মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৪:৩০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক সরকারি কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় তুরাগে মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্য পূবাইলে সমবায় অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি বনানী পুলিশ ফাঁড়ির নিকটেই অবৈধ ফুটপাতের দোকান, নেপথ্যে ইন্সপেক্টর একরামের আতাত বাজেট ডিব্রিফিং সেশন সংসদ সদস্যগণকে বাজেট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে : স্পীকার বাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ গড়তে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কালিহাতীতে মাদ্রাসার ভূমি জবরদখল : উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি নীলফামারীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার  : তথ্যমন্ত্রী মিরপুরে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ: ২ মামলা, আসামি সহস্রাধিক

রাণীশংকৈলে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক দূর্ণীতি সখ্যতা প্রকৌশলীর

Reporter Name
  • Update Time : রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৪১ Time View

আনোয়ার হোসেন জীবন রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও) :

 

বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্থাপনা, ব্রীজ, কালভার্ট, রাস্তার উন্নয়নে অগ্রগণ্য ভূমিকা রাখছেন তিনি। নানা কর্মসূচী হাতে নিয়ে তা বাস্তবায়নের জন্য এগিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এসব নির্মান কাজের বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্নরুপ। উপজেলা প্রকৌশলীদের যোগসাজসে উন্নয়নমূলক কাজে ব্যাপক দূর্ণীতির আশ্রয় নেওয়া হচ্ছে। উপজেলা প্রকৌশলী, রাজণৈতিক ব্যক্তি সহ বিভিন্ন জনের সম্পৃক্ততা রয়েছে।
উপজেলার কাউন্সিল বাজার হতে উত্তরমুখে ১২২১ মিটার রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজ করেন আঃ মালেক নামে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। নির্মান কাজের সময় সরেজমিনে গেলে কাজের অনিয়ম পাওয়া যায়। এব্যাপারে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধিকারী আঃ মালেককে বলা হলে তিনি লেবার সর্দার বিরেশের মাধ্যমে সংবাদকর্মীদের ম্যানেজ করার অপচেষ্টা করে ব্যার্থ হন।

 

বিশ্বস্থ সুত্রমতে, উপজেলা প্রোকৌশলী তারেক বিন ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানার ইন্দনে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো বেপরোয়াভাবে কাজে অনিয়ম দূর্ণীতি করে থাকে । ফলে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো প্রকৌশলীদের ইন্দন পেয়ে তারা কাউকে পরোয়া করে না। নিজের ইচ্ছামতো কাজ করে। এসব নিম্নমানের নির্মান কাজ অনেক সময় শেষ হতে না হতেই নষ্ট হতে শুরু করে।

 

শুধুমাত্র কাগজ পত্র ঠিক রেখে এলজিএসপি’র কাজের সিংহভাগ টাকা সংগঠিতভাবে লুটপাট করা হয়। ঘরবাড়ি মেরামতের নামে চলে অরাজকতা। নামমাত্র কাজ করে পুরো টাকা আত্মসাৎ করা হয়। প্রতিটি কাজে প্রৌকশলী তারেক বিন ইসলাম ও সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ রানার সম্পৃক্ততার রয়েছে।

 

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ পাওয়ার পর মহলবাড়ির মিঠু, শ্রমিক সর্দার মহসিন’র মত কিছু লোকের কাছে কাজ বিক্রী করে দেওয়ার ফলে কাজে আরো বেশি অনিয়ম হয়। ফলে রাস্তাঘাট, ব্রীজ, কালভার্ট, স্থাপনার কাজগুলো খুবই নিম্নমানের হয়।স্থাপনা নির্মান কাজে নিম্নমানের রড, সিমেন্ট, বালি ইত্যাদি ব্যবহার করা হয়। রাস্তার উন্নয়নমূলক কাজে নিম্নমানের বিটুমিন, বালি, অতিরিক্ত বড় মাপের খুয়া, নিম্নমানের বালি, বালির পরিবর্তে মাটি ব্যবহার করা হয়।

 

এব্যাপারে সহকারী প্রকৌশলী মাসুদ’র সাথে কথা বললে তিনি জানান, ঠিকাদার তার মত কাজ করতেছে। তাছাড়া কাজ অনিয়মের ব্যাপারে রাজনৈতিক সম্পৃক্ততার আছে।

 

অপরদিকে উপজেলা প্রকৌশলী তারেক বিনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঠিকাদার যদি মিঠুনকে কাজ দেয় আমার করার কি আছে। খুয়ার সাইজ বড় থাকার ব্যাপারে তিনি বলেন আড়াই থেকে তিন ইঞ্চি পর্যন্ত খুয়া চলবে এটা আমাদের ডকুমেন্ট আছে। আর রাস্তায় বালির পরিবর্তে মাটি ভর্তির ব্যাপারটা আমার চোখে পড়েনি।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়