চিতলমারীতে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা চরম আতঙ্কে
মো: একরামুল হক মুন্সী (চিতলমারী) বাগেরহাট:
বাগেরহাটের চিতলমারীতে শ্রেণীকক্ষের সংকটে পরিত্যক্ত ও জরাজীর্ণ ভবনে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পাঠদান করানো হচ্ছে কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। উপজেলার বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫টি ভবন পরিত্যক্ত ও ২৪ টি ভবন জরাজীর্ণ ঘোষণা করা হলেও শ্রেণী কক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এ সকল ভবনে শিক্ষার্থীরা ক্লাশ করছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা চরম ঝুঁকিতে রয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ১১১টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১৫টি ভবন পরিত্যক্ত ও ২৪ টি জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে। এসমস্ত স্কুলের ভবনগুলো ইতোপূর্বে পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হলেও শ্রেণী কক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ এ সকল ভবনে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। উপজেলার বেন্নাবাড়ী সোনাখালী, ত্রিপল্লী, চরচিংগড়ী মধ্যপাড়া, শৈলদাহ গুচ্ছগ্রাম, হিজলা চরপাড়া, রায়গ্রাম, রুইয়ারকুল, চিংগড়ী চরচিংগড়ী, মচন্দপুর, গঙ্গাচন্না, বেতিবুনিয়া, আমবাড়ী, কুরালতলা উত্তরপাড়া, চরলাটিমা ও বড়গুনি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন পরিত্যক্ত এবং পিরেরাবাদ, গরীবপুর চরবানিয়ারী মডেল, হিজলা, চিতলমারী একে ফায়জুল হক, কচুড়িয়া, খড়মখালী শ্রীমতি সেèহলতা, অশোকনগর, চরডাকাতিয়া চৌরঙ্গী, দলুয়াগুনি, চরবানিয়ারী, উত্তর বড়বাড়িয়া, দক্ষিন বড়বাঁক, কলিগাতী, শান্তিখালী, বড়বাড়িয়া বাদামতলা, উত্তর শিবপুর, কালশিরা, ডুমুরিয়া, সাবোখালী, বড়বাড়িয়া চরপাড়া ও গোড়ানালুয়া বড়বাঁক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন জরাজীর্ণ ঘোষণা করা হয়েছে।
এ সকল বিদ্যালয় ভবনগুলোর ছাদ, পিলার ও দেয়াল থেকে সিমেন্ট-বালু খসে পড়ছে। ছাদ ও পিলারের রড বের হয়ে গেছে। কিন্তু শ্রেণী কক্ষের অভাবে এসব প্রতিষ্ঠানের প্রায় ৩ হাজার শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট শিক্ষক-কর্মচারীরা আতঙ্কের মধ্যে পাঠদানসহ দাপ্তরিক কাজ করছেন।
রুইয়ারকুল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক শৈলেন্দ্রনাথ ব্রহ্ম ও বেন্নাবাড়ি সোনাখালী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষিকা রুবি আক্তারসহ বেশ কয়েকজন শিক্ষক জানান, ঝুঁকিপূর্ণ এসব প্রায় প্রতিটি শ্রেণী কক্ষের ছাদ ও পলেস্তার খসে পড়েছে। ভয়ে শিক্ষার্থীরা ঠিকমত ক্লাশ করতে পারছেনা। অভিভাবকেরা সন্তানদের স্কুলে পাঠিয়ে চরম উদ্বেগ- উৎকন্ঠার থাকেন সব সময় ।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মোঃ মোজাফ্ফর উদ্দিন জানান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের থেকে ইতোমধ্যে চিতলমারী উপজেলার অতি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবনের তালিকা প্রেরণের নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। সেই মোতাবেক এ উপজেলার ১১১টি প্রথামিক বিদ্যালয়ে জরিপ কাজ চালানো হয়েছে। এর মধ্য থেকে ঝুুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ভবন পুনঃনির্মান ও মেরামতের জন্যসংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
বাগেরহাট জেলা শিক্ষা অফিসার অশোক কুমার সমাদ্দার জানান, চিতলমারী উপজেলাসহ ৫টি উপজেলার অতি জরাজীর্ণ ও পরিত্যক্ত স্কুল ভবনের তালিকা তিনি হাতে পেয়েছেন। সেই তালিকা গুলো শিক্ষা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply