মঙ্গলবার, ০৬ জুন ২০২৩, ০৬:২৩ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
সাবেক সরকারি কর্মকর্তার কোটি কোটি টাকার নামে বেনামে সম্পদের পাহাড় তুরাগে মায়ের সাথে অভিমান করে কিশোরীর আত্মহত্য পূবাইলে সমবায় অফিসে দুর্ধর্ষ চুরি বনানী পুলিশ ফাঁড়ির নিকটেই অবৈধ ফুটপাতের দোকান, নেপথ্যে ইন্সপেক্টর একরামের আতাত বাজেট ডিব্রিফিং সেশন সংসদ সদস্যগণকে বাজেট সম্পর্কিত গুরুত্বপূর্ণ ধারণা দিচ্ছে : স্পীকার বাসযোগ্য সুন্দর পরিবেশ গড়তে জনসচেতনতার কোন বিকল্প নেই : সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসক কালিহাতীতে মাদ্রাসার ভূমি জবরদখল : উদ্ধারে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ দাবি নীলফামারীতে বিশ্ব পরিবেশ দিবসে র‌্যালি, আলোচনা সভা ও পুরষ্কার বিতরণ দেশকে জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত থেকে রক্ষা করতে হলে সম্মিলিত প্রচেষ্টা দরকার  : তথ্যমন্ত্রী মিরপুরে জনতা-পুলিশ সংঘর্ষ: ২ মামলা, আসামি সহস্রাধিক

শেরপুরে সবজি বিক্রি করে দিন কাটাচ্ছেন মানিক মিয়া

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ১০ এপ্রিল, ২০২৩
  • ৩১ Time View

 

 

মোঃ শামছুল হক, জেলা প্রতিনিধি শেরপুর :

 

শেরপুর জেলা শহরের পৌর এলাকার শেখহাটি মহল্লার বাসিন্দা হতদরিদ্র ঘরের সন্তান বিশু মিয়া শেখের ছেলে মোঃ মানিক মিয়ার সংসার চলে অনাহারে অর্ধহারে।

এলাকাবাসীর সূত্রে জানা যায়, সহায় সম্বলহীন মানিক মিয়া (৪২) ছোট বেলা থেকেই অন্যের কাজ করেই দিন চলতো তাহার।বিয়ের পর এক সন্তানের জনক মানিক মিয়ার স্ত্রী সন্তান নিয়ে অন্যের জমিতে বসবাস করে অতি কষ্টে দিনাতিপাত করে আসছিলো। অসচ্ছলতা থাকার কারণে ২ বছরের শিশু কন্যা সন্তান ভূমিকা খাতুনকে রেখে স্ত্রী অন্যত্রে চলে যায়। বিপদের সম্মুখিন হয়ে পড়ে ২ বছরের শিশু কন্যা ভূমিকাকে নিয়ে।

পরে জীবন যুদ্ধ শুরু হয় মানিক মিয়ার, স্থানীয় এক দোকানদারের কাছ থেকে ৫ শত টাকা ধার নিয়ে বাজার থেকে শাকসবজি কিনে বাড়ি বাড়ি বিক্রি শুরু করেন। শিশু সন্তানকে নিয়ে খুব কষ্টে দিনাতিপাত শুরু হয়।অন্যের জায়গাতে বসবাস করাসহ ব্যাপক আর্থিক সংকটের কারণে বেড়ে ওঠা শিশু সন্তান ভূমিকাকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করানোর সম্ভব হলেও আর্থিক সংকটের কারণে আর এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি ভূমিকা খাতুনের।

অভাবের কারনে মানিক মিয়ার একমাত্র সন্তান ভূমিকা খাতুনের বিবাহের প্রস্তুতি নিলে এলাকাবাসীর আর্থিক ও সার্বিক সহযোগীতায় ১ বছরে আগে বিয়ে হয় ভূমিকা খাতুনের।

বর্তমানে মানিক মিয়া তার নিজ ফুফুর ১ শতাংশ ভূমির উপর অন্যের কাছ থেকে চেয়ে নেওয়া ভাঙ্গাচোরা টিন সংগ্রহ করে ছাপড়া ঘর নির্মাণ করে মানিক মিয়া ও বৃদ্ধা পিতা বিশু মিয়াকে নিয়ে বসবাস করেন।
সকাল থেকে মানিক মিয়া শাকসবজি বিক্রি করে ১ থেকে ২০০ শত টাকা লাভ হয়।এই টাকা দিয়েই চলে মানিক মিয়ার মানবেতর জীবন।

ভাঙ্গাচোরা ঘরটিতে বৃষ্টি হলেই ভাঙ্গাচোরা চাল দিয়ে পড়ে পানি।সারারাত বৃষ্টিতে ভিজে বসে থাকতে হয় বৃদ্ধা পিতা ও মানিক মিয়ার।

সারাদিন পাড়া মহল্লায় শাকসবজি বিক্রি করে মাথা গুঁজার ১ শতাংশ ভূমির উপর সরকারি ভাবে একটি ঘর নির্মাণের দাবী তার।

 

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়