শওকত আলী মন্ডল, রৌমারী (কুড়িগ্রামের) প্রতিনিধি :
কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলায় রেখা খাতুন (২২) নামের এক নারীকে ধর্ষণের পর নির্মম নির্যাতনে হত্যার প্রধান আসামি হযরত আলী (২০) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব-১৪ জামালপুর। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার পূর্ব ইজলামারী এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।
আটকের সময় হযরত আলীর কাছ থেকে ওই তরুণীর ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন পাওয়া যায় । আটক হযরত আলী উপজেলার সদর ইউনিয়নের পূর্ব ইজলামারী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে নিহত রেখা খাতুন উপজেলার রৌমারী সদর ইউনিয়নের চাক্তাবাড়ি কান্দাপাড়া গ্রামের আবুল হাশেমের মেয়ে।
র্যাব-১৪, সিপিসি-১ জামালপুর ক্যাম্পের কোম্পানি কমান্ডার স্কোয়াড্রন লিডার আশিক উজ্জামান বলেন, রেখা খাতুনকে হত্যার ঘটনায় থানায় মামলা হলে, তার পর থেকে ছায়া তদন্ত শুরু করা হয়েছে । তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে প্রধান আসামি হযরত আলীকে আটক করা হয়।
এ সময় তার কাছ থেকে ওই তরুণীর ব্যবহৃত সিমসহ একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়ছে। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন হয়রত আলী। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি ) আসামিকে রৌমারী থানায় হস্তান্তর করা হয়।
রৌমারী থানা অফিসার ইনচার্জ রূপ কুমার সরকার বলেন, র্যাব আসামী আটক করে থানায় সোপর্দ করেছে। কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য যে , গত ৪ ফেব্রুয়ারি (শনবিার) রাত ১২টার দিকে মায়ের কাছ থেকে মোবাইল ফোন চেয়ে নেন রেখা খাতুন। তার পর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ব্যবহৃত মোবাইল ফোনও বন্ধ পাওয়া যায়। পরে সোমবার (৬ ফেব্রুয়ারি ) বেলা ১১টায় উপজেলার বন্দবড়ে ইউনয়িনরে চরবাঘমারা নামক এলাকার একটি গম ক্ষেত থেকে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় ওই তরুণীর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত ওই তরুণীর বাবা বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করা হয়।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply