শুক্রবার, ০২ জুন ২০২৩, ০৭:৪১ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
নীলফামারীতে ট্রেন আটকিয়ে মানববন্ধন ঢাকাসহ তাপপ্রবাহ বইছে ৬০ জেলায় সোনারগাঁয়ে ৭টি রেষ্টুরেন্টসহ দুই হাজার অবৈধ গ্যাস বিচ্ছিন্ন ১ জনকে আটক স্বাস্থ্যে বরাদ্দ বাড়ছে ১১৮৯ কোটি টাকা দাম কমবে ইন্টারনেটের ১৬১ টাকা কমলো ১২ কেজি এলপিজির দাম মেলান্দহের আদ্রা ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলামের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে কুচক্রিমহলের ষড়যন্ত্র! উত্তরা আব্দুল্লাহপুর বেড়িবাঁধ রেললাইন বস্তি অপরাধ মাদকের অভয়ারণ্য গুলশান-বনানীর বিস্তৃত এলাকার একচ্ছত্র মাদক সম্রাট হুমায়ুন কবির গাজী ক্ষমতার জোরে অন্যের জমি দখলের চেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর মোস্তফা কামালের বিরুদ্ধে; থানায় অভিযোগ

সাপাহারে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে আমের গুটি

Reporter Name
  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ এপ্রিল, ২০২৩
  • ২৭ Time View

 

 

সাপাহার (নওগাঁ) প্রতিনিধি :

 

ইতোমধ্যেই নওগাঁর সাপাহার উপজেলা আমের বানিজ্যিক রাজধানী হিসেবে দেশ-বিদেশে খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে। শুধু তাই নয় সাপাহারের আমের কদর বিদেশের মাটিতেও লক্ষ্য করা গেছে। প্রতি বছর এ অঞ্চল থেকে আম রপ্তানি হয় বিভিন্ন দেশে।

চলতি মৌসুমে উপজেলার আম বাগান গুলোর গাছে গাছে দেখা যাচ্ছে আমের গুটি। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এবারেও আমের বাম্পার ফলনের আগাম স্বপ্ন দেখছে আম চাষীগণ ।

গত মৌসুমে আমের বাজারদর ভালো ছিলো। যার ফলে চলতি বছরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় আম চাষ বেড়েছে। স্থানীয় চাষীরা ঝুঁকে পড়ছেন আমবাগান তৈরীতে।

এলাকার আমবাগান গুলো ঘুরে দেখা যায়, বর্তমান সময়ে বিভিন্ন বাগানের আমগাছ গুলোতে জ্বলজ্বল করছে আমের গুটি। এবছরের প্রথম দিকে আবহাওয়া প্রতিকূলে থাকলেও পরবর্তী সময়ে আবহাওয়া ভালো হওয়ায় আমের বর্তমান অবস্থা সন্তোষজনক ; বলছেন আমচাষীরা। বর্তমানে এই উপজেলায় বিভিন্ন জাতের আম চাষ হচ্ছে। যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য, আম্রপালি, বারি-৪, আশ্বিনা, হিমসাগর, লখনা, খিরসাপাত, কাটিমন সহ নানান জাতের আম। তবে তুলনামূলক ভাবে আম্রপালি চাষ হচ্ছে শতকরা ৭৬শতাংশ।
আবহাওয়ার পরিবর্তন না হলো এবারেও আমের বাম্পার ফলন হবে বলে ধারণা করছেন চাষীরা। বর্তমানে আমের তেমন রোগবালাই নেই। তবে উকুন পোকার কিছুটা আক্রমন রয়েছে। যার কারনে কৃসকদের যথাযথ পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে বলে জানান উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার মনিরুজ্জামান।
চলতি বছরে এই উপজেলায় ৯ হাজার ২শ’ ৫৫ হেক্টর জমিতে আম চাষ হচ্ছে। হেক্টর প্রতি ফলনের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে ১৫ মেট্রিক টন বলেও জানান এই কর্মকর্তা।

এ ব্যাপারে উপজেলার একাধিক আমচাষীর সাথে কথা হলে তারা জানান, আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব বাগান গুলোতে পূর্ণাঙ্গ আম দেখা যাবে। আমের জাতে ক্ষতি না হয় বা ঝরে না যায় সেজন্য পূর্ব অভিজ্ঞতা ও উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ অনুযায়ী বালাইনাশক ব্যাবহার করছেন এলাকার আমচাষীরা।

আগামীর সম্ভাবনায় স্বপ্ন নিয়ে বাগান পরিচর্যার কাজে ব্যাস্ত সময় পার করছেন উপজেলার আমচাষীগণ। কোন প্রকার প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছরেও আমের বাম্পার ফলনের আশা করছেন এলাকার আমচাষীরা।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়