শনিবার, ১০ জুন ২০২৩, ০৮:৪৩ অপরাহ্ন

সরকারি খালের মাটি কেটে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে

Reporter Name
  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২৫ মে, ২০২৩
  • ৩১ Time View

 

 

হাবিব সরকার স্বাধীন :

 

বাঞ্ছারামপুর থানা পাঠামারা গ্রামের বাবুল মিয়া, পিতা মোহন মিয়া। দীর্ঘদিন ধরে প্রকাশ্যে প্রশাসনকে কাঠের চশমা পরিয়ে চোরাই ভাবে মাটি ভরাট করে বিক্রি করার অভিযোগ বাবুল মিয়ার বিরুদ্ধে।

অভিযোগ উঠেছে কাগজে কলমে নবাবপুর নামের সু পরিচিত আশেপাশের যত জমি রয়েছে সবগুলো জমিকে সর্বনাশের পথে ঠেলে দিচ্ছেন বাবুল মিয়া। সরকারি খালের মাটি কেটে সংস্কারের নামে সরকারি খালের মাটি কেটে প্রকাশ্যে বিক্রি করছেন স্থানীয় কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তি।

গত কয়েক মাস ধরে এক্সকেভেটর (মাটি কাটার যন্ত্র) দিয়ে হোগলাকান্দি পাঠামারা বাইলা ধরা বিল নামে পরিচিত বিল গেটের সর্বনাশ করছে বাবুল মিয়া। জমির আশেপাশে দেদারছে মাটি কেটে যাচ্ছেন কেউ টু শব্দ করতে পাচ্ছে না। অবৈধভাবে মাটিকাটাকে কেন্দ্র করে একজন হার্ট অ্যাটাক হয়ে মারা গেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। খালের ভেতরে ১৫ থেকে ২০ ফুট গভীর গর্ত করে মাটি কেটে বিক্রি করা হচ্ছে।

এমনকি খালের সীমানা ছাড়িয়ে জোর করে মাটি কাটা হয়েছে ব্যক্তি মালিকানাধীন কৃষি জমি ও বসতভিটার আশপাশ থেকেও। এর ফলে খালগুলোর পাড়ে থাকা কৃষি জমি, ঘরবাড়ি, গাছপালা ও সরকারি রাস্তা পড়েছে ধসের হুমকিতে। খালের ৫ থেকে ৬টি জায়গায় ২০ থেকে ২৫ ফুট গভীর করে মাটি কেটে ভরাট করা হচ্ছে বাড়ির জমি। হাতিয়ে নিচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। ইউনিয়নের অন্যান্য খালে গিয়েও দেখা গেছে, কোথাও কোথাও মাটি কাটা ও বিক্রি শেষ, আবার কোথাও চলছে মাটি কাটা ও বিক্রি।

হোগলাকান্দির বাসিন্দা ভুক্তভোগী জহিরুল ইসলাম দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশকে বলেন, ‘খালের সীমানার পরেও ব্যক্তিমালিকানাধীন কৃষিজমি ও বসতভিটার কেটে নিয়েছে আমি বাধা দিতে গেলে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয় ওরা। আরেক ভুক্তভোগী পাঠামারা বাসিন্দা কৃষক ইয়াকুব বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী নেতারা আমার জমির গাছ কেটে ফেলেছে। গভীর ভাবে খাল কাটার কারণে বর্ষা মৌসুমে আমার কৃষি জমির অনেক অংশ ভেঙে খালের ভেতর চলে যাবে। পাঠামারা সামাদ, হোগলাকান্দি সহ আরো আশেপাশে অনেক ভুক্তভোগী রয়েছে যারা আতঙ্কে আছে তাদের ভয়ে।

শুধু মাটি কেটে নেওয়াই নয়, প্রভাবশালী মাটি ব্যবসায়ীরা ভুক্তভোগী কারও কারও কাছ থেকে হুমকি দিয়ে টাকা আদায় করেছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক হোগলাকান্দি গ্রামের এক ভুক্তভোগী বলেন জীবনের শেষ সম্বল ‘অলংকার বিক্রি করে আমি জায়গা কিনেছি। আমার জমি কেটে আমাদের কাছে বিক্রি করছে বাবুল মিয়া। ও তার ভাই টাকা না দিলে ঘরবাড়ি কেটে নেওয়ার হুমকি দিয়েছে।

আমার মতো অনেকে ঘরবাড়ি হারানোর ভয়ে ওদের টাকা দিয়েছি। অভিযোগের ব্যাপারে বাবুল মিয়ার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। ইউনিয়নের অন্যান্য খালের মাটি কেটে বিক্রি করে দেয় প্রভাবশালীরা।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে নির্বাহী কর্মকর্তা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কল রিসিভ করেনি।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়