এম.আর রয়েল, শ্রীনগর (মুন্সীগঞ্জ) প্রতিনিধি :
শ্রীনগরে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক স্কুল ছাত্রীকে জোড় পূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে উপজেলা সোন্ধারদিয়া গ্রাম থেকে দুই বখাটেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধর্ষণের পর ঘটনাটি ভিন্ন খাতে প্রভাবিত করার লক্ষে গভীর রাতে উল্টো চুরির অপবাদ দিয়ে পিতা-মাতাহীন ওই স্কুল ছাত্রীকে তার এক প্রতিবেশীর কাছে জিম্মায় রাখে ধর্ষক ও তার লোকজন। রবিবার বিকালে চুরির অপবাদে ওই ছাত্রীর বিরুদ্ধে ধর্ষক ও তার সহযোগীরা সালিশ বসায়। সালিশ বৈঠকে ওই ছাত্রীর মুখে চুরির অপবাদের পরিবর্তে ধর্ষণের অভিযোগ শুনে শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী আজিজুল হক(লেবু কাজী) মামলার পরামর্শ দিয়ে সালিশটি বাতিল করে দেন। ঘটনাটি এলাকায় জানাজানি হয়ে গেলে ঐ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জাকির হোসেন বিষয়টি শ্রীনগর থানা পুলিশকে অবহিত করেন। রবিবার রাতেই পুলিশ উপজেলার সোন্দারদিয়া এলাকা থেকে দুই ধর্ষক নয়ন (২৫) ও শহিদুল (২৬) কে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর একটি প্রভাবশালী মহল ধর্ষকদেরকে ছাড়িয়ে নিতে তৎপরতা শুরু করে।
মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে সাতটার দিকে ওই ছাত্রী তার ফুফুর বাসা থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে সোন্দারদিয়া বালুর মাঠ এলাকায় আসলে ওই এলাকার আ ঃ করিমের ছেলে নয়ন (২৫) ও হাফিজুল শেখের ছেলে শহিদুল (২৬) তার মুখ চেপে একটি নির্মানাধীন দালানের পেছনে নিয়ে রাত দুইটা পর্যন্ত আটকে রেখে জোড় পূর্বক ধর্ষন করে। পরে ধর্ষকরা পার্শ্ববর্তী এক দোকানের তালা ভেঙ্গে ওই ছাত্রীকে চুরির অপবাদ দিতে থাকে। এক পর্যায়ে সালিশ মিমাংসার কথা বলে ওই ছাত্রীর এক প্রতিবেশীর কাছে তাকে জিম্মা রাখে। এঘটনায় ওই ছাত্রীর ফুফু বাদী হয়ে শ্রীনগর থানায় ধর্ষনের অভিযোগ দায়ের করেন। স্থানীয়রা জানায়, ওই ছাত্রীর বাবা প্রবাসী এবং মা তিন বছর আগে আতœহত্যা করায় নাবালক তিন ভাই বোনকে তার ফুফুরাই দেখাশুনা করেন। অসহায় ওই ছাত্রীকে আটকে রেখে ধর্ষণের পর উল্টো চুরির অপবাদ দেওয়ায় ওই এলাকায় ক্ষোভ বিরাজ করছে।
শ্রীনগর থানার অফিসার ইনচার্জ এসএম আলমগীর হোসেন জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর পরই দুই জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলা রেকর্ডের প্রস্তুতি চলছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply