বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:৩৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
টঙ্গীতে জমি আত্মসাৎ এর জন্য নিজের মাথায় আঘাত করে মিথ্যা মামলা সাজালেন ছোট ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করার লক্ষে ইউএনও এর প্রেস ব্রিফিং মিরপুরে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার : দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী চেম্বার আদালতেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজ ইলিয়াস-বাবুলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের নতুন দিন ধার্য টাঙ্গাইল-৩ আসন আওয়ামীলীগের গৃহবিবাদের সুযোগ নিতে চায় বিএনপি হজ পালনে থাকছে না বয়সসীমা, শর্ত তুলে নিলো সৌদি আরব কুষ্টিয়ায় পরিবারের সবাইকে রুমে আটকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক শরণখোলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

লম্পট মিজানুরের লালসায় নিঃস্ব ভুক্তভোগী নারী

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২৩
  • ২১ Time View

 

 

হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :

 

কুষ্টিয়া সদর উপজেলার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় থানাধীন গোস্বামী দূর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর মাগুরায় সাবেক মেম্বার কাশেমের ছেলে লম্পট মিজানুরের হীন লালসায় নিঃস্ব একই গ্রামের আব্দুর রহমানের মেয়ে রেহেনা খাতুন। চরিত্রহীন লম্পট মিজান বিভিন্ন সময়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে রেহেনার সাথে এরপর অর্থ হাতিয়ে নেয়াসহ শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে এই প্রতারকের বিরুদ্ধে ।

দীর্ঘদিনের এই প্রেমের এলাকার সবার জানা। তবে লম্পট মিজান কর্তৃক শারীরিক নির্যাতন ও অর্থ হাতিয়ে নেয়ার বিষয়টি এলকার জানাজানি হলে সে ভুক্তভোগী নারীকে বিবাহ করতে অস্বীকার করে। বিবাহিত ও এক সন্তানের জনক লম্পট মিজানুর রহমান ভুক্তভোগী নারী রেহেনা খাতুনের উপর প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য পুনরায় তার সাথে মিথ্যা প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং তাকে বিবাহ করবে বলে প্রতিশ্রুতি দেয়।

গেল বছর ১৪ই জুলাই সন্ধা সাড়ে ৬টায় বিবাহের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মিজানুর তার বাড়িতে ডেকে পাঠায় রেহেনাকে।পরে ভুক্তভোগী নারী রেহেনা ইবি থানাধীন লম্পট মিজানুরের বাড়িতে গেলে মিজানুর ও তার পিতা সাবেক ইউপি সদস্য কাশেমসহ তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা পূর্ব পরিকল্পিতভাবে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে ভুক্তভোগী নারী রেহেনা। এ সময় হামলাকারীরা তার শ্লীলতাহানির চেষ্টা কর চালায়।

স্থানীয়রা এগিয়ে এসে ভুক্তভোগী নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে ভুক্তভোগী নারী নিজে বাদী হয়ে লম্পট মিজানুরকে ১নং আসামী করে অভিযোগ দায়ের করে ইবি থানায় অভিযোগ দায়ের করলে গেল বছর ১৯শে জুলাই অভিযোগটি মামলা করে নথিভুক্ত হয়। মামলা নাম্বার ৮। মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন লম্পট মিজানুরের পিতা কাশেম মন্ডল, রুবেল, তুহিন উভয়ের পিতা মুন্নাত, রাব্বি, আলামিন উভয়ের পিতা হাসেম মন্ডল।

সরেজমিনে এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী রেহেনার সাথে কথা বললে তিনি জানান, মিজানুরের সাথে দীর্ঘদিনের সম্পর্ক তার। সে মালয়েশিয়া প্রবাসী হওয়ার পর আগে থেকেই তার সাথে আমার সম্পর্ক। বিভিন্ন সময় আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয়। তবে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সে আমার সাথে মেলামেশা চালু করে। বিয়ের প্রতিশ্রুতির আশা দিয়ে সে আমার কাছ থেকে অর্থসহ আমার সমস্ত কিছু হাতিয়ে নেয়। পরে সে মালয়েশিয়া থেকে দেশে ফিরে আমাকে না জানিয়ে গোপনে অন্য জায়গায় বিয়ে করে।

এসময় আমি তাকে তার সাথে সম্পর্কের সমস্ত প্রমাণাদি মানুষকে দেখাতে চাইলে সে পুনরায় বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আমাকে তার বাড়িতে ডেকে নিয়ে সে সহ তার পরিবারের লোকজন আমাকে মারধর করে এবং আমাকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যে গুরুতর আহত করে। পরে এসব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ন্যায় বিচারের আশায় আমি ইবি থানায় অভিযোগ করি। তিনি আরো জানান আমি আমার সাথে অন্যায়ের বিচার দাবি করছি। যাতে আমার মতো অন্য কোনো নারীর প্রতারিত না হতে হয়।

এ ব্যাপারে অভিযুক্ত লম্পট মিজানুরের সাথে একাধিকবার ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। সরোজমিনে কাজ করতে গেলে অভিযুক্ত মিজানুরের বাবা এবং এই মামলার আসামি কাশেম মন্ডলের সাথে কথা বললে তিনি নিজে এবং তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরা যে ভুক্তভোগী নারী রেহেনা খাতুনকে মারধর করেছে সে বিষয়টি তিনি অকপটে স্বীকার করেন।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়