মীর আবু বকরঃ
সাতক্ষীরায় বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস ২০২২ উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।”মৃত্তিকা খাদ্যের সূচনা যেখানে” এই প্রতিপাদকে সামনে নিয়ে সারা দেশের ন্যায় সাতক্ষীরায় মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউট আঞ্চলিক কার্যালয়ের আয়োজনে ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের সার্বিক ব্যবস্থাপনায় জেলা পরিষদের কক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ ড. মোঃ জামাল উদ্দীনের সভাপতিত্বে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপনা করেন মৃত্তিকা সম্পদ উন্নয়ন ইনস্টিটিউটের আঞ্চলিক কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা শামসুন নাহার রত্না। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, অতিঃ জেলা প্রশাসক (সার্বিক) কাজী আরিফুর রহমান, কি গবেষণা ইনস্টিটিউটের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অহির আহমেদ ফকির, সাতক্ষীরা বিনা উদ্বতন কর্মকর্তা ডাঃ বাবুল আক্তার, হর্টিকালচার সাতক্ষীরা উপ-পরিচালক কৃষিবিদ আমজাদ হোসেন, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রশিক্ষণ কর্মকর্তা এস এম খালেদ সাইফুল্লাহ, সাতক্ষীরা মৎস্য খামারের ব্যবস্থাপক মাহমুদ হাসান, সহকারী জেলা তথ্য অফিসার মোঃ রমজান আলী।
বক্তারা বলেন, বাংলাদেশের দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১৮টি জেলার ৯৩টি উপজেলার মাটি ও পানির লবণাক্ততা বেশি। লবণাক্ত পানি দিয়ে চিংড়ি চাষ করার ফলে জমিতে লবণাওতা ক্রমান্বয়ে বৃদ্ধ্বি পেয়েছে। বিগত সময়ের চেয়ে বর্তমানে লবণাক্ত জমির পরিমাণ বেড়েছে। ফলে জমির উর্বরতার মান দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। লবণাক্ততার কারণে শুকনো মৌসুমে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে কৃষকেরা আবাদ করতে পারে না। লবণাক্ততার কারণে প্রতিবছর আবাদি জমি অনাবাদি জমিতে পরিণত হচ্ছে।
ফলে মুখ্য পুষ্টি ও গৌণপুষ্টি উপাদান ঘাটতি পরিলক্ষিত হচ্ছে। বক্তারা আরো বলেন,মাটি হলো খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তার ভিত্তি।মানুষ যে সকল খাবার খায়, তার অন্তত শতকরা ৯৫ ভাগ আসে মাটি হতে।এইজন্য মাটির স্বাস্থ্য সুরক্ষা সবচেয়ে বেশী গুরুত্বপূর্ন। মাটি পরীক্ষা করে জমিতে সুষম মাত্রার জৈব ও রাসায়নিক সার প্রয়োগ করতে হবে। তবে কাংখিত উর্বরতা ধরে রাখা পাশাপাশি ফসলের উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে।
এসময় বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। এর পূর্বে সকালে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বরে হতে বর্ণাঢ্য র্যালি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক পরিদক্ষন করে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভায় মিলিত হন।
Leave a Reply