(যে ভালো কাজটা আপনি করছেন সেটাকে প্রশ্নবিদ্ধ করবার জন্য নিন্দুকরা সবসময়ই ব্যস্ত থাকে। এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং নিন্দাকে ভয় করে কি কোনো লাভ আছে? অবশ্যই কোনো লাভ নেই। তাই রবীন্দ্রনাথ একটি রম্যরচনায় উল্লেখ করেছেন, নিন্দা দুঃখ বিরোধ যেন ভালো লোকের, গুনি লোকের ভাগ্যেই বেশি করিয়া জুটে- মিজানুর রহমান খান জাকির।)

নিজস্ব প্রতিবেদক, (প্রাণের বাংলাদেশ) :

তারেক রহমানের দিক নির্দেশনার উজ্জ্বল বার্তা বহন করে বরগুনা জেলার মিজানুর রহমান খান জাকির। মানুষ মানুষের জন্য, জীবন জীবনের জন্য’ এই শ্লোগানকে সামনে রেখে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের দেখানো পথে তার আদর্শ বুঁকে লালন করে প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও প্রাণের চেয়ে প্রিয় নেতা দেশ নায়ক তারেক রহমানের ভবিষ্যৎ স্বপ্নকে বাস্তবায়নের লক্ষ্যে এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার ত্যাগ ও দেশ প্রেমে নিজেকে উদ্ভুদ্ধ করে একটি সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গড়ার আঙ্গিকে বরগুনা জেলার জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র সকল কার্যক্রমকে ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে একাগ্রচিত্তে কাজ করে যাচ্ছেন বরগুনা বামনার কৃতি সন্তান মিজানুর রহমান খান জাকির।

জনসেবার কারণে সাধারণ মানুষের কাছে তিনি অত্যন্ত আস্থাভাজন ব্যক্তি হিসেবে অল্প সময়ে সু-পরিচিতি লাভ করেছেন এবং একজন উদীয়মান তরুণ সমাজসেবক হিসেবে তিনি নিজেকে ব্যস্ত রেখেছেন সাধারণ মানুষের সেবায়। তার কর্মকান্ড, কথাবার্তা, চলন-বলন, সাধারণ মানুষের সাথে সহজেই আন্তরিকতার সম্পর্ক স্থাপন সবকিছুই প্রেসিডেন্ট শহীদ জিয়াউর রহমানের চরিত্রের স্বরূপের মতো ফুটে উঠে মিজানুর রহমান খান জাকিরের চরিত্রে। তার ন্যায় পরায়ণতা এবং নিষ্ঠা সকলকে করেছে মুগ্ধ।

তিনি নিজেকে বরগুনা জেলা ও বামনার মানুষের সেবায় উৎসর্গ করে দিতে চান। তিনি অসহায় মানুষের বিপদে আপদে এগিয়ে আসেন। শহীদ জিয়াউর রহমানের সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে মিজানুর রহমান খান জাকির কাজ করে যাচ্ছেন সৎ, নিষ্ঠা ও আদর্শের মধ্য দিয়ে। এ বিষয় নিয়ে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশের সাথে একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, মানুষ সারাজীবন বেঁচে থাকবে না। আমাদের এমন কিছু কাজ করে যেতে হবে যাতে করে আগামী ভবিষ্যৎ আমাদের কাছ থেকে ভাল কিছু আদর্শ গ্রহণ করতে পারে।

যেমনটা আমরা পেয়েছি শহীদ জিয়াউর রহমান এবং দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার কাছ থেকে। কিছু কু-চক্রী মহল আমার মহৎ রাজনৈতিক কাজের প্রেক্ষাপটকে ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন ষড়যন্ত্র করে আসছে। আমি মসজিদ, মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন উন্নয়নের জন্য আমার দলীয় নেতাকর্মীদের যে অর্থ দিয়েছি এবং ভবিষ্যতেও দিবো, সেগুলোকে প্রশ্নবিদ্ধ করার লক্ষ্যে নীল নকশা বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে বরগুনা বামনার বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি’র উজ্জ্বল রাজনৈতিক ভবিষ্যৎকে গলাটিপে হত্যা করতে চায় একটি কু-চক্রী মহল।

এদের কাছ থেকে আমাদের সকলের সাবধান হতে হবে। যার রক্তে মাংসে শিরা উপশিরায় মিশে আছে শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে গড়া সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। একজন পরোপকারী, ন্যায়পরায়ণ, সময়ের গুণাবলী, সময়ের শ্রেষ্ঠ সাহসী সন্তান, বিশিষ্ট্য শিল্পপতি ও সমাজসেবক বরগুনা জেলার বামনা উপজেলার ৩ নং রামনা ইউনিয়নের সাবেক ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য জনাব মোঃ জয়নাল আবেদীন খান ও তার মা সাবেক মেম্বার রাবেয়া খানমের মেজো ছেলে বিশিষ্ট্য ব্যবসায়ী জনাব মিজানুর রহমান খান জাকির।

এলাকায় যেমন দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বের অধিকারী, তেমনি সরল সহজ ও কোমলমতি একজন সমাজ সেবক হিসাবে সমাজের অধিক পরিচিত। সন্ত্রাস, চাঁদাবাজ, দুর্নীতি ও মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার এক প্রতিবাদী কন্ঠস্বর, সমাজ সংস্কারক ও সমাজের পরিছন্নতায় তিনি এক উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। তিনি হাঁটি হাঁটি পা পা করে দীর্ঘদিন মানুষের সেবা করে নিজেকে সমাজসেবক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছেন।

তিনি এলাকার ছোট বড় ও বয়-বৃদ্ধ সকল মানুষের কাছে প্রিয়, গরীব দুঃখী সহ সমাজের সকল সাধারণ মানুষের সঙ্গী, অসহায় দরিদ্র মানুষের সহায়ক। তিনি সাধারণ একজন মানুষ, যাকে সকল শ্রেণির পেশার মানুষ ভালোবাসেন। তিনিও তাদেরকে মনে প্রাণে ভালোবাসেন।

বামনা, পাথরঘাটা, বেতাগী, ঘন মানুষের মুখে জাকির খানের বেশ সুনাম শোনা যায়। তিনি সব সময় বামনা-পাথরঘাটা ও বেতাগী তিন উপজেলার মানুষের সুখে দুঃখে এগিয়ে যান। মানুষের সুখে দুঃখে তাদের সেবা করতে পারলে তিনি নিজেকে ভীষণ গর্বিত মনে করেন, তিনি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার মতে, “ আমি একজন রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান, আমি ছাত্র জীবন থেকেই বিএনপির রাজনৈতির সাথে জড়িত এবং রাজনৈতিক কারণে একাধিক বার সন্ত্রাসী কর্তৃক হামলার শিকার হয়েছি। আমি ছাত্র জীবন থেকে ভাওয়াল বদরে আলম সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ শাখা এবং ছাত্রদল গাজীপুর জেলা শাখা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল বৃহত্তর উত্তরা থানা শাখা, বিএনপি বিমানবন্দর থানা শাখা, অবিভক্ত ঢাকা মহানগর ও ঢাকা মহানগর উত্তরের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম।

বর্তমানে আমি বামনা উপজেলা বিএনপির মূল কমিটিতে সদস্য পদে আছি। আমার, বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী মানুষকে নিয়ে স্বপ্ন আছে। আমি সারাজীবন সাধারণ মানুষের সেবা করার জন্য সমাজ সেবা করে যেতে চাই । আমার সমাজ সেবার প্রধান উৎসই হল, আমার বামনা-পাথরঘাটা ও বেতাগীর এলাকাবাসী। আমি যেন আমার বরগুনা -২ আসনের বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী এই তিন উপজেলাবাসীর সুখে দুঃখে অংশীদার হয়ে তাদের সাথে থাকতে পারি এবং তাদের সমস্যাকে সমাধান করতে পারি”।

তিনি এলাকার রাস্তাঘাট, মসজিদ মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সামাজিক সাংস্কৃতিক সংগঠনের উন্নয়নের সহযোগিতা করে যাচ্ছেন। তিনি নিজেও বিভিন্ন সামাজিক সাংস্কৃতিক, ব্যবসায়ীক ও রাজনৈতিক সংগঠনের সাথে জড়িত রয়েছেন। তিনি ব্যবসার সুবাদে বেশির ভাগ সময় ঢাকায় থাকলেও সবসময় খোঁজ-খবর রাখেন এলাকা তথা বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলাবাসীর।

তিনি বর্তমানে এলাকাবাসীর আরও অধিকতর সেবা দানের উদ্দেশ্যে বামনা, পথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলার রাজনৈতিক সংগঠন সহ্ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন। তিনি বামনা, পাথরঘাটা ও বেতাগী উপজেলার সকল শ্রেণীর পেশার মানুষের পাশে থাকতে চান। জাকির খানের এমন মানবিক আচরণ প্রশংসা করার দাবীদার। এমনটাই মনে করছেন এলাকার সচেতনমহল।