রবিউল আলম রাজু :
মেট্রোরেল চালু হওয়ার পর এলাকাটি উন্নয়নের রূপরেখায় আসার কারণে এখানে শকুনের নজর পড়েছে। বিভিন্ন চাঁদাবাজরা এই এলাকাকে বেছে নিয়ে ইতিমধ্যে সবাই একাট্টা হয়ে রাজনৈতিক লেবাস নিয়ে চাঁদাবাজিতে মত্ত হয়ে উঠেছে। তাদের মধ্যে অন্যতম রুস্তুম আলী।
কে এই রুস্তুম আলী? তার ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায়, চাঁদাবাজি তার পেশা। পূর্বে বিভিন্ন বড় বড় সন্ত্রাসীদের সাথে সে ছোট ভাই হিসেবে কাজ করতো। ধীরে ধীরে সে নিজেই এখন বড় চাঁদাবাজে পরিণত হয়েছে। রাজধানীর উত্তরা তুরাগ থানার পাশেই দিয়াবাড়ী ১৮ নং সেক্টর ২ নাম্বার মেট্রোরেলের পশ্চিম পাশে বিশাল জাগায় জোর দখল করে, থানা পুলিশ ম্যানেজ করে বসিয়েছে দোকানপাট ও জুয়া ও মাদকের আস্তানা। এখানে মাসে লাখ লাখ টাকা চাঁদা উঠাচ্ছে।
এই চাঁদা বাজির মুলহোতা বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জের রুস্তম আলী। বর্তমান ৫২ নাম্বার ওয়ার্ডে আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের নেতা বলে জানান তিনি। রুস্তম আলী ঐ বাজার বসিয়ে চাঁদাবাজি করছে লাখ লাখ টাকা। তাকে জিজ্ঞেস করলে প্রতিবেদককে জানায়, আমি থানা পুলিশ, সরকার দলীয় নেতা সহ সকলকে ম্যানেজ করে এই বাজার বসিয়েছি। এখানে রাজউকের অফিসারদের ও টাকা দিয়ে ম্যানেজ করে চলি।
রুস্তম আলিকে দৈনিক আমার প্রাণের বাংলাদেশ পত্রিকার প্রতিবেদক জানায়, রাজউক যদি ভেঙ্গে দেয় তাহলে কি করবেন। জবাবে রুস্তম আলী জানায়, টাকা এমন জিনিস কাঠের পুতুলও হা করে। প্রতিবেদককে ম্যানেজ করার চেষ্টা করে লাভ হয়নি। এই অবৈধ বাজার বসানোর ব্যাপারে কথা বলার জন্য রাজউকের উত্তরা জোনের পরিচালককে মুঠো ফোনে পাওয়া যায়নি।
এই বাজার বসানোর কারনে নিয়মিত ঐ এলাকায় চলছে ছিনতাই সহ যত ধরনের অপকর্ম। এমনকি মাদকের মত ভয়াবহ বেচাকেনা হচ্ছে। অচিরেই এই চাঁদাবাজ গডফাদারদের গ্রেফতার না করতে পারলে নষ্ট হবে পরিবেশ। আওয়ামী লীগের মত বড় দলের ভাবমুর্তি নষ্ট করবে এই রুস্তম আলী গংরা।
রাজউকের অসাধু কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে চলছে তথ্য সংগ্রহের কাজ। চোখ রাখুন আগামী সংখ্যায়। বিস্তারিত আসবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply