বুধবার, ০৭ জুন ২০২৩, ১০:৫১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :

শ্রীপুরে পাওনা টাকা চাওয়ায় দোকানিসহ ইউপি সদস্যের নামে চাঁদাবাজি মামলা

Reporter Name
  • Update Time : সোমবার, ৭ আগস্ট, ২০১৭
  • ৫০ Time View

মুজাহিদুল ইসলাম, শ্রীপুর: গাজীপুরের শ্রীপুরে দোকান বাকির টাকা চাওয়ার জেরে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যের বিরুদ্ধে মামলার প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে স্থানীয় লোকজন।

সোমবার বেলা ১১টায় তেলিহাটি ইউনিয়নের দেওয়ানের চালা মোড় এলাকায় এ বিক্ষোভের ঘটনা ঘটে। এ সময় স্থানীয় লোকজন নয়নপুর-বরমী সড়ক প্রায় একঘন্টা অবরোধ করে রাখেন।

এ সময় বিক্ষোভে উপস্থিত ছিলেন, ১ নং ওয়ার্ড সদস্য তারেক হাসান বাচ্চু, ২ নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান হাফিজুর রহমান, ৩ নং ওয়ার্ড সদস্য নাসীর হোসেন, তেলিহাটি ইউনিয়ন জাতীয় পার্টির সভাপতি মোফাজ্জল সরকার, স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাসহ এলাকার লোকজন।

প্রসঙ্গতঃ দেওয়ানের চালা মোড় এলাকার চা ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলম বলেন, দেওয়ানের চালা গ্রামের শহর আলীর ছেলে সিরাজুল হক গত পাঁচ বছর যাবৎ তার দোকান থেকে বাকিতে জিনিষপত্র নিত। বর্তমানে তার নিকট লক্ষাধিক টাকা পাওনা হয়েছে। উক্ত টাকা চাওয়ায় সে টাকা পাওনার বিষয়টি অস্বিকার করে। পরে বিষয়টি ২নং ওয়ার্ড মেম্বার হাসান হাফিজুর রহমানকে বাকী খাতার প্রমানসহ অবগত করলে, স্থানীয়দের নিয়ে একটি গ্রাম্য সালিশের আয়োজন করা হয়। সেই সালিশে মেম্বার কর্তৃক সর্বসম্মতিক্রমে ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করার আদেশ দেয়া হয়। এবং এই আদেশ সিরাজুল হক মেনে নিয়ে কয়েক ধাপে উক্ত টাকা পরিশোধ করার প্রতিশ্রুতিও প্রদান করে। বেশ কয়েকদিনের মধ্যে টাকা পরিশোধ করার কয়েকটি নোটিস প্রদান করলেও নোটিসে সারা না দিয়ে আদালতে আমার ও স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্যের নাম উল্লেখ করে চাঁদাবাজির মামলা করেছেন।

তেলিহাটি ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড সদস্য হাসান হাফিজুর রহমান দিপক বলেন, ব্যবসায়ী জাহাঙ্গীর আলমের পাওনা টাকা উদ্ধারের বিষয়ে ইউনিয়ন পরিষদে আবেদন করলে স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সিরাজুল ইসলামকে টাকা দেওয়ার জন্য বলায় সে আদালতে চাঁদাবাজির মামলা করেছে। যেখানে আমাকেও আসামি করা হয়েছে।

তেলিহাটি গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রাজ্জাক জানান, স্থানীয় ওয়ার্ড সদস্য ও একজন ব্যবসায়ীর নামে মিথ্যা মামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ করেন স্থানীয় এলাকাবাসী। যেখানে কয়েক’শ লোক জড়ো হয়ে মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

মামলার বাদি সিরাজুল ইসলামের বক্তব্যের জন্য তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি।

এ সময় তার স্ত্রী নাসিমা আক্তার বলেন, তার স্বামী তাকে বলেছেন মামলা করলে তাকে আর পাওনা টাকা দিতে হবে না। আর এ ঘটনার পর থেকে তার স্বামীর সঙ্গে তার যোগাযোগ নেই।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়