মোর্শেদ আলী মারুফ :
সাভারে নুরুজ্জামান নামের (৫৬) ব্যবসায়ী ও তার ছেলে রবিন (৩১) কে সাভার পৌরসভার-৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তার বাসায় আটকে রেখে লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারপিট করার অভিযোগ উঠেছে। ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী সাভার পৌর এলাকার একতা প্রিন্টিং প্রেসের মালিক।
নুরুজ্জামান ও তার ছেলে রবিনের সাথে কথা বলে জানা যায়,নির্বাচনকালীন সময়, কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তার বিপক্ষে নির্বাচন করেছিলেন, মোশাররফ হোসেন সেই নির্বাচনী পোস্টার কেন এই প্রতিষ্ঠান থেকে প্রিন্ট করা হয়েছিল তাই তাদের উপর এই অমানবিক অত্যাচার।
নুরুজ্জামানের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হওয়ায় বর্তমানে তিনি সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন আছেন বলে জানা গেছে।
ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীর ছেলে ঈসমাইল হোসেন রবিন বলেন, আমি (৬ আগস্ট) ওই কাউন্সিলরের বাসার পাশের কবর জিয়ারত করতে ছিলাম। ওই সময় কাউন্সিলরের ভাইয়ের ছেলে সাদ্দাম আমাকে ডেকে বাসার নিচে নিয়ে যায়। তারপর সাদ্দাম ও তার ভাই আমাকে চড় থাপ্পড় মারতে থাকে এবং বলে তোর বাবাকে মোবাইল কর। এরপর আমি আমার বাবাকে কল করে তাড়াতাড়ি আসতে বলি। আমার বাবা আসলে বাবার সামনেই আমাকে মারতে থাকে। তখন আমার বাবা আমাকে রক্ষা করতে গেলে কাউন্সিলরের সহকারী সোনা মিয়া ও সাদ্দাম আমার বাবাকে লাঠি দিয়ে মারতে থাকে। মারধরের এক পর্যায়ে বাবার শরীরের বিভিন্ন জায়গায় জখম হয়। তখন আমাদের চিৎকার শুনে বাহির থেকে লোক এসে আমাদের উদ্ধার করে সাভার উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে যায়।
কার কবর জিয়ারত করতে ছিলেন-এমন প্রশ্নের জবাবে রবিন বলেন, কবরটি কাউন্সিলর মুক্তার বড় ভাই সাবেক কাউন্সিলর মজনুর। কবর জিয়ারত করতে আমার ভালো লাগে। তাই চলতি পথে কবর দেখলেই আমি জিয়ারত করি।
সাভার মডেল থানায় ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করেছেন, ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সাভার মডেল থানার পুলিশ অফিসার জাহিদুল ইসলাম জিকু বলেন অভিযোগ পেয়েছি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এ ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে কাউন্সিলর সানজিদা শারমিন মুক্তা বলেন, আমি এখন কিছুই বলতে পারব না। বিকালে সবাইকে আসতে বলেছি। সেখানে একসঙ্গে সবাইকে বলব।
এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়
Leave a Reply