বুধবার, ২২ মার্চ ২০২৩, ০৬:২৬ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
টঙ্গীতে জমি আত্মসাৎ এর জন্য নিজের মাথায় আঘাত করে মিথ্যা মামলা সাজালেন ছোট ভাইসহ তিনজনের বিরুদ্ধে বাঞ্ছারামপুরকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত ঘোষনা করার লক্ষে ইউএনও এর প্রেস ব্রিফিং মিরপুরে ছিনতাইকারী চক্রের ৫ সদস্য গ্রেফতার : দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার চালের কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করলে ব্যবস্থা: খাদ্যমন্ত্রী চেম্বার আদালতেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়া নিয়ে রিট খারিজ ইলিয়াস-বাবুলের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনের নতুন দিন ধার্য টাঙ্গাইল-৩ আসন আওয়ামীলীগের গৃহবিবাদের সুযোগ নিতে চায় বিএনপি হজ পালনে থাকছে না বয়সসীমা, শর্ত তুলে নিলো সৌদি আরব কুষ্টিয়ায় পরিবারের সবাইকে রুমে আটকে দুর্ধর্ষ ডাকাতি, ১৫ লাখ টাকার মালামাল লুট কোস্ট গার্ড পশ্চিম জোন কর্তৃক শরণখোলায় বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান

শিশুকে অপহরণের পর হত্যা, আসামী গ্রেফতার

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৩ মার্চ, ২০২৩
  • ২৩ Time View

 

 

বশির আলম :

 

গাজীপুরে ৯ বছর বয়সী এক মাদরাসা পড়ুয়া শিশুকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগে অপহরণকারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

আর্থিক লেনদেন ও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরে ওই শিশুকে হত্যা করা হয়েছে বলে দাবি পুলিশের।

রোববার (১২ মার্চ) বিকেলে গাছা থানায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপ-কমিশনার মাহবুব উজ জামান।

গ্রেফতার সোহাগ টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার তেপাড়িয়া গ্রামের মাখনের ছেলে।

উপ-কমিশনার বলেন, কুনিয়া পাছর এলাকার বাসিন্দা লতিফ সরকারের বাড়িতে ভাড়াটিয়া হিসেবে বসবাস করেন অভিযুক্ত সোহাগের পরিবার। আর্থিক লেনদেন, কটূক্তিসহ বিভিন্ন কারণে বাড়ির মালিক লতিফ সরকারের ওপর ক্ষিপ্ত ছিলেন সোহাগ। এর জেরে গত ১০ মার্চ সন্ধ্যা ৭টার দিকে সোহাগ ও তার কয়েকজন সহযোগী লতিফ সরকারের শিশুপুত্র তামজিদকে অপহরণ করে নিয়ে যায়।

এ ব্যাপারে শিশুর বাবা গাছা থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার পর পুলিশ অভিযান পরিচালনা করে টাঙ্গাইলের তেপাড়িয়া এলাকা থেকে আসামি সোহাগকে গ্রেফতার করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে  রাতে সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার যমুনার প্রত্যন্ত চর থেকে শিশুটির বালিচাপা মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে সোহাগ জানায়, সুদের টাকা ও বাড়ি ভাড়া দিতে দেরি হলে লতিফ সরকার তার বাবা ও পরিবারকে অপমান করে। এর প্রতিশোধ নিতে গত ১০ মার্চ ভিকটিম তামজিদকে অপহরণ করে সিএনজিযোগে গাজীপুর চৌরাস্তা নিয়ে যান। সেখান থেকে বাসযোগে টাঙ্গাইলের পাকুল্লা গিয়ে বাসস্ট্যান্ড নামেন। পরে আসামির নিজবাড়ির উত্তর পাশে একটি নিচু জমির মধ্যে ভিকটিম তামজিদকে নিয়ে রাতে অবস্থান করে।

পরদিন ভোর আনুমানিক ৪টার দিকে সিরাজগঞ্জ জেলার চৌহালি থানার পশ্চিম পাশে জনতা ঘাটে যান। সেখান থেকে কোষা নৌকা দিয়ে যমুনা নদী পার হয়ে ভিকটিমকে নদীর পশ্চিম পাড়ে নির্জন চরের মধ্যে নিয়ে যান। এক পর্যায়ে ভিকটিম তামজিদকে দুই হাত চেপে ধরে এবং অন্য হাতে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে।

পরবর্তীতে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য ভিকটিমের গলায় ধারালো চাকু দিয়ে কুপিয়ে যখম করে।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়