হাসনাত রাব্বু, কুষ্টিয়া জেলা প্রতিনিধি :
শীত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে কুষ্টিয়ায় শিশুদের ঠান্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। গত কয়েক দিনে কুষ্টিয়া ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ২০ শয্যার বিপরীতে ভর্তি রয়েছে ১৫৮ জন শিশু। শয্যা সংকটের কারণে অধিকাংশের ঠাঁই হয়েছে হাসপাতালের বারান্দা ও মেঝেতে।
সরেজমিনে হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে দেখা যায় রোগীদের উপচেপড়া ভিড়। অতিরিক্ত রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে। ঠিকমতো চিকিৎসাসেবা পাচ্ছে না বলে অভিযোগ করেছেন স্বজনরা।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে প্রতিদিন শিশু রোগী ভর্তি হচ্ছে। গত সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করেই কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে শিশু রোগীদের ভিড় বেড়ে গেছে। তাপদাহ আর আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে ঠান্ডা, নিউমোনিয়া, জ্বরসহ নানা রোগে আক্রান্তদের সংখ্যা বেড়েছে। ধারণক্ষমতার ৮ গুণ বেশি রোগী থাকায় নার্সরাও চিকিৎসা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন।
নিউমোনিয়া আক্রান্ত এক বছর বয়সী শিশুকে এক সপ্তাহ আগে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। স্থানীয় চিকিৎসকের চিকিৎসায় উন্নতি না হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি করিয়েছেন মা কেয়া খাতুন। তিনি বলেন, সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে এসে চরম ভোগান্তিতে পড়েছি। মাঝে-মধ্যে একবারের ওষুধ দুবার দিয়ে দেয়। নার্সদের ডাকতে গেলে খারাপ ব্যবহার করে। গ্যাস দিতে গেলে টাকা নেয়। চরম অব্যবস্থাপনা এখানে।
রোগীর স্বজনরা বলেন, আমরা কুষ্টিয়ার মানুষ এই হাসপাতালের চিকিৎসার ওপর নির্ভরশীল। কিন্তু এখানে চিকিৎসা সেবা পেতে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। শয্যা, চিকিৎসক ও নার্সের সংখ্যা বাড়ানো দরকার। এতে রোগী ও স্বজনদের ভোগান্তি কমবে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. আবদুল মোমেন ও আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আশরাফুল আলমের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলেও তারা রিসিভ করেননি। হাসপাতালে তাদের অফিস কক্ষেও পাওয়া যায়নি। শিশু ওয়ার্ডে দায়িত্বরত চিকিৎসকরাও এ ব্যাপারে কথা বলতে রাজি হননি।
Leave a Reply