গাজী আরিফুর রহমান, বরিশাল :
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার নাচনমহল ইউনিয়ন পরিষদের আওতায় নির্মিত দক্ষিণ ডেবরা সাইক্লোন সেন্টার থেকে মতিউর রহমান আকনের বাড়ি পর্যন্ত ইট সলিং রাস্তার মাঝখান থেকে রাতের আঁধারে কেটে জমির সঙ্গে মিলিয়ে ফেলা হয়েছে। এর মাধ্যমে ওই পথে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। ফলে এলাকার লোকজন ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে পারছে না।
এই পরিস্থিতিতে চরম দুর্ভোগে পড়েছেন ওই গ্রামের অসংখ্য পরিবারের লোকজন। এ ঘটনায় রবিবার ( ১৮ সেপ্টেম্বর ) দুপুরে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে নলছিটি থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মো.কামাল হোসেন।
এদিকে ঘটনাকে কেন্দ্র করে গ্রামবাসীর মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। দ্রুত এই পরিস্থিতির সুষ্ঠু সমাধানের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে, শনিবার ( ১৭ সেপ্টেম্বর ) দিবাগত রাত আনুমানিক ১২ টার দিকে নাচনমহল ইউনিয়নের দক্ষিণ ডেবরা এলাকার মৃত্যু তাজন আলী খানের ছেলে মো. জলফুকার খান সঙ্গীয় দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র কোদাল, শাবল ও খুনতা দিয়ে মতিউর রহমান আকনের বাড়ির পথের ওই প্রাচীন রাস্তাটির ইট , বালু ও মাটি কেটে রাস্তার পাশে ফেলে রাখেন। এসময় কামাল হোসেন তাঁদেরকে দেখে রাস্তা কাটায় বাঁধা দিলে তাঁরা কামালকে মারপিট করার জন্য উদ্যত হয়। পরবর্তীতে কামাল হোসেনের ডাক – চিৎকারে আসেপাশের লোকজন জড়ো হলে তাঁরা খুন জখমের হুমকি দিয়ে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গেলে স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি সাংবাদিকদের বলেন, রাস্তার ইট ও মাটি কেটে জমিতে একীভূত করায় লোকজন ও স্কুলের ছাত্র-ছাত্রী চলাচল করতে পারছে না। ফলে চরম দুর্ভোগ তৈরি হয়েছে।
অভিযোগের সত্যতা শিকার করেছেন, জলফুকার খানের স্ত্রী মোসাম্মৎ রাহিলা বেগম। তিনি বলেন, এই জায়গা আমাদের। এটা আমাদের বাড়ির জায়গা। তাই আমরা রাস্তা কেটেছি। আমাদের নিজস্ব জায়গা দিয়ে আর রাস্তা দেবো না। সীমানা মেপে অন্য জায়গা দিয়ে রাস্তা নির্মাণ করে চলাচল করুক।
এ বিষয়ে নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ( ওসি ) মো. আতাউর রহমান বলেন, এ ব্যাপারে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অভিযোগ তদন্তকারী কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। রাস্তা কেটে ফেলা হয়েছে তা সত্য। তবে কেন কাটা হয়েছে সে বিষয়ে তদন্ত চলছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply