এস এম মিজান, গৌরনদী (বরিশাল) প্রতিনিধি :
সড়ক ও জনপদের অর্থায়নে মহাসড়কের পাশে ১৪ লাখ টাকা ব্যয়ে নবনির্মিত ১৬০ মিটার ড্রেন এখন ব্যবসায়ীদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঘটনাটি বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের গৌরনদী উপজেলার মাহিলাড়া বাজারের।
বরিশাল সড়ক ও জনপদ সূত্রে জানা গেছে, ২০২০-২১ অর্থবছরে মেইনট্যান্যান্সের আওতায় পানি নিস্কাসনের জন্য মাহিলাড়া বাজারে ১৬০ মিটার ড্রেন নির্মানের জন্য ১৪ লাখ টাকা বরাদ্দ করা হয়। ড্রেনটি নির্মানের জন্য বরিশালের ঠিকাদার এম খান এন্টারপ্রাইজ লিঃ কার্যাদেশ পায়। ড্রেনটির নির্মান কাজ এম খান এন্টারপ্রাইজ লিঃ না করলেও অতি সম্প্রতি কাজল সেরনিয়াবাত নামের এক ব্যক্তি কাজটি সম্পন্ন করেন।
এ বিষয়ে কাজল সেরনিয়াবাত জানান, তিনি ড্রেন নির্মান কাজ করেননি। মোস্তাফিজুর রহমান নামের এক ঠিকাদার ড্রেন নির্মানের কাজটি করেছেন। ড্রেন নির্মানে অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে ঠিকাদার মোস্তাফিজুর এ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশ না করতে সাংবাদিকদের অনুরোধ জানান।
মাহিলাড়া বাজারের একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, বরিশাল-ঢাকা মহাসড়ক ফোর লেনে উন্নীতকরনের কাজ প্রক্রিয়াধীন থাকা সত্বেও সড়ক ও জনপদ বিভাগ মহাসড়কের পাশে অপরিকল্পিত ভাবে ড্রেনটি নির্মান করেছে। ফলে অপরিকল্পিত ভাবে নির্মিত ড্রেনটি এখন ব্যবসায়ীদের গলার কাটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ব্যবসায়ীরা আরও বলেন, ড্রেনটি নিন্মনামের সামগ্রী দিয়ে নির্মান করায় কয়েকটি স্থানে ইতিমধ্যে ভাঙ্গন দেখা দিয়েছে।
মাহিলাড়া বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি শহিদুল ইসলাম শহিদ জানান, ড্রেনটি নির্মানের জন্য ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে কোন মতামত নেয়া হয়নি। এ ড্রেনের নির্মানের ফলে ব্যবসায়ীদের উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হয়েছে। এটা ব্যবসায়ীদের কোন কাজে আসছে না। ফলে সরকারের ১৪ লাখ টাকাই গচ্ছা গেছে।
সড়ক ও জনপদ বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী অরুন কুমার জানান, বৃষ্টির সময়ে মাহিলাড়া বাজারে পানি জমে থাকায় ব্যবসায়ীদের স্বার্থে ড্রেনটি নির্মান করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ঠিকাদারের অনূকূলে সমস্ত বিল প্রদান করা হয়েছে। নির্মান কাজে কোন অনিয়ম হয়নি বলেও তিনি দাবী করেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply