রাজারহাট(কুড়িগ্রাম)প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের রাজারহাটে শিক্ষক আলহাজ্ব আহসান হাবিব সানু হত্যাকান্ডের পর ২৮ দিন অতিবাহিত হলেও আজ পর্যন্ত পুলিশ কোন আসামিকে গ্রেফতার করতে পারে নি। এনিয়ে এলাকার জনমনে নানা প্রশ্নের উদ্রেক হয়েছে।
মামলার এজারহার সূত্রে জানা যায়, রাজারহাট উপজেলার রাজারহাট ইউপির ঝাকুয়াপাড়া গ্রামের আঃ হাই ঝুনুর পুত্র আহসান হাবিব সানু (৩২) এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে পারিবারিক কোন্দল চলছিল। ওই কোন্দলের জের ধরে গত (৩০ এপ্রিল) বৃহস্পতিবার দুপুরে পিতা-পুত্রের মধ্যে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে পিতা তার অন্যান্য সহযোগিদের নিয়ে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে আলহাজ্ব আহসান হাবিব সানুকে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে মাথাসহ শরীরে গুরতর আহত করে।
পরে এলাকাবাসীরা ছুটে এসে তাকে উদ্ধার করে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে দেন। আহত আহসান হাবিব সানু (৩২) পরদিন ১ মে শুক্রবার দুপুর ২ঘটিকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় রংপুর সদর হাসপাতাল মারা যায় বলে হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক নিশ্চিত করেন। এ ঘটনা এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে ঘাতক পিতা ও তার অন্যান্য সহযোগিরা পালিয়ে যায়। ঐদিন আলহাজ্ব আহসান হাবিব সানু স্ত্রী নুশরাত জাহান নিপা (২৫) বাদী হয়ে রাজারহাট থানায় তার শ্বশুর আব্দুল হাই ঝুনুকে প্রধান আসামী করে মাহবুব রহমান, বাচ্চু মিয়া ও আঃ লতিফ এর নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত নাময়ীও ৫-৬জনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ০১ তাংঃ ১-০৫-২০২০ইং। এ চাঞ্চল্যকর হত্যাকান্ডের ২৮ দিন অতিবাহিত হলেও রাজারহাট থানা পুলিশ এখন পর্যন্ত কোন আসামি কে গ্রেফতার করতে পারে নি।
নুশরাত জাহান নিপা বলেন,আমার স্বামী সানু পার্শ্ববর্তী চান্দামারী উচ্চ বিদ্যালয়ের কৃষি শিক্ষক হিসেবে কর্মরত ছিল। তার হত্যার ২৮ দিন অতিবাহিত হলেও পুলিশ হত্যাকারীদের এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এখন আমার মেয়ে আর্শিয়া হাবিবা ছাফিয়া (৬) কে নিয়ে আমি দিশেহারা হয়ে পড়েছি। অপরদিকে মামলা তুলে নেয়ার জন্য আমাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিচ্ছে।
এ বিষয়ে রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ রাজু সরকার বলেন, আহসান হাবিব সানু হত্যারকারীদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply