এম এম মাসুদ রানা, শ্রীপুরঃ
তোফাজ্জল হোসেন দীর্ঘ দিন ধরে শ্রীপুর বাউনী বাজারে ফার্নিচারের দোকান দিয়ে সুনামের সাথে কাজ করে আসছে। তার অধীনস্থ কয়েকজন কর্মচারীও রয়েছে। হৃদয় মিয়া নামের একজন ব্যক্তি অজ্ঞাত নামা কিছু লোকজন নিয়ে এসে তোফাজ্জল হোসেনের অনুমতি ছাড়া তার দোকান অনধিকারভাবে প্রবেশ করিয়া বিভিন্ন কার্যকলাপ করে। তোফাজ্জল সহ তার মিস্ত্রিগণ বাঁধা নিষেধ দিলে হৃদয় মিয়া ও তার সন্ত্রাস বাহিনী তাদের উপর ক্ষিপ্ত হইয়া তোফাজ্জল ও তার মিস্ত্রিদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি, হুমকি প্রদান ও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে। হৃদয় মিয়ার সাথে থাকা দেলোয়ার হোসেনকে জানাইলে সে হৃদয়ের পক্ষ নিয়া উল্টো দোকানের সবাইকে হুমকি প্রদান করে এবং বাকবিতন্ডা করে দোকানের একজন কর্মচারীকে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে।
এ বিষয়ে তোফাজ্জল হোসেন শ্রীপুর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগ সূত্র- মোঃ তোফাজ্জল হোসেন (৪৯) পিতা- মৃত আহছান উদ্দিন মাষ্টার, সাং- বাউনী, ওয়ার্ড নং- ০৩, ইউনিয়ন- গোসিংগা, থানা- শ্রীপুর, জেলা- গাজীপুর, বিবাদী ১। মোঃ হৃদয় (১৯) পিতা- মোঃ দেলোয়ার হোসেন, ২। মোঃ দেলোয়ার হোসেন (৫০) পিতা- মৃত সিরাজ উদ্দিন, উভয় সাং- বাউনী, ওয়ার্ড নং- ০৩, ইউনিয়ন- গোসিংগা, থানা- শ্রীপুর, জেলা- গাজীপুরদ্বয় সহ আরো অজ্ঞাত নামা ২/৩ জন বিবাদীদের বিরুদ্ধে এই মর্মে অভিযোগ দায়ের করিতেছি যে, আমি নিজস্ব মিস্ত্রি দ্বারা ফার্নিচার তৈরি করিয়া বাউনী বাজারে দোকান দিয়া সুনামের সহিত ফার্নিচার এর ব্যবসা করিয়া আসিতেছি। আমার ফার্নিচার কারখানায় মোঃ আজাহার (২৫), মোঃ শরিফ (২৬), মোঃ সজিব (২০), মোঃ নাঈম (৩২) সহ আরো কয়েকজন মিস্ত্রি কাজ করিয়া আসিতেছে। ১নং বিবাদী কর্তৃক অজ্ঞাত নামা বিবাদীদেরকে নিয়া আমার অনুমতি ছাড়াই কারখানায় অনধিকার প্রবেশ করিয়া বিভিন্ন কার্যকলাপ করিলে আমি সহ আমার মিস্ত্রিগণ বাধা নিষেধ দিলে ১নং বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমি ও আমার মিস্ত্রিদেরকে বিভিন্ন ধরনের ভয়-ভীতি ও হুমকি প্রদান করিয়া আসিতেছে।
উক্ত বিষয়ে ২নং বিবাদীকে জানাইলে ২নং বিবাদী ১নং বিবাদীর পক্ষ নিয়া উল্টো আমাকে বিভিন্ন ধরনের হুমকি প্রদান অব্যাহত রাখিয়াছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত ইং ০৮/০৪/২০২৩ তারিখে রাত্র অনুমান ৯:৩০ ঘটিকার সময় ১নং বিবাদী অজ্ঞাত নামা বিবাদীগণ আমার ফার্নিচারের কারখানায় অনধিকার প্রবেশ করিয়া লুডু খেলিতে চাহিলে আমার মিস্ত্রি মোঃ আজাহার ও মোঃ শরিফ লুডু খেলিতে বাধা প্রদান করায় ১নং বিবাদী ক্ষিপ্ত হইয়া আমি ও আমার মিস্ত্রিকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ করিতে থাকে।
একপর্যায়ে ১নং বিবাদী দা আনিয়া মিস্ত্রি মোঃ আজাহারকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথা লক্ষ করিয়া স্বজোরে কুপ দিলে মিস্ত্রি আজাহার কাদ হইয়া পড়িলে উক্ত কুপ আজাহার এর পিঠে লাগিয়া কাটা রক্তাক্ত গুরুত্বর জখম হয়। আজাহার এর ডাকচিৎকারে অন্যান্য মিস্ত্রি সহ আশপাশের লোকজন আগাইয়া আসিতে থাকিলে ১নং বিবাদী এই বলিয়া হুমকি দিয়া যায় যে, উক্ত ঘটনার বিষয়ে কোন প্রকার আইনের আশ্রয়ে গেলে পরবর্তীতে সময় সুযোগে আমি ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্ষয়-ক্ষতি করিবে।
অত:পর সংবাদের ভিত্তিতে আমি ঘটনাস্থলে আসিয়া মিস্ত্রি আজাহার এর অবস্থা খারাপ দেখিয়া অটোরিক্সা যোগে শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়া গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার আজাহার এর জখম সেলাই ব্যন্ডিজ সহ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে আজাহার শ্রীপুর উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি ও চিকিৎসাধীন আছে। এমতাবস্থায় আমি কোন উপায়ন্তর না পাইয়া উক্ত ঘটনার বিষয়ে মিস্ত্রি আজাহার সহ অন্যান্য মিস্ত্রির নিকট ঘটনার বিস্তারিত জানিয়া ও জখমের আলামত দেখিয়া আইনগত ব্যবস্থা গ্রহনের লক্ষ্যে থানায় অভিযোগ দায়ের করি।
তোফাজ্জল হোসেন থানায় অভিযোগ দায়ের করার পর সে এবং তার পরিবার সন্ত্রাসীদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতি হুমকিতে তাদের জীবন নিরাপত্তাহীনতার মধ্যে রয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply