রবিউল আলম রাজু :
রাজধানীর উত্তরায় সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম এর উপর হামলার প্রতিবাদ ও বিচারের দাবিতে মানবন্ধন করেছে উত্তরার সকল সাংবাদিকবৃন্দ। দৈনিক বাংলাদেশ বুলেটিনের সিটি রিপোর্টার মো. আমিনুল ইসলাম এর উপর ডিএম শামীমের লালিত সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা চালায়। এ সময় সাংবাদিক আমিনুল ইসলাম গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় থানায় গিয়ে বিষয়টি অবহিত করে পরবর্তীতে টঙ্গী সরকারি হাসপাতাল থেকে প্রথমিক চিকিৎসা শেষে পুনরায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করলে এখনো পর্যন্ত কোন ব্যবস্থা নেয়নি উত্তরা পূর্ব থানা পুলিশ।
ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের নবগঠিত ৫০নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীম ও তার সহকারি মামুন সিরাজুল কাদের কানন, মো. মাসুদ রানার দূর্নীতি, মাদক ও অনিয়ম তুলে ধরে সর্বশেষ ১৮মে ২০২০তারিখ বাংলাদেশ বুলেটিনে সংবাদ প্রকাশিত হলে ডিএম শামীমের লালিত সন্ত্রাসী বিভিন্ন লোক দিয়ে আমিনুল ইসলামকে প্রাননাশের হুমকি দেয়। এরি জের ধরে ১৯ তারিখ মঙ্গলবার রাত আনুমানিক ৮.৩০মি. দিকে নবাব হাবিবুল্লাহ স্কুল এন্ড কলেজের গেট সংলগ্ন বেস্ট ফারমা লিঃ নামক ফার্মেসীর সামনে মাসুদ রানাসহ আনুমানিক ১০/১২ জন লোক তাদের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছর।
হঠাৎ আমিনুল ইসলামের মোটরসাইকেলের সামনে এসে ঘিরে ধরে এবং মোটরসাইকেলের চাবি কেড়ে নিয়ে বলে তোর বাসা কোথায়?, তুই কিসের সাংবাদিক? শামীম ভাইয়ের বিরুদ্ধে নিউজ করো? তরে নিউজ করামু। এই বলে তাদের হাতে থাকা লোহার রড ও পাইপ দিয়ে সাংবাদিককে পিটিয়ে নিলা ফুলা জখম করে গুরুত্বর আহত করে। তারা আমিনুলের সাথে থাকা একটি মোবাইল ও গাড়ির চাবি, গলার চেইন ছিনিয়ে নেয় এবং গাড়ির সামনের অংশ ভেঙ্গে ফেলে। আমিনুল জীবন বাঁচানোর জন্য কোনরকম দৌঁড়ে থানার উদ্দেশ্যে ছুঁটে যায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা থানার দিকে যেতে দেখলে ভয়ে পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে আমিনুল ইসলাম জানান, সত্য ঘটনা তুলে ধরা একজন সাংবাদিকের নৈতিক দায়িত্ব¡। আমি আমার দায়িত্ব পালন করেছি মাত্র। ডিএম শামীমের ত্রান নিয়ে সাধারন মানুষের উপর অত্যাচার, দূর্নীতি ও তার ওয়ার্ডে ঘটে যাওয়া অনিয়ম তুলে ধরার কারনে ডিএম শামীমের নির্দেশে ও কানোনের সহযোগীতায় মাসুদ রানাসহ তার দলবল নিয়ে আমার উপরে হামলা চালায়। আমি এর দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছি।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন, (১) এসএম জামান এটিভির সম্পাদক, (২) দৈনিক আলোকিত সকালের সম্পাদক মাসুম (৩) উত্তরা বাণীর সম্পাদক আসাদ জং, (৪) ঢাকা ডট টিভির সম্পাদক জুয়েল আনান্দ , (৫) যুগান্তরের সাংবাদিক রফিকুল ইসলাম, (৬) দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের সম্পাদক সহ আরো অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ। এ বিষয় নিয়ে ৫০ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ডিএম শামীমের সাথে কথা হলে তিনি দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে জানান, সাংবাদিক আমিনুলের উপরে হামলার বিষয়টি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন। বরং এই নির্বাচনের আগের নির্বাচনে আমিনুল আমার অন্যান্য সহকর্মীদের মতো নির্বাচনের কাজ করে, আমি তাকে বিভিন্ন ভাবে আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করি। এই নির্বাচনেও সে আমার জন্য কাজ করে, তাকে এবারও আমি আর্থিক সহযোগীতা প্রদান করি।
গত কয়েকদিন আগে আমার কাছে আমিনুল এসে জানায়, আমি একটি ইফতার পার্টি করবো, আমাকে ইফতার পার্টির খরচ দেন। সেখানে উপস্থিত আমার অফিসের লোকেরা আমিনুলকে বলেন, যদি কাউকে ইফতার খাওয়ান সেটা তো আপনার নেকী হবে; অন্যের কাছ থেকে টাকা নিলে তো আপনার নেকী হবে না, এই কথার উপর কিছুটা বাকবিদন্ডা হলে আমিনুল চলে যায়। আমি ডিএম শামীম ৫০ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর বুঁকে হাত দিয়ে বলতে পারি ১ পয়সাও হারাম উপার্জন করি না, আমার ব্যবসার টাকা এবং আমার বাবার টাকা জনগণের পিছনে খরচ করি।
এই করোনা মহামারীতে আমার নিজস্ব তহবিল থেকে ৩০ লক্ষ টাকা ত্রাণ সামগ্রী আমার এলাকার জনগণের মাঝে বিতরণ করি এবং শিশুদেরকেও কয়েক লক্ষ টাকার দুধ কিনে দিয়েছি। আপনারা জানেন, করোনা ভাইরাসে দূরত্ব বজায় রেখে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করতে হয়। আমার অফিসের পাশের বিশাল মাঠটিতে ত্রাণ নেওয়ার জন্য যখন মানুষ ডিসটেন্স মেইনটেইন করে দাঁড় করিয়েছি ঐ মূহুর্তে একজন বৃদ্ধ লোক ত্রাণের জন্য আমাদের কাছে আসলে তাকে বলা হয় আপনি অপেক্ষা করেন সবাইকে ত্রাণ দেওয়ার পর আপনাকেও দেওয়া হবে।
এই বৃদ্ধ লোকের ছবি তুলে আমিনুল আমার বিরুদ্ধে আমার ইমেজকে নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করে পরপর কয়েকটি মিথ্যা সংবাদ অনলাইনে প্রকাশ করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেছি। আপনারাই বিষয়টি ভালো করে তদন্ত করে দেখেন কোনটি সত্য; কোনটি মিথ্যা। তাকে আমার কোন লোক মারে নাই। তার গলার চেইন নেয়নি, তাকে কোনদিন আমি স্বর্ণের চেইন পড়তেও দেখিনি, তার সব কথা মিথ্যা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply