলিশ আর সাংবাদিকদের পোয়া ফরো গাছের আগারটাও খায় গোড়াটাও খায়। শাহনাজ, বাড়ী নং – ১৬ রোড নং ০৭ সেক্টর -১০ লিফটের (৫) ০১৭৪৬৩৪০২৯৪ । মিতা সেক্টর – ১৩, রোড নং – ৩, বাড়ী নং ৫০ তৃতীয় তলা ডান পাশের্^ । সুমন, সেক্টর -১০,রোডনং- ০৪, বাড়ীনং – ০৩, লিফটের (৩) পিছনের সাইট । ইভা, সেক্টর – ৩, রোড়নং- ৭/সি, বাড়ীনং- ১৭ ২য় তলা (ডান পাশের্^ ) ছোট কবির, বড় কবির আফসানা, নদী, রতন , সাথী, রেহানা, পলি, সাগর, কিং তাজু, জিয়া, জাকির মোল্লা, আমজাদ, লাবনী, গমছা বাবু, হাফজা/ মফিজুল (বালুর মাঠ সেক্টর- ১৫ ) মাসুদ, রানা, সাইদুল, আনিকা, নয়ন, জাহানারা, আজাদ, ইমরান, সেলিম সরকার, উসা, হ্যাপি, সেলিম, মালেক, জাহিদ, হৃদয়, মনসুর, বিজয়, সফিক, আরিফ, সিউটন সুমন (খুলনা) জুই ওরফে জুলেখা, সহ অনেকেই এই অসামাজিক ব্যবসা পরিচালনা করছে অনুসন্ধানে জানা যায় খোদ উত্তরায় এমন ব্যবসা করছে প্রায় ১৮০-২০০ টি আভিজাত ফ্ল্যাটে, ২৫-৪০ হাজার টাকা ভাড়া ফ্ল্যাটে ১-২ লক্ষ টাকার ফানির্চার সাজিয়ে ২-৪ টি তরুনী কিশোরী মেয়ে রেখে তাদের হাতে গোনা কাস্টমার বা খদ্দরকে মোবাইল ফোনে জানায় ভালো সুন্দরী মেয়ে আছে চলে আসেন ঠিক এভাবেই দিনের বেলাতেই লোক চক্ষুর আড়ালে আলিশান দালানের মনিকোঠায় চলে অবৈধ আয়ের রংলিলা আর যারা এই ব্যবসা করে যা করায় তারাও এই নিষিদ্ধ লাইন থেকেই উঠে এসেছে ।
এই বিষয় নিয়ে রাজধানী উত্তরায় বিল্ডিংয়ের মালিক এবং উত্তরা কল্যান সমিতির কর্মকর্তাদের সাথে কথা বললে তারা জানায় এরা অভিনয়ে পাকা বিভিন্ন পরিচয়ে অভিনয় করে ফ্ল্যাট বাড়ী ভাড়া নিয়ে এই কর্ম করে সহজে ধরা যায় না কিন্তু এই অসামাজিক কর্মকান্ডে স্কুল কলেজের ছেলে মেয়েরা বিপদ গামী হয়ে মাদকাসক্ত হয়ে পড়ছে।
উল্লেখ্য এসব বাসা ফ্ল্যাটে অবাদে মাদক সেবনের একটি বড় সুযোগ পাচ্ছে । জরুরী ভিত্তিতে প্রশাসন এই অসামাজিক কার্যকলাব বন্ধ করতে না পারলে সমাজে আরোও বড় ধরনের অবক্ষয় নেমে আসবে বলে সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞদের মতামত ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply