মোঃ শামছুল হক, জেলা প্রতিনিধি শেরপুর :
শেরপুর জেলার শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস,জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মাদক, সন্ত্রাস,নাশকতা,চাঁদাবাজি,জুয়া,বাল্যবিবাহ, ইভটিজিং,ও বিভিন্ন ধরনের ওয়ারেন্টভুক্ত আসামীদের গ্রেফতার করেছেন।
এছাড়াও শ্রীবরদী উপজেলার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি অপরাধ নিয়ন্ত্রণ রাখার কারণে বিভিন্ন ক্যাটাগড়িতে শেরপুর জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হয়েছেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস।শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হওয়ায় শেরপুর জেলা পুলিশের আয়োজনে জেলা মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়।পরে শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম এর সভাপতিত্বে অপরাধ পর্যালোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা উপজেলার বিভিন্ন ইউনিটের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের উপস্থিতিতে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে পর্যালোচনা করে জেলার শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত করেন শ্রীবরদী থানার অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাসকে।একই সময় শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত বিপ্লব কুমার বিশ্বাসের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট তুলে দেন শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয়।
অফিসার ইনচার্জ বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বলেন, আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখে ইস্যুট টিম।টিমের সার্বিক সহযোগিতার প্রচেষ্টায় এমন সাফল্য সম্ভব।টিমের সহযোগিতা ছাড়া শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত হওয়া কঠিন ব্যপার। যে কোনো স্বীকৃতিই কাজের অনুপ্রেরণাকে বাড়িয়ে দেয়।শ্রেষ্ঠ অফিসার ইনচার্জ নির্বাচিত করায় তিনি শেরপুর জেলার পুলিশ সুপার মোঃ কামরুজ্জামান বিপিএম মহোদয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
১৯ মে ২০২১ ইং তারিখে শ্রীবরদী থানায় অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে যোগদান করেন। উল্লেখ্য,এর আগেও তিনি বিভিন্ন থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব থাকাকালীন সময়ে রেঞ্জ ও জেলা পর্যায় সহ বিভিন্ন বিষয়ে শ্রেষ্ঠ ওসি হিসেবে সম্মাননা ও ক্রেস্ট পেয়েছেন।
তবে শ্রীবরদী উপজেলা হচ্ছে বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী উপজেলা। এ উপজেলায় বিশেষ করে অপরাধ ক্রাইম,মাদক, জুয়া, ইভটিজিং বেশি হয়ে থাকে। (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস শ্রীবরদী থানায় যোগদানের পর সমাজে অপরাধ প্রায় বিলুপ্তির পথে এখন।এমন (ওসি) সীমান্তবর্তী উপজেলায় প্রয়োজন।বিপ্লব কুমার বিশ্বাস শ্রীবরদী থানায় থাকলে অপরাধ দমন করা সম্ভব। এমন (ওসি) জেলা উপজেলায় থাকলে সমাজের বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষ শান্তিপূর্ণ অবস্থায় বসবাস করতে পারবে।তবে বর্তমান যুগে এমন (ওসি) পাওয়া অসম্ভব।
ওসি বিপ্লব কুমার বিশ্বাস শ্রীবরদী থানায় যোগদানের আগে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানা ও হালুয়াঘাট থানায় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।তিনি হালুয়াঘাট ও মুক্তাগাছার আগে শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানায় অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব পালন করেছেন।(ওসি)বিপ্লব কুমার বিশ্বাস বিগত ২০০১ সালে বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে উপ-পরিদর্শন(এসআই)হিসেবে নিয়োগ পান।পরে সারদা পুলিশ প্রশিক্ষণ একাডেমি থেকে দক্ষতার সহিত প্রশিক্ষণ অর্জন করে গাজীপুরে কর্মজীবন শুরু করেন। পরে বদলি হয়ে শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী ঝিনাইগাতী থানায় অফিসার ইনচার্জ(ওসি’র)দায়িত্ব পালন করেন। ২০১৯ সালে ১৬ জুন ময়মনসিংহের হালুয়াঘাট থানায় যোগদান করেন।২০২০ সালে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানায় অফিসার ইনচার্জ এর দায়িত্ব পালন করেন। এ কয়েক জায়গায় তিনি নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করার কারণে জনগণের কাছে প্রশংসনীয়তা অর্জন করেছেন।
তবে তিনি তার কর্মজীবনে প্রতিটি থানায় মামলা দায়েরের সংখ্যা কমিয়ে এনে ছোট ছোট অপরাধ গুলো স্থানীয়ভাবে সমাধান করে দিয়েছেন।কর্মস্থলে প্রতিটি পৌরসভা,ইউনিয়ন, গ্রাম ভিক্তিক কমিউনিটি পুলিশিং সভা,বিট পুলিশিং সভার আয়োজন করেছেন।সমাজের নানা ধরনের অপরাধ তুলে ধরে আইন শৃঙ্খলা বিষয়ে জনসাধারণকে অবগত করেছেন। তিনি প্রতিটি কর্মস্থলে বিট পুলিশিং এর মাধ্যমে সমাজের নানা ধরনের অপরাধের প্রতি যুদ্ধ ঘোষণা করে সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করে জনগণের ভালবাসায় প্রশংসনীয় অর্জন করেছেন।
তিনি নিজের কর্মতৎপরতা দিয়ে জনসাধারণকে পুলিশ সেভার মাধ্যমে বুঝতে চেয়েছেন যে,পুলিশ জনগণের শত্রু নয়,পুলিশ হলো জনগণের বন্ধু।এতে পুরো পুলিশ বাহিনীর ভাবমূর্তি উজ্জ্বল হয়েছে। তিনি প্রতিটি কর্মস্থলে সৎ নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করে,সামাজিক লোকজন, উপজেলা প্রশাসন,জেলা প্রশাসন, রাজনৈতিক ব্যক্তিবর্গ,সাংবাদিক, ও বিভিন্ন পেশাজীবি মানুষের মাঝে নিজেকে সু-পরিচিত অর্জন করেছেন।শুধু তায় নয় থানা চত্বর ও রাস্তাঘাটে বিভিন্ন ধরনের মূলক বাণী,মাদক,ধুমপান, ইভটিজিং, বিরোধী ফ্রেস্টুন এর মাধ্যমে সমাজের লোকজনকে অবগত করেছেন। এতেও সমাজে অপরাধ কমেছে বলে জানা গেছে। এছাড়াও তিনি সড়ক দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে ড্রাইভিং লাইসেন্স লার্নার কার্ড দিয়ে চালকদের মাঝে প্রশংসনীয় অফিসার ইনচার্জ হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেছেন।
এছাড়াও তিনি বিভিন্ন চাঞ্চল্যকর মামলার এজাহার নামীয় আসামীদেরকে ঘটনা ঘটার সাথে সাথে গ্রেফতার করেছেন।মাদক,জুয়া,ইভটিজিং,বাল্যবিবাহ,থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের অপরাধ দমন করার কারণে ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক হিশেবে নির্বাচিত হয়ে ময়মনসিংহ রেঞ্জের শ্রেষ্ঠ পুলিশ পরিদর্শক -এর সম্মাননা ক্রেস্ট ও সনদ অর্জন করেছেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply