শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৭:০৪ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নীলফামারীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন ঢাকাসহ তাপপ্রবাহ বইছে ৬০ জেলায় সোনারগাঁয়ে ৭টি রেষ্টুরেন্টসহ দুই হাজার অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন ১ জনকে আটক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা দাম কমবে ইন্টারনেটের ১৬১ টাকা কমলো ১২ কেজি এলপিজির দাম মেলান্দহের আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র! উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রেললাইন বস্তি অপরাধ মাদকের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানীর বিস্তৃত এলাকার একচ্ছত্র মাদক সম্রাট হুমায়ুন কবির গাজী ক্ষমতার জোরে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে; থানায় অভিযোগ

সাতক্ষীরায় খাল খননের নামে হরিলুট

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৯
  • ৫৮ Time View

মোঃ আশিকুর  রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :

 

খাল খননের নামে হরিলুট করে পালিয়ে যাবার সময় মাটিকাটা মেশিন আটকে দিয়েছে গ্রামবাসী। তারা নির্দেশনা অনুযায়ী খাল খনন না করা পর্যন্ত এ মেশিন সরাতে দেবেনা বলে জানিয়ে দিয়েছে। এলাকার চেয়ারম্যান জানান, খননে দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এ জন্য গ্রামের লোকজন তাদের খনন মেশিন আটকে দিয়েছেন। অপরদিকে সংশ্লিষ্ট উপসহকারি প্রকৌশলী বলেন খনন কাজের সময় এখনও রয়েছে। আমরা চেষ্টা করছি খনন কাজ পুরোপুরি শেষ করাতে।

জানা গেছে চলতি অর্থবছরে বৃহত্তর খুলনা যশোর জেলার ক্ষুদ্র সেচ উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বাঁশদহা ইউনিয়নে দুই কিলোমিটার খাল খননের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। এ কাজে বরাদ্দ দেওয়া হয় সাড়ে ১৮ লাখ টাকা। বাগেরহাটের মোল্লারহাট এলাকার ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আকাশ এন্টারপ্রাইজের ফিরোজ মোল্লা এই কাজের টেন্ডার পান। এরপরই তিনি কাজ শুরু করেন। নির্দেশ অনুযায়ী কাওনডাঙ্গা সেতু থেকে দুই কিলোমিটার দক্ষিন বরাবর এই খাল খননের কথা। কার্যাদেশে উল্লেখ করা হয়েছে খালের উপরে ৪০ ফুট, তলদেশে ১৪ ফুট এবং গড়ে পাঁচফুট গভীর করে খালটি খনন করতে হবে। গ্রামবাসী জানান খনন শুরু সময় খালে পানি ছিল। এখনও পানি রয়েছে। এই সুযোগ ব্যবহার করে নামমাত্র খনন দেখিয়ে ঠিকাদার এলাকা ত্যাগ করছিলেন। তারা বলেন, পানি সেচ না করেই খালের দুই পাশ থেকে কিছুটা মাটি কেটে পাশেই ঢিবি দেওয়া হয়েছে। এতে পুরোপুরি দুর্নীতির আশ্রয় নেওয়া হয়েছে। এতে খাল খননের প্রকৃত উদ্দেশ্য নস্যাৎ হয়ে গেছে।

বাঁশদহা ইউপি চেয়ারম্যান এসএম মোশাররফ হোসেন জানান, তিনি কাজের শুরু দেখেছেন। আর এখন দেখছেন কাজের নামে ফাঁকি। তিনি বলেন, যে খালে পানি থাকে সে খাল কিভাবে খনন হয়। তা ছাড়া যতোটা খনন করার কথা তা করা হয়নি। খুব বেশি হলে তিন লাখ টাকার কাজ হয়েছে বলে ধারনা করা যায়। তিনি নিজেই এর প্রতিবাদ করেছেন। তিনি জানান কয়েকদিন আগে ঠিকাদারের লোকজন খনন কাজ শেষ দেখিয়ে এসক্যাভেটর মেশিন নিয়ে চলে যাচ্ছিল। এ সময় এলাকার কৃষিজীবী লোকজন তাদের মেশিন আটকে দেন।

জানতে চাইলে প্রকল্পের উপসহকারি প্রকৌশলী চিন্ময় চক্রবর্তী জানান কাজের সময় শেষ হবে জুন মাসে। এখনও হাতে সময় আছে। আমি চেষ্টা করছি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে শতভাগ কাজ শেষ করাতে।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়