শ্রীবরদী প্রতিনিধি:
শেরপুরের শ্রীবরদী উপজেলার ২টি ইউনিয়নকে শত ভাগ ভিক্ষুক মুক্ত ইউনিয়ন ঘোষনা করলেন শেরপুরের জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। সরকারের ভিক্ষুক পূর্ণবাসন কর্মসূচীর আওতায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলার ৬নং শ্রীবরদী সদর ইউনিয়ন প্রাঙ্গনে এক অনুষ্ঠানে আনুষ্ঠানিক ভাবে শ্রীবরদী সদর ইউনিয়ন ও গোশাইপুর ইউনিয়নকে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষনা করা হয়। অনুষ্ঠানে অবহেলিত ২টি ইউনিয়নের দরিদ্র অসহায় ৫৮ জন ভিক্ষুক ভিক্ষা বৃত্তি না করার প্রতিশ্র“তি প্রদান করেন।
এ উপলক্ষে শ্রীবরদী সদর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল হালিমের সভাপতিত্বে ভিক্ষুক মুক্ত ঘোষনা ও ভিক্ষুক পূর্ণবাসন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে ভিক্ষুকদের হাতে ভ্যান গাড়ি, সেলাই মেশিন ও নগদ টাকা তুলে দেন জেলা প্রশাসক আনার কলি মাহবুব। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শ্রীবরদীর ইউএনও সেজুতি ধর ও নবাগত শ্রীবরদীর সহকারী কমিশনার ভূমি মঞ্জুরুল আহসান। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রাকিবুল হাসানের সঞ্চালনায় এ সময় শেরপুর জেলা আ’লীগের প্রচার সম্পাদক ও জেলা হিন্দু স¤প্রদায়ের অন্যতম নেতা বাবু দেবাশিষ ভট্টাচার্য, শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের সচিব হুমায়ূন কবির, গোশাইপুর ইউনিয়নের সচিব ছাইয়েদুল আলম, শ্রীবরদী প্রেস ক্লাব, সিনিয়র সহ-সভাপতি শওকত জামান, সাধারণ সম্পাদক তারেক মুহাম্মদ আব্দুলাহ রানা, সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল ইসলাম মঞ্জু, বানিবাইদ আব্দুলাহ আল মাহমুদ পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রেজাউল করিম সহ উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, আ’লীগের নের্তৃবৃন্দ, সাংবাদিক সহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা উপস্থিত ছিলেন।
শ্রীবরদী সদর ইউনিয়নের সচিব হুমায়ূন কবির জানান ভিক্ষুক পূর্ণবাসন কর্মসূচীর আওতায় সদর ইউনিয়নের ২৯ জন ও গোশাইপুর ইউনিয়নের ২৪ জন ভিক্ষুককে পূর্ণবাসন করা হয়। এদের মধ্যে ১০ জনকে ভ্যানগাড়ি, ২ জনকে সেলাই মেশিন, ৩৭ জনকে ১০ হাজার করে টাকা প্রদান করা হয়। এ কর্মসূচী যথাযথ ভাবে পালন হলে ইউনিয়ন ২টিতে আর কোন ভিক্ষুক থাকবে না। ভিক্ষা বৃত্তির অভিশাপ থেকে মুক্তি পাবে ২টি ইউনিয়নের মানুষ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply