শওকত আলী মন্ডল, রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি :
রৌমারীতে দোকানের কর্মচারির সাথে ছোট বোন পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় মানুষিক দুশ্চিন্তায় ও সম্মানহানি হওয়ায় আবেগের বসবতিতে আক্কেল আলীর পুত্র এক কন্যা সন্তানের পিতা আব্দুস সবুর শাহিদ (২৫) নামের এক টিন, সিমেন্ট, রড ব্যবসায়ী ফ্যানের সাথে গলায় গামছা বেধে আত্মহত্যা করেছে। ১৮ সেপ্টেম্বর দিনগত রাত আনুমানিক ভোর ৫ টায় উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের বাতার গ্রামে নিজ বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ সেপ্টেম্বর শৌলমারী এম আর স্কুলের ৮ম শ্রেণীর ছাত্রী ছোট বোন সুমাইয়া আক্তার দোকানের কর্মচারী চৎলাকান্দা গ্রামের আলীর পুত্র কাউছার আলীর সাথে সকালের দিকে পালিয়ে যায়। পরে খোজা খুজির এক পর্যায়ে না পেয়ে রৌমারী থানা পুলিশকে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ বিষয়ে চেয়ারম্যান, এলাকার রাজনৈতিক নেতা ও মাতাব্বরদেরকে বিষয়টি নিরসনের লক্ষে অবগত করলে তারা নিরসনে ব্যবস্থা নেবে বলে জানান।
এ ঘটনায় মানুষিক দুশ্চিন্তা ও সম্মানহানি হওয়ার ঘটনা ঘটে বলে আনুমানিক ভোর ৫ টায় নিজ ঘরের ফ্যানের সাথে গলায় গামছা বেধে আত্মহত্যা করেছে। তার স্ত্রী শাহনাজ পারভীন এমন ফাঁসির ঘটনা দেখতে পেলে আত্ম চিৎকার শুনে লোকজন এসে ফ্যানের সাথে ঝোলানো লাশ দেখতে পায়।
এ ঘটনা রৌমারী থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনা স্থলে এসে গলায় গামছা বাধা ফ্যানের সাথে ঝোলানো অবস্থার লাশ উদ্ধার করেন। পরে পুলিশ উপস্থিত থাকা ইউপি চেয়ারম্যান, মেম্বার, রাজনৈতিক ব্যাক্তিবর্গ ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিবর্গের সাথে নিয়ে তদন্ত পুর্বক লাশটি মর্গে প্রেরণের জন্য থানায় আনতে চাইলে এলাকার জনরোষে লাশ থানায় আনতে পারেনি। কারন লাশটি নিয়ে থানায় কেউ বাদী হয়নি। পুলিশ বাধ্য হয়ে শাহিদার পিতা আক্কেল আলী, ইউপি চেয়ারম্যান, রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ ও গণ্যমান্য ব্যাক্তিদেরকে থানায় উপস্থিত করে মোছলেকা নিয়ে লাশ দাফনের ব্যাবস্থা করেন।
এ বিষয়ে আক্কেল আলী বলেন, আমার ছোট মেয়ে সুমাইয়া আক্তার কর্মচারির সাথে পালিয়ে যাওয়ায় মানুষিক দুশ্চিন্তায় নিজে আত্মহত্যা করেছে। এ বিষয়ে থানায় কেউ বাদী হয়নি। থানা পুলিশ জোর পুর্বক ময়না তদন্তের জন্য নিতে চাইলে পরিবারের লোকজন নিতে দেয়নি। মোছলেকা দিয়ে এসেছি। লাশ দাফন করা হবে।
অফিসার ইনচার্জ রূপ কুমার সরকার বলেন, তার পালিয়ে যাওয়া বোনের বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেয়া আছে এবং আত্মহত্যার কোন রহস্য থাকতে পারে। মর্গে প্রেরণ করার জন্য লাশটি নেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। পরিবার ও এলাকার জনগণ লাশটি নিতে দিচ্ছে না। লিখিত ভাবে মোছলেকা নিয়ে লাশ দাফনের কথা বলা হয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply