শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ১১:৪৭ পূর্বাহ্ন

শেরপুরের নকলায় চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রী ধর্ষণ ও গর্ভপাতের মামলার প্রধান আসামী গ্রেপ্তার

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১৫ মে, ২০২৩
  • ২৭ Time View

 

 

মোঃ শামছুল হক, জেলা প্রতিনিধি শেরপুর :

 

শেরপুরের নকলা থানার চাঞ্চল্যকর কলেজ ছাত্রীকে লাগাতার ধর্ষণ, ইন্টারনেটে ভিডিও ভাইরালের হুমকি ও জোরপূর্বক গর্ভপাতের মামলার প্রধান আসামি মোঃ মোশারফ হোসেন @ মিসকিন (২০) কে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১৪, সিপিসি-১ (জামালপুর)। ধৃত আসামীকে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নকলা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।

র‌্যাব-১৪ এর এক প্রেস রিলিজে জানানো হয়েছে, রবিবার ১৪ ই মে ভোর ৪ টার দিকে নকলা থানার দিঘারপাড় এলাকা থেকে মোশারফ হোসেনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মোশারফ হোসেনের নকলা পৌর এলাকার জালালপুর গ্রামের মোঃ আব্দুল লতিফের ছেলে।

জানা গেছে, পার্শ্ববর্তী বানেশ্বর্দী গ্রামের বাসিন্দা ভিকটিম নকলা জালমামুদ কলেজের একাদশ বর্ষের ছাত্রী। কলেজে আসা যাওয়ার পথে প্রায়‌ই তাকে প্রেমের প্রস্তাব দিতো বিবাদী মিসকিন। এক পর্যায়ে তাদের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠলে বিয়ের প্রলোভনে ফুসলিয়ে ভিকটিমের সাথে শারীরিক সম্পর্ক করে সে।

পরে মিসকিনকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে গোপনে ধারণকৃত শারীরিক সম্পর্কের ভিডিও ক্লিপ ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার হুমকি দিয়ে ভিকটিমকে তার কথামতো চলতে বাধ্য করে। এভাবে বিগত ৬ মে পর্যন্ত বিয়ের প্রলোভনে ও ব্লাকমেইল করে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্ক করে। এক পর্যায়ে ভিকটিম অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে এবং লোকলজ্জার ভয়ে বিষয়টি গোপন রেখে বিবাদীকে বিয়ের জন্য চাপ দেয়। কিন্তু বিবাদী তার সন্তান নষ্ট করার উদ্দেশ্যে কৌশলে গর্ভপাতের ট্যাবলেট খাইয়ে দেয়। এতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে ভিকটিম বিষয়টি তার মা মামলার বাদীকে জানায়।

এই অবস্থায় ঘটনাটি নিয়ে বিবাদীর বসতবাড়ীতে সালিশ বসে। কিন্তু স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও বিবাদীরা বাদীসহ ভিকটিমকে মারপিট করে বাড়ী থেকে তাড়িয়ে দেয়। এদিকে ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে নকলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে শেরপুর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। তখন, জেলা মানবাধিকার সংস্থা আমদের আইন জেলা শাখা সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব আলম জাহাঙ্গীর সহযোগিতা

এ ঘটনায় ভিকটিমের মা ১০ ইং মে নকলা থানায় মামলা নং-০৮ (ধারা-২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন (সংশোধনী/২০০৩) এর ৯(১)/৩০ তৎসহ ১৮৬০ সালের ৩১৩/৩২৩ পেনাল কোড) দায়ের করেন। এই নেক্কার জনক ঘটনার সংবাদ পেয়ে ছায়া তদন্ত শুরু করে র‌্যাব-১৪, সিপিসি-১, জামালপুর। মামলার ৪ দিনের মধ্যে প্রধান আসামি ধর্ষক মিসকিনকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয় র‌্যাব-১৪।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়