মো: নাছির, (সাতকানিয়া-লোহাগাড়া) প্রতিনিধি:
প্রশাসনিক ব্যক্তি হয়েও একজন নিবেদিত প্রাণ হিসেবে দেশ ও জাতির কল্যাণের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে যাচ্ছেন দক্ষিণ চট্টগ্রাম ঐতিহ্যবাহী সাতকানিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রফিকুল হোসেন। সাতকানিয়া থানায় যোগদানের পর থেকে সাতকানিয়ার পরিস্থিতি দিনে দিনে পাল্টে যেতে শুরু করে। রাজনৈতিক সহিংসতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ডকে শক্ত হাতে দমন করে তিনি সাতকানিয়াবাসীকে উপহার দিয়েছেন শান্তি সমৃদ্ধ ও নির্মল পরিবেশ সমৃদ্ধ একটি মডেল থানা। সাতকানিয়ার মা-মাটি ও মানুষের প্রিয়ভাজন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ রফিকুল হোসেন। যিনি সাতকানিয়া থানা এলাকায় সিসি ক্যামরা স্থাপন, সাতকানিয়া থানার আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি শান্ত রাখা সহ এবং রাজনৈতিক হানাহানি বন্ধ, মাদক, ইয়াবা, চুরি, ডাকাতি, চাঁদাবাজি, বাল্য বিবাহ, ধর্মীয় মূল্যবোধের উপর আঘাত তথা সাতকানিয়া থানার শিক্ষা সাংস্কৃতি ও ক্রিয়া বিকাশের নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। কিছুদিন আগে এক গরীব পিতার টাকার অভাবে তার মেয়ের রক্ত ক্রয় করার সামথ্য ছিল না তাহা শুনার সাথে সাথে থানা থেকে উঠে গিয়ে নিজের শরীর থেকে রক্ত দিয়ে মেয়েটিকে নতুন জীবন দান করেছেন। শুধু তাই নয় রাতের অন্ধকারে ছুটে চলেন গ্রাম থেকে গ্রামে। বর্তমান সময়ে চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ারলীগ (আই.পি.এল) টি-২০ ক্রিকেটকে কেন্দ্র করে সাতকানিয়া উপজেলা বিভিন্ন দোকানে জুয়াডির আড্ডা দেখা দিলে তিনি সাথে সাথে সতর্ক জারি করেন। যেন কোথায় জুয়া চলছে এমন খবর থাকলে সরাসরি জানানোর জন্য সত্যি এইটি ছিল তার বিছক্ষণতার বহিঃপ্রকাশ। ক্রীড়ামুদী জনতার আজ ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অভূতপূর্ব উন্নতির জন্য তার ভূয়সী প্রশংসা করে যাচ্ছেন সাতকানিয়াবাসী। প্রাণঘাতি ইয়াবা স¤্রাটদেরকে তিনি চিহ্নিত করে মুখোশ উম্মোচন করেছেন। এলাকার সচেতন মহল সুশিল সমাজ শিক্ষক মহল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মনে তিনি জায়গা করে নিয়েছেন আপন ও বিশ্বস্থ মানুষ হিসেবে। দুর্ঘম এলাকার ছেলে-মেয়ে যাতে নিজেদেরকে শিক্ষিত করে তুলতে পারে সে লক্ষ্যে তিনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও জড়িত আছেন। তিনি এ প্রতিবেদককে বলেন, আমি যতদিন এই সাতকানিয়া থানায় থাকবো ততদিন এই এলাকার পরিবেশ ইতিহাস ও ঐতিহ্যকে উর্বর করার চেষ্টা চালিয়ে যাব। মাদকের ভয়াল কবল থেকে যুব সমাজকে মুক্ত রাখার আপ্রান চেষ্টা করে যাব। কোন অপরাধী যেন কিছুতেই আইনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অপরাধমুলক কাজে জড়িত হতে না পেরে সেদিকে আমার স্থির নজরবন্দি থাকবে। তিনি সাতকানিয়া-লোহাগাড়া থেকে নির্বাচিত মাননীয় সংসদ সদস্য প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজাম উদ্দিন নদভী ও সাংসদ পতœী বিশিষ্ট নারী নেতৃ মিসেস রিজিয়া রেজা চৌধুরীর ভূয়সি প্রশংসা করে বলেন, আমরা এমন একজন সাংসদ পেয়েছি যিনি বার বার নির্দেশ দেন অপরাধীরা যে দলের হোক না কেন তাদেরকে আইনের আওতায় এনে বিচারের সম্মুখীন করা।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply