শ্রীলঙ্কায় ৩টি গির্জা ও ৪টি হোটেলে বোমা হামলায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৫৯ জনে দাঁড়িয়েছে। এ হামলার ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬০ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আজ বুধবার শ্রীলঙ্কা পুলিশের মুখপাত্র রুয়ান গুনাসেকেরা নিহতের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা প্রকাশ করলেও বিস্তারিত আর কিছু জানাননি, খবর বার্তা সংস্থা রয়টার্সের।
শ্রীলঙ্কার কয়েকটি চার্চ ও হোটেলে একযোগে চালানো বোমা হামলায় নয় আত্মঘাতী অংশ নিয়েছে এবং তাদের একজন নারী ছিল বলে জানিয়েছেন দেশটির একজন মন্ত্রী।
শীলঙ্কায় নিহতদের মধ্যে ৩৮ জন বিদেশি আছেন বলে এখন পর্যন্ত জানা গেছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের একজন। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফুফাতো ভাই শেখ সেলিমের নাতি। ভয়াবহ সেই বোমা হামলার সময় শ্রীলঙ্কায় অবস্থান করছিলেন শেখ সেলিমের মেয়ে ও জামাতা।
মঙ্গলবার আইএস পরিচালিত সংবাদমাধ্যম আমাক নিউজ অ্যাজেন্সিতে শ্রীলঙ্কায় হামলার দায় স্বীকার করে বিবৃতি দেয়া হয়েছে। এর আগে দেশটির চরমপন্থী ইসলামিক গোষ্ঠী ন্যাশনাল তাওহীদ জামায়াতকে হামলার মূল সন্দেহভাজন হিসেবে দায়ী করে সরকার।
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের মসজিদে হওয়া হামলার প্রতিশোধ নিতে শ্রীলঙ্কায় হামলা হয়েছে বলে পার্লামেন্টে দেয়া এক বক্তৃতায় জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী রুয়ান বিজয়াবর্ধনে। এক গোয়েন্দা প্রতিবেদনের ভিত্তিতে এ মন্তব্য করেছেন তিনি।
তিনি জানিয়েছেন, হামলার আশঙ্কা প্রকাশ করে প্রতিবেদন দেওয়া হলেও সেগুলো তার সঙ্গে শেয়ার করা হয়নি, কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ‘কঠোর পদক্ষেপ’ নেওয়ার অঙ্গীকার করেছেন তিনি।
জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে তিনি বলেছেন, আগামী সপ্তাহগুলোতে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীগুলোকে ঢেলে সাজাবো। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রতিরক্ষা বাহিনীগুলোর প্রধানদের পরিবর্তন করতে চাই। নিরাপত্তা কর্মকর্তারা বিদেশি একটি রাষ্ট্রের কাজ থেকে গোয়েন্দা প্রতিবেদন পাওয়ার পরও সেটি আমাকে জানাননি।
এসব কর্মকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এক সংবাদ সম্মেলনে অপরাধীদের শনাক্ত করার পথে তদন্তের অগ্রগতি হওয়ার কথা জানিয়েছেন শ্রীলঙ্কার প্রধানমন্ত্রী রনিল বিক্রমাসিংহে। আমরা আইএসের দাবি খতিয়ে দেখবো, আমাদের বিশ্বাস সম্ভবত কিছু সম্পর্ক আছে, বলেছেন তিনি। অন্তত সাত আত্মঘাতী হামলাগুলো চালিয়েছে বলে জানিয়েছে শ্রীলঙ্কা সরকার।
এদিকে বুধবার কলম্বোতে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত জানিয়েছেন, ইস্টার সানডের আত্মঘাতী বোমা হামলার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের কাছে আগাম কোনো গোয়েন্দা তথ্য না থাকলেও শ্রীলঙ্কায় আরও সন্ত্রাসী হামলার ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে বিশ্বাস তাদের।
Leave a Reply