মঙ্গলবার, ২১ মার্চ ২০২৩, ০৬:৫০ পূর্বাহ্ন

রৌমারীতে কোভিড-১৯ টিকাদান কার্যক্রমে অনিয়মিত শ্রমীক মজুরীর অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ১৩ সেপ্টেম্বর, ২০২২
  • ২৫ Time View

(প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ টাকা তছরুপ)

 

শওকত আলী মন্ডল, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :

কোভিড-১৯ করোনার প্রতিরোধ টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য ২০২১-২২ অর্থ বছরে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় স্বাস্থ্য তহবিল খাতে বরাদ্দে অব্যয়িত অর্থ হতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অনুকুলে খাত ভিত্তিক অনিয়মিত শ্রমীক মজুরী ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা, বর্জ্য ব্যবস্থাপনা ৫ হাজার ৮৮০ টাকা, প্রচার ও বিজ্ঞাপন (মাইকিং) ১৮ হাজার টাকা, সাব-ব্লক অনুযায়ী সেশন পরিকল্পনা বিল ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪শত টাকা, বুস্টার ডোজ কার্যক্রমে ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫০ টাকা, ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ টিম বিল ১ লাখ ৬১ হাজার ৫০০ টাকা, ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম অর্থায়নে ১৫ দিনের অর্থ ৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকা সামান্য কিছু অর্থ টিকাদান কর্মীদেরকে দিয়ে বাকি ভূয়া নাম সাজিয়ে অভিনব কৌশলে অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে রৌমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃপঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামনের বিরুদ্ধে এ অভিযোগ করেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক অনেক টিকাদান কর্মী ও সেচ্ছাসেবক।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সারাদেশে করোনা মহামারির সময় করোনা ঠেকাতে এবং প্রতিরোধক টিকাদান কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার জন্য করোনা ভাইরাসের প্রার্দুভাব মোকাবেলায় টিকাদান কর্মী ও অনিয়মিত শ্রমিক মজুরী ও সম্মানী ভাতায় কিছু সেচ্ছাসেবক নিয়োগ প্রদান করা হয়। তদপ্রেক্ষিতে পরিচালক ও লাইন ডাইরেক্টর এম.এন.সিএন্ড.ইএইচইপি আই ভবণ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত বিভাজন অনুযায়ী উক্ত বরাদ্দকৃত অর্থ রৌমারী হাসপাতালে কর্মী ও সেচ্ছাসেবকের মাঝে বিতরনের জন্য দেয়া হয়।

যেমন কোভিড-১৯ প্রতিরোধক টিকাদান কার্যক্রমে ভূয়া নামে টিকাদানকর্মী ও সেচ্ছাসেবকদের অনিয়মিত শ্রমিক মজুরী ২৪ দিন হিসাবে ৭ মাস মোট ১৬৮ দিন ৫ টিমের ১৫ জন সেচ্ছাসেবকের মোট বিল ৮ লাখ ৮২ হাজার টাকা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন এর জন্য নিয়মিত টিকাদান কেন্দ্র চলমান ও অব্যাহত রেখে প্রতি ওয়ার্ডের সাব- ব্লক অনুযায়ী সেশন পরিকল্পনা (ংড়ব) ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পিইন কার্যক্রমের জন্য অর্থ উত্তোলন ৬ লাখ ৪৬ হাজার ৪শত টাকা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশনের বুস্টার ডোজ ৪ জুন হতে ১০জুন/ ২০২২ এর (ংড়ব) অর্থ উত্তোলন ১ লাখ ৬৮ হাজার ৮৫০ টাকা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন ১-১৭ নভেম্বর ২০২১ ইং ইউনিয়ন পর্যায়ে ৩ টিম ২ দিনের ক্যাম্পেইন অর্থ উত্তোলন ১ লাখ ৬১ হাজার ৫ শত টাকা, কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম (যিড়) অর্থায়নে ১০ জানুয়ারী থেকে ৮ ই এপ্রিল ২২ পর্যন্ত ১৫ দিনের অর্থ উত্তোলন ৩ লাখ ৬৯ হাজার টাকাসহ মোট প্রায় সাড়ে ২৪ লাখ অর্থ উত্তোলনে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামনের বিরুদ্ধে এ অর্থ তশ্রুপের অভিযোগ উঠেছে।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক টিকাদান কর্মীরা বলেন, করোনা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শুধু মাত্র ৮ এপ্রিল ২০২২ পর্যন্ত ১৫ দিনের ৩ হাজার টাকা করে পেয়েছি। আর অন্য কোন টাকা দেয়া হয়নি। তবে এবিষয় নিয়ে স্যারকে বলা হলেও কোন কথা বলেননি। টিকাদান কর্মি ও সেচ্ছাসেবগণ পরিশ্রমের অর্থ না পেয়ে অর্থ তশ্রুপের বিষয়টি নিয়ে সকলে ক্ষোভ বিরাজ করছে।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পঃ পঃ কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদুজ্জামানকে জিজ্ঞাস করলে তিনি জানান, প্রতিটা খাতের অর্থ করোনায় নিয়োগকৃত সকল কর্মী ও সেচ্ছাসেবকদেরকে দেয়া হয়েছে। আমি এ প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়েও, শেষে সবাইকে টাকা দেয়ার পর আমার পারিশ্রমীকটাও পাইনি। তবে যারা অভিযোগ দিয়েছে এবং ভূয়া নামে অর্থ উত্তোলনের কথা বলা হয়েছে, তা সত্য নয়।

সিভিল সার্জন কুড়িগ্রাম ডাক্তার মোঃ মঞ্জুর-এ-মোর্শেদ বলেন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে বিভাজনের মাধ্যমে প্রতিটি উপজেলায় খাত অনুপাতে যেভাবে বরাদ্দের চেকগুলি দেয়া হয় সেই ভাবেই উপজেলা স্বাস্থ্য পঃপঃ কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়। করোনা টিকাদান কর্মী ও সেচ্ছাসেবকদের মাঝে সঠিক ভাবে বিতরণ করবেন তিনি। তবে সঠিক বিতরণ না করে অর্থ আত্মসাত করার ঘটনায় কোন অভিযোগ পেলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

 

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়