দেওয়ান আবুল বাশার, মানিকগঞ্জ:
মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার-গোপালপুর সড়কের বেহাল দশায় মাঝে মধ্যেই যানবাহন চলাচল ব্যহৃত হচ্ছে। এমনিতেই খদাখন্দ তার উপর সামান্য বৃষ্টি হলেই গোপালপুর হাটের সামনের সড়কে হাঁটু পর্যন্ত কাদা পানি জমে যাওয়ার ফলে এ সড়কে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সড়কটি জেলার দৌলতপুর-সাটুরিয়া উপজেলার সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। ফলে দুর্ভোগে পড়েছেন ২০ গ্রামের প্রায় ৫০ হাজারের অধিক মানুষ।জেলার অন্যতম ব্যস্ত সাটুরিয়া-গোপালপুর সড়কটি দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় পিচ উঠে গিয়ে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বছর গর্তের সংখ্যা ও গভীরতা আরও বেড়েছে। গত কয়েক দিনের বৃষ্টির পানি জমে সড়কটি যান চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে।সড়কটি বন্ধ থাকায় সাটুরিয়া ও দৌলতপুর উপজেলার অন্তত ২০ গ্রামের মানুষ দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। এ সড়কপথেই সাটুরিয়া উপজেলার গোপালপুর উচ্চ বিদ্যালয়, গোপালপুর সহকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শত শত শিক্ষার্থী চলাচল করে।সড়ক যোগাযোগ বন্ধ থাকায় সাধারণ মানুষের পাশাপাশি ব্যবসায়ী ও কৃষকরা বিপাকে পড়েছেন। ক্রেতা-বিক্রেতারা গোপালপুর হাটে আসতে পারছেন না। এই বাজারের ব্যবসায়ী জহুরুল মিয়া জানান, সড়কটি বন্ধ থাকায় বেচা-কেনায় ভাটা পড়েছে। উপজেলার অন্যতম বৃহৎ এই বাজারের সামনের সড়কে কোমর পর্যন্ত কাদাপানি থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি।গোপালপুর বাজারের প্রতিষ্ঠাতা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল হাই চেয়ারম্যান বলেন, এ সড়ক দিয়ে ২টি বিদ্যালয় ছাড়াও সাটুরিয়া সৈয়দ কালুশাহ কলেজের শিক্ষার্থীরা চলাচল করে। ফলে তাদের সীমাহীন দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে। তিনি জানান, এ সড়কের গোপালপুর হাটের পূর্ব অংশে সংস্কার করার জন্য সরকারি বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু রাস্তা সংস্কার না করে মাত্র ২/৩ ট্রাক মাটি ফেলা হয়। ফলে এখন বৃষ্টি হওয়ায় কাদাপানিতে একাকার হয়েছে সড়কটি। তিনি আরও বলেন, আমাদের হাটের সামনের সড়কে কোমর পানি জমে থাকে। বড় বড় গর্ত সৃষ্টি হয়েছে। সারা বছর ধুলা বালিতে কষ্ট করে আসতে পারলেও গত কয়েকদিনের বৃষ্টির পানিতে ত এখন বিপদজনক হয়ে গেছে। যানচলাচল বন্ধ থাকায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতি গ্রস্ত হচ্ছে ব্যাবসায়ীদের।এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলার বরাইদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. হারুন অর রশিদ বলেন, এটি সংস্কার কারার জন্য টিআরের ৬০ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর বিলের টাকা এখনো ওঠানো সম্ভব হয়নি। রাস্তার ওই অংশে কিছু মাটি ও সুরকি ফেলার পর বৃষ্টিতে এ অবস্থা হয়েছে। বাকি কাজ করলে আর সমস্যা থাকবে না।এ ব্যাপারে সাটুরিয়া উপজেলা প্রকৌশলী (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. আইয়ুব আলী বলেন, সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান গোপালপুর হাটের ক্ষতিগ্রস্ত সড়পকের অংশ মেরামতের জন্য প্রকল্প চাইলে আমরা আগামী এডিপি থেকে বরাদ্ধ দিতে পারব।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply