কুমিল্লা দঃ জেলা প্রতিনিধি:-
কুমিল্লা জেলার কয়েকটি উপজেলায় আগামী ২৮ শে ডিসেম্বর ইউপি নির্বাচনকে সামনে রেখে টান টান উত্তেজনায় যখন প্রার্থী ও সমর্থকরা ঠিক তখনই দেখা যায় বাকই দঃ ইউপি ক্ষমতাসীন দলের চেয়ারম্যান প্রার্থী আবদুল আউয়াল গতকাল সন্ধ্যায় খইয়ালী গ্রামের বিএনপিপ কর্মী আবুকে প্রার্থী আবুলের উপস্থিতিতে কয়েকজন নেতা কর্মী আবু কে আটক করে। আটক করার এক পর্যায়ে নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচন করার জন্য প্রার্থী ও সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল নিজেই আবু কে কিল ঘুসি মারার অবিযোগ আসে সয়ন বিএনপি থেকে ধানেরশীর্ষ মার্কা নিয়ে প্রতিদ্বন্দিতা করার জন্য আসা আনোয়ার হোসেন। আনোয়ার জানান গত ৪/৫ দিন আগে স্থানীয় পরানপুর বাজারে আষরা গ্রামের জাহাঙ্গীর কে ও কথার এক পর্যায়ে ধাক্কা মারেন আঃ আউয়াল। এই ব্যপারে সাবেক চেয়ারম্যান ও বর্তমান চেযারম্যান প্রার্থী আউয়ালকে তার মুঠো ফোনে আলাপকালে আউয়াল বলেন, জাহাঙ্গীর আমার ভাগিনা হয়। আমাদের মামা ভাগিনার মধ্যে তেমন কিছুই হয়নাই।
অন্য দিকে লাকসামে উপজেলার মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউপির আওয়ামীলীগ দলীয় মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীদুল ইসলাম শাহীনের নৌকার প্রতীকের তোরণ ও ব্যানার পুড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল বুধবার গভীর রাতে ৩নং মুদাফ্ফরগঞ্জ (উত্তর) ইউনিয়নের লাকসাম-মুদাফরগঞ্জ সড়কের পাশাপুর নামকস্থানে। সংবাদ পেয়ে গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা ও সাধারণ ভোটারদের মাঝে চরম আতঙ্ক বিরাজ করছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মুদাফরগঞ্জ উত্তর ইউপির বর্তমান চেয়ারম্যান ও বিএনপি দলীয় প্রার্থী শাহ আলম এবং ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য সচিব ও দলীয় প্রার্থী শাহীদুল ইসলাম শাহীন নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণার শুরু থেকে পোষ্টার, ব্যানার, উঠান বৈঠক, গনসংযোগসহ নির্বাচনী কার্যক্রম চলাকালে উত্তেজনা দেখা যায়। এ সূত্র ধরে গতকাল এ অনাঙ্খাকিত ঘটনার ঘটতে পারে বলে স্থানীয় ধারনা করছে।
এ বিষয়ে নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহীদুল ইসলাম শাহীন এবং তার সমর্থকরা অভিযোগ করে বলেন, বিএনপির প্রার্থী এই পাশাপুর গ্রামের হওয়ায় এখানে আমরা কোন পোষ্টার লাগালেই রাতের আঁধারে ছিড়ে ফেলে এবং প্রতীক ভাংচুর ও ব্যানারে অগ্নি সংযোগ করে। বিষয়টি আমরা নির্বাচন কর্মকর্তা, পুলিশ প্রশাসন ও উপজেলা নেতৃবৃন্দদেরকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে বিএনপি দলীয় প্রার্থী মোঃ শাহআলমের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।
লাকসাম থানার এস.আই সেলিম মিয়া বলেন, সংবাদ পেয়ে আমরা তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে এসেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply