সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি:
সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড ও গোদনাইল এলাকায় র্যাব-১১‘র পৃথক অভিযানে ৮ মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৪শ’ ২৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
শনিবার (৪ মে) বিকেলে র্যাব-১১ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ জসীম উদ্দিন চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। এর আরগে শুক্রবার (২ মে) বিকেলে ও গভীর রাতে র্যাব-১১ সদস্যরা এ অভিযান চালায়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন, মো. আবুল কালাম (৪৫), কামরুন নাহার ওরফে পিংকি (২৮), মোসা. রাবেয়া ওরফে শুক্লা (৪৮), মো. আবু ছালেক মিয়া (৩৪), মো. শওকত খান (৩০), মো. শফিকুল ইসলাম (৪৫), মো. আবু মুসা সিকদার (১৮) ও মো. আ. ছাত্তার গাজী (৪৫)।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গোদনাইলের অভিযানে ২০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ অভিযানে গ্রেপ্তারকৃত মো. আবুল কালামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালী থানায় হলেও সে দীর্ঘদিন ধরে নারায়ণগঞ্জের বসবাস করে আসছে। মাদক ব্যবসা তার একমাত্র পেশা। মাদক ব্যবসার দায়ে বহুবার আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিলেন তিনি। তার বিরুদ্ধে ৭টি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।
অপরদিকে, গ্রেপ্তারকৃত পিংকি ও তার মা শুক্লাও এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী। পিংকি মাদক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে ১ মাস পূর্বে জামিনে ছাড়া পেয়েছে। তারা সকলে দীর্ঘদিন ধরে পরস্পর যোগসাজশে মাদক ব্যবসা করে আসছে।
র্যাব আরো জানায়, সিদ্ধিরগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় সামাদবানু কমপ্লেক্সের ৫ম তলায় অবস্থিত শাপলা গেস্ট হাউজে দীর্ঘদিন ধরে আবাসিক হোটেলের অন্তরালে মাদক ব্যবসা, পতিতাবৃত্তি ও অসামাজিক অপকর্ম চালিয়ে আসছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত সেখানে মাদক সেবী, যৌন কর্মী ও খদ্দেরদের ভিড় লেগে থাকত। গ্রেপ্তারকৃত আসামীরা ও শাপলা গেস্ট হাউসের ৫ জন মালিক পরস্পর যোগসাজশে দীর্ঘদিন ধরে এই অবৈধ কর্মকান্ড পরিচালনা করে আসছে।
উল্লেখ্য, র্যাবের এ অভিযানে ২২০ পিস ইয়াবা, মাদক বিক্রির নগদ ২৩ হাজার ৭শ’ টাকা ও প্রায় ১ হাজার পিস কনডম ও ৫০ পিস লুব্রিকেটিং জেল উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃত আসামীদের বিরুদ্ধে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply