তালতলী(বরগুনা)প্রতিনিধি:
সেই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটানো শাহাদাত কে নিয়ে কয়েকটি গনমাধমে সংবাদ প্রকাশিত হলে তার বাড়িতে রাতের আধাঁরে খাদ্য সহায়তা নিয়ে যান তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামন ।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড়বগী ইউনিয়নের বাধঘাট এলাকার বসিন্দা শাহাদাত ফরাজী ঢাকার একটি গার্মেন্টসের কাজ করতো। কিন্তু গত চার মাস আগে মটরসাইকেল দুর্ঘটনার শিকার হয়ে দুটি পা অচল হয় । পরে বাধঘাট এলাকার একটি আশ্রায় প্রকল্পের একটি রুমে বসবাস শুরু করেন । রোজগার করার মত নেই পরিবারে কোনো সদস্য । করোনা ভাইরাসের ভিতরে এখনও কোনো সরকারি ত্রাণ পাননি তিনি। যা সঞ্চয় ছিল তা দিয়ে চার মাস সংসার চালাচ্ছেন। সেই সামান্য সঞ্চয়ও শেষ। ঘরের খাবার ফুরিয়ে গেছে। নতুন রোজগারের মানুষ না থাকায় দেখা দিয়েছে খাদ্য সংকট। আর সবেমাত্র এক ছেলে এসএসসি পরিক্ষা দিয়েছেন ও তিন বছরের একটি মেয়ে । ঘর থেকে বের হতে পারে শাহাদাত আর ধার দেনা করারও কোনো সুযোগ নেই।গনমাধমে
গত কয়েকদিন ধরে দুই সন্তান, স্ত্রীসহ ৪ সদস্যের পরিবার নিয়ে অনাহারে-দিন কাটছে তার পরিবার । কয়েকটি গনমাধমে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
পরে তালতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান গতকাল রাত ১২টার দিকে সেই শাহদাত ফরাজীর বাড়িতে খাদ্য সহায়তা নিয়ে বাড়িতে যায়। এর আগে ব্যক্তিগত উদ্যেগে তালতলী সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মানবজিমন পত্রিকার তালতলী প্রতিনিধি মো. খাইরুল ইসলাম ও তালতলী ব্লাড ডোনার ক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা মো. ফয়সাল আহম্মেদ,হাইরাজ মাঝি শাহদত ফরাজীল বাড়িতে খাদ্য সামগ্রী দিয়ে আসনে।
শাহদাত ফরাজীর বলেন একদিকে করোনা অন্যদিকে আমার পা দুইটা অচল তাই আর রোজগারের কোনো পথ নেই। যা সঞ্চায় ছিলো তা খেয়ে ফেলেছি। এই অনাহারে-অর্ধাহারে দিন কাটালেও কোনো জনপ্রতিনিধি কেউ সাহায্য করেনি। এইসময় রাতে আধারে আমার বাসায় দরজার কড়া নাড়ছেন ইউএনও। পরে দেখি খাদ্য সহায়তা নিয়ে আমার বাসায় তিনি। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আমার বাড়িতে খাদ্য সহায়তা পৌঁছে দেওয়া আমরা খুব খুশি হইছি। পাশাপাশি সাংবাদিকদের ধন্যবাদ দিয়ে বলেন তারা না থাকলে হয়তো আমার পরিবারের খোজ খবর কেউ নিতো না।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসাদুজ্জামান বলেন দৈনিক মানবজমিন পত্রিকায় নিউজ দেখে তাকে খাদ্য সহায়তা আমি নিজে গিয়ে পৌছে দিয়েছি। ভবিষৎতে তাকে সরকারীভাবে সকল ধরনের সহযোগিতা করা হবে।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply