সাদিয়া সাদি রাজৈর মাদারিপুর প্রতিনিধি :
শিক্ষকের উপরে হামলার ঘটনায় শিক্ষা বোর্ডের নির্দেশ অনুযায়ী ম্যানেজিং কমিটি স্থগিত ঘোষনা করা হয়েছে। খন্ডকালিন দুই শিক্ষককে বহিস্কার ও মামলার আসামী থাকায় এক শিক্ষককে বরখাস্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এ ছাড়াও তিনদিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে ফিরে আসার আহবান জানানো হয়েছে।
মাদারীপুরের রাজৈর কদমবাড়ী ইউনিয়নের আড়ুয়াকান্দি নটাখোলা বড়খোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের দুই জন খন্ডকালিন শিক্ষককে ম্যানেজিং কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক বহিস্কার করা হয়েছে । তারা হলো রবিন্দ্রনাথ বিশ্বাস ও কল্পনা ঘোষ। এছাড়াও মামলার আসামী থাকার কারণে প্রনব কান্তি দত্তকে বরখাস্তে ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন। প্রধান শিক্ষকের রুমে জরুরি সভায় এসব সিদ্ধান্ত জানানো হয় । সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউএও সোহানা নাসরিন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ শাহজাহান খান,উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও নবনির্বাচিত উপজেলা চেয়ারম্যান এম.এ মোতালেব মিয়া, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ননি গোপাল, ওসি(তদন্ত) ইমতিয়াজ আহমেদ, অত্র বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন ঠাকুর, রাজৈর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মনিন্দ্রনাথ বাড়ৈ ও আলমদস্তার উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাহাবুব শিকদার,সাংবাদিক বৃন্দ এবং এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
উল্লেখ্য:গত ২ এপ্রিল মঙ্গলবার নবম শ্রেণির ছাত্র কিংকন বৈদ্য স্কুলে না আসায় শিক্ষকরা তাকে স্কুলে ডেকে এতে জানতে চায় কি কারনে সে স্কুলে আসে না।তখন সে শিক্ষকদের সাথে খারাপ আচরন করলে শিক্ষকরা তাকে খূঁটিতে বেধে নির্যাতন চালায়। পরদিন বুধবার কিংকন রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি হয়। এই ঘটনায় ৬ এপ্রিল শনিবার শিক্ষার্থীরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে শিক্ষকদের বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন করে। পরে ৯ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রধান শিক্ষক সকুলে আসলে শিক্ষার্থীরা তার উপর হামলা চালায়। গুরুতর আহতাবস্থায় প্রধান শিক্ষককে ঐ দিনই রাজৈর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় উপজেলার কদমবাড়ী ইউনিয়নের আড়–য়াকান্দি নটাখোলা বড়খোলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্বপন ঠাকুরের উপর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে ও আসামীদের গ্রেপ্তারের দাবীতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার শিক্ষক ও কর্মচারীবৃন্দ। গত ১৭ এপ্রিল বিকেলে ঢাকা বরিশাল মহাসড়কের রাজৈর বাসষ্ট্যান্ডে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
প্রধান শিক্ষক বাদাী হয়ে ১০ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১৯/২০ জনকে আসামী করে চাঁদাবাজি, চুরিসহ অন্যান্য অভিযোগে ১১ এপ্রিল বৃহষ্পতিবার রাজৈর থানায় মামলা দায়ের করেন । এই মামলা প্রত্যাহার ও প্রধান শিক্ষক স্বপন ঠাকুরের অপসারন দাবীতে শিক্ষার্থীরা ক্লাস বর্জন করে বিক্ষোভ মিছিল করে। এ পরিস্থিতিতে স্কুলের প্রায় সাড়ে পাঁচশত ছাত্রছাত্রীর লেখা-পড়ার পরিবেশ এক প্রকার বন্ধ হয়ে পড়েছে।
রাজৈর রাজৈর উপজেলার নির্বাহি অফিসার (ইউএনও) সোহানা নাসরিন বলেন ম্যানেজিং কমিটির স্থগিত। খন্ডকালিন দুই শিক্ষক বহিস্কারসহ একজনকে বরখস্তর জন্য ব্যবস্থা গ্রহন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদেশ্য ইউএনও আরো বলেন,স্কুলে লেখা-পড়ার পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য তিন দিনের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে আসার আহবান।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply