মোঃআবদুল আউয়াল সরকার:
শরীরের সুস্থতা আর কর্মচাঞ্চল্যের জন্য যেমন পরিচ্ছন্নতা বিষয়টা প্রয়োজনীয় তেমনি এর সাথে রয়েছে মনেরও গভীর সংযোগ।
কখনো খেয়াল করেছেন কি যে ঘর গুছানো থাকলে থাকতে ভালো লাগে, পরিপাটি বিছানায় শুয়ে পড়লেই ঘুম আসে অথবা পরিষ্কার সাবানের ঘ্রাণওয়ালা জামা পড়তেই একধরণের ভালো লাগা কাজ করে।
ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাসোসিয়েট প্রফেসর নিকোল কিথ ৯৯৮ জনের উপর গবেষণা করে দেখেছিলেন যাদের বাড়িঘর তুলনামূলক পরিচ্ছন্ন তারা অধিক সুস্থ ও কর্মক্ষম। ব্যাপারটা মজার না? তার কারণ হিসেবে বলা হয় যে, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা আমাদের নানা রোগ- জীবাণুর আক্রমণ থেকে আমাদের রক্ষা করে। তবু নানা কারণে পরিচ্ছন্ন থাকা ও কাজের জায়গা ও পরিবেশ গোছানো, পরিপাটি রাখা সম্ভন হয়না। সময় স্বল্পতা, দিনভর কাজের চাপে পরিচ্ছন্ন ও গোছানো থাকা যেমন কষ্টকর হয়ে উঠে তেমনি অনভ্যাসে এর উপকারিতা সম্পর্কেও আমরা ঠিক বুঝে উঠতে পারিনা।
পরিচ্ছন্ন পরিবেশে যে শুধু কাজের দক্ষতাই বৃদ্ধি পায় তা নয়। নিজের কাজ যথাসম্ভব গুছিয়ে রাখলে মানসিক চাপও কমে এবং যা প্রভাব ফেলে আপনার রাত্রিকালীন ঘুমেও। অফিসের টেবিল বা বাসায় পড়ার টেবিলটা আজ সুন্দর করে, পরিপাটি করে গুছিয়ে ফেলুন তো। টেবিলের পাশেই একটা ফুলের দানিও রাখতে পারে। মানিপ্ল্যান্ট বা পাতা বাহার হলেও মন্দ না। টেবিলের পাশেই রাখুন একটা শুকনো ময়লা, কাগজ ফেলার ঝুড়ি। সম্ভব হলে একটা সুগন্ধীর কৌটাও রাখতে পারেন। ক্ষণে ক্ষণে সুঘ্রাণ ভেসে আসবে। কাজ করতে ভালো লাগবে। বিছানার কাপড়টা বদলে আরামদায়ক, হালকা রঙের পরিষ্কার একটা চাদর ব্যবহার করুন। অন্যদিনের চেয়ে তাড়াতাড়ি ঘুম আসবে।
নিজের ঘর কিংবা অফিস, যেকোন জায়গাতেই পরিচ্ছন্নতা খুব গুরুত্বপূর্ণ। চিন্তা ভাবনা এবং সুস্থ মনের পেছনে পরিচ্ছন্নতার প্রভাব ভীষণ।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply