শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৭:৫০ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নীলফামারীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন ঢাকাসহ তাপপ্রবাহ বইছে ৬০ জেলায় সোনারগাঁয়ে ৭টি রেষ্টুরেন্টসহ দুই হাজার অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন ১ জনকে আটক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা দাম কমবে ইন্টারনেটের ১৬১ টাকা কমলো ১২ কেজি এলপিজির দাম মেলান্দহের আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র! উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রেললাইন বস্তি অপরাধ মাদকের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানীর বিস্তৃত এলাকার একচ্ছত্র মাদক সম্রাট হুমায়ুন কবির গাজী ক্ষমতার জোরে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে; থানায় অভিযোগ

রোজা রেখে ইনসুলিন, ইনজেকশন ও রক্ত পরীক্ষার বিধান

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩
  • ৩২ Time View

 

 

মোঃ আবদুল আউয়াল সরকার :

রোজা রাখা অবস্থায় পরীক্ষার জন্য ‘রক্ত দিলে রোজা ভঙ্গ হবে না। শুরু হলো মাসব্যাপী সিয়াম সাধনা তথা রমজান মাস। ধর্মীয় দিক থেকে রমজান মাস খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনা করা হয়।

রমজান মাসে ডায়াবেটিকস রোগসহ অন্যান্য রোগবালাইয়ে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্ত পরীক্ষার প্রয়োজন হয়। রোজা রাখা অবস্থায় রক্ত দিলে রোজা ভেঙে যাবে এমন চিন্তা থেকে অনেকেই রক্ত পরীক্ষা থেকে বিরত থাকেন। তাতে করে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হয়। আশার কথা হচ্ছে, জীবন রক্ষায় ‘রোজা রাখা অবস্থায় কোন ডায়াবেটিকস বা অন্য রোগে আক্রান্ত ব্যক্তিকে পরীক্ষার জন্য রক্তদিলে রোজা ভঙ্গ হবে না।

ডায়াবেটিসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের রক্ত পরীক্ষা, ইনসুলিন, ইনজেকশন, স্যালাইন নেয়া জরুরি। ডায়াবেটিস আক্রান্ত কোন ব্যক্তিকে যদি রোগের কারণে ইনসুলিন, ইনজেকশন, টিকা কিংবা স্যালাইন গ্রহণ করতে হয়, তাহলে রোজার কোন হেরফের হয় না। ইনজেকশন দ্বারা যেসব ওষুধ শরীরে প্রবেশ করনো হয়, তা রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার শর্তদের মধ্যে পড়ে না। রোজা ভেঙ্গে যাওয়ার জন্য যে গ্রহণযোগ্য ‘রাস্তা তথা খাদ্যনালী বা মস্তিষ্কের পথ রয়েছে, তা দিয়ে ইনজেকশন, ইনসুলিন, স্যালাইন কিংবা টিকা’ ইত্যাদি প্রবেশ করানো হয় না।

অন্যদিকে ইসলামি আইন শাস্ত্রের সুস্পষ্ট সিদ্ধান্ত হচ্ছে, যে কোনো ধরনের ইনজেকশন বা টিকা নেওয়া হলে রোজার কোন ক্ষতি হবে না। চাই তা শিরায় দেয়া হোক কিংবা চামড়া, মাংসে, বা পেটে।
রক্তদান রোগীর সেবার রোগীর সেবার অন্তর্ভুক্ত। কারণ পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে, যে ব্যক্তি কোনো মানুষের জীবন রক্ষা করল, সে যেন পুরো মানবজাতিকে রক্ষা করল। (সুরা মায়েদা, আয়াত : ৩২)

আল্লাহর রাসুল (সা.)-এর সাহাবি ইকরিমা (রা.) বলেন, নবী কারিম (সা.) হজের জন্য ইহরাম বাঁধা অবস্থায় শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন এবং রোজা অবস্থায়ও শরীর থেকে শিঙ্গার মাধ্যমে রক্ত বের করেছেন। (বুখারি, হাদিস : ১৯৩৮; মুসলিম, হাদিস : ১১০৬; আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৭২)

অতএব, রমজান মাসে মানবসেবার নিয়তে রক্ত দিতে প্রস্তুত থাক উচিত। এতে রোজা রাখার সওয়াব লাভের পাশাপাশি মানবসেবার সওয়াবও লাভ হবে। আল্লাহ তাআলা আমাদের তাওফিক দান করুন।

লেখক: চিকিৎসা প্রযুক্তিবিদ,শিক্ষক ও গনমাধ্যমকর্মী।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়