রৌমারী (কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধি:
রৌমারী উপজেলার ২নং শৌলমারী ইউনিয়নের ভিজিডি প্রোগ্রামের এক সুবিধাভোগী ভিজিডি তালিকা ভুক্ত হলেও বিগত দুই বছর ধরে ভিজিডির চাল পায়নি। ৪৩২ নং ভিজিডি কার্ড ধারী আসমা খাতুন ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের বাউশমারী গ্রামের নজরুলের স্ত্রী।
আছমা খাতুন বলেন, সে হত-দরিদ্র হওয়ায় ২০১৭-১৮ অর্থ বছরে তাকে ভিজিডি তালিকাভুক্ত করার জন্য ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার ইউনুস আলীর নিকট কাগজপত্র জমা দেন। তার পর থেকে সে বিভিন্ন সময় ঐ মেম্বার এর কাছে কার্ডের খোজ নিতে গেলে মেম্বার বলেন তোমার নাম তালিকায় নাই। পরে কার্ডে বিষয়ে আসমা অত্র ইউপি সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে খোজ নিতে গেলে তিনিও আসমাকে দূর দুর করে তাড়িয়ে দেন। নিরুপায় হয়ে একসময় সে কার্ডের আশা ছেড়ে দেয়।
২৮ মার্চ আসমা ভিজিডির অন্যান্য সুবিধাভোগী মারফত নিশ্চিত ভাবে জানতে পারেন যে তার নামে ভিজিডি কার্ড রয়েছে। পরে তাৎক্ষনিক ভাবে আসমা ঐ ওয়ার্ড মেম্বার ও ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে তার নামীয় ভিজিডির কার্ড থাকলেও সে চাল না পাওয়ার বিষয়ে বিচার দাবী করলে ঘটনাটি জানানাহি হয়। এ নিয়ে ওই এলাকায় ব্যাপক আলোচনার সৃষ্টি হয়।
অনেকে বলেন, একজন নাগরিকের অন্যতম মৌলিক চাহিদা হচ্ছে তার খাদ্য সরবরাহ নিশ্চিত করা। নাগরিকের এই অন্যতম চাহিদা পূরণের লক্ষে স্থানীয় সরকারের মাধ্যমে হত-দরিদ্রদের মাঝে বিনামূল্যে চাল বিতরন করে থাকেন সরকার। কিন্তু উক্ত চাল হত-দরিদ্রদের মাঝে বিতরন না করে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে তা লুটেপুটে খাচ্ছে স্থানীয় সরকার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ। যা অত্যন্ত দুঃজনক।
উপজেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কর্মকর্তা ছুটিতে থাকায় এ বিষয়ে তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
এব্যাপারে শৌলমারী ইউপি সচিব সিরাজুল ইসলামের কাছে জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি।
২নং শৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান হাবিবুর রহমান হাবিল বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি। চাল বিতরনের দায়িত্ব ইউপি সচিবের। কার্ডধারীকে চাল না দিয়ে সচিব কাকে দিয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে এবং দ্রতই এর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply