মোঃ আশিকুর রহমান, সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরায় দু’দিনে তিনটি আত্মহত্যাসহ ৬টি অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, সোমবার (১ এপ্রিল) তালা উপজেলার কপোতাক্ষ নদে অজ্ঞাত পরিচয় পুরুষের (৩৬) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাটকেলঘাটার বাহাদুরপুর খেয়াঘাটা নামক স্থান থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ। তালা পাটকেলঘাটা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অপু সরোয়ার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পাটকেলঘাটা থানার অফিসার ইনচার্জ রেজাউল ইসলাম রেজা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন।
এদিকে একই দিন কলারোয়ায় পৃথক স্থানে দুজন আত্মহত্যা করেছে। এদের একজন স্কুল ছাত্রী ও অপরজন গৃহবধূ। ওই ঘটনায় থানায় পৃথক দু’টি অপমৃত্যু মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার সোনাবাড়িয়া ইউনিয়নের ভাদিয়ালী গ্রামের মতিয়ার রহমানের স্কুলপড়–য়া মেয়ে শারমীন খাতুন (১২) অভিমান করে রবিবার রাতে নিজ বাড়িতে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করে। সে ভাদিয়ালী হাইস্কুলের ৭ম শ্রেণির ছাত্রী ছিলো। অপরদিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের আলমগীর গাজীর স্ত্রী রোজিনা খাতুন (৩২) নিজ বাড়িতে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। সূত্র আরো জানায়, সোমবার (১ এপ্রিল) আশাশুনির খরিয়াটিতে পুকুরে ডুবে সামিয়া (২) নামের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। সামিয়া আশাশুনি উপজেলার দরগাহপুর ইউনিয়নের খরিয়াটি গ্রামের আবুল খায়ের মোড়লের কন্যা। বাড়ির উঠানে খেলা করার সময় সবার অগোচরে সে পাশের পুকুরে পড়ে ডুবে যায়। এদিকে বিভিন্ন এনজিও থেকে নেয়া ঋণের কিস্তি দিতে ব্যর্থ হয়ে মানসিক কষ্টে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন গীতাদাসী মন্ডল (৪৬) নামে এক গৃহবধূ। তিনি উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বিশ^নাথপুর গ্রামের শ্মশান মন্ডলের স্ত্রী।
নিহত গৃহবধূর স্বামীর উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, ঋণে জর্জরিত হয়ে বেশ কিছুদিন যাবত মানসিক যন্ত্রণায় ভুগছিলেন গীতাদাসী মন্ডল। এক পর্যায়ে তিনি রবিবার (৩১ মার্চ) সকালে পরিবারের সবার অজান্তে নিজ বসতঘরের আড়ায় ওড়নার সাহায্যে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেন। এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা হয়েছে। একই দিনদর উপজেলার ভাড়ুখালি গ্রামে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে লিটন (১৭) নামের এক কলেজ ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। নিহত লিটন ওই গ্রামের শহিদুল ইসলামের একমাত্র ছেলে। সাতক্ষীরা সদর থানার অফিসার ইনচার্জ মোস্তফিজুর রহমান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply