শুক্রবার, ২৪ মার্চ ২০২৩, ০৩:৩৪ অপরাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম :
শেরপুরে জনসচেতনামূলক বিট পুলিশিং সমাবেশ অনুষ্ঠিত পুতিনকে গ্রেপ্তার প্রচেষ্টার অর্থ রাশিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা ব্রয়লার মুরগি: খামার পর্যায়ে ১৯০-১৯৫ টাকা নির্ধারণ, খুচরায়ও কমবে কল্যাণ ও সৌভাগ্যের বার্তা মাহে রমজান নীলফামারীতে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে টি-টুয়েন্টি ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ভুয়া প্রজ্ঞাপনে সালনা নাসির উদ্দিন স্কুল এন্ড কলেজে  অবৈধভাবে নিয়োগ শিক্ষক ইফতেখারকে   উত্তরখান থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ আবুল কালাম আজাদ বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর আইকন বনানীতে প্রশাসনের নিরব ভূমিকায় ফুটপাত দখল শেষ, রাস্তা দখলে মরিয়া রমজান মাস উপলক্ষে কালিয়াকৈরে ইফতার সামগ্রী বিতরণ  অফিস সহায়কের প্রতি অমানবিক আচরণে প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

হবিগঞ্জে ফিলিং স্টেশনে গ্যাস সঙ্কট, বেড়েছে ভাড়া

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ জানুয়ারী, ২০২৩
  • ২৪ Time View

 

 

 

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

হবিগঞ্জের ফিলিং স্টেশনগুলোতে গ্যাসের সঙ্কট দেখা দিয়েছে। এ কারণে প্রায় ১৪ হাজার সিএনজি অটোরিকশার চালক বিপাকে পড়েছেন। মূলত ফিলিং স্টেশনে এক মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস নির্দিষ্ট সময়ের আগেই বিক্রি হয়ে যাওয়ায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

এদিকে, শায়েস্তাগঞ্জ-হবিগঞ্জ, বানিয়াচং-হবিগঞ্জ রোডে চলাচলকারী অটোরিকশা গুলোর চালকদের যাত্রীদের কাছে থেকে দ্বিগুণ ভাড়া নিতে দেখা গেছে। এ কারণে যাত্রী ও চালকদের মধ্যে প্রায়ই কথা কাটাকাটি হচ্ছে।

মজুদ শেষ হওয়ায় গতকাল শুক্রবার থেকে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা দিয়েছে হবিগঞ্জ শহরের বহুলা এলাকার এম হাই অ্যান্ড কোং নামের একটি ফিলিং স্টেশন। ফলে হবিগঞ্জ সদর, লাখাই, শায়েস্তাগঞ্জ, বানিয়াচং, আজমিরীগঞ্জ ও নবীগঞ্জ উপজেলায় চলাচলকারী অটোরিকশাগুলো গ্যাস পাচ্ছে না।

একই অবস্থা মিরপুর ফিলিং স্টেশন, মাধবপুরের আল আমিন ফিলিং স্টেশন ও সেমকোসহ ৭টি ফিলিং স্টেশনেরও। তারা আনুষ্ঠানিক বন্ধের ঘোষণা না দিলেও গ্যাস সরবরাহ করতে পারছে না।

এম হাই অ্যান্ড কোং ফিলিং স্টেশনে গিয়ে দেখা গেছে, শত শত অটোরিকশার চালক লাইন ধরে দাঁড়িয়ে আছেন। গ্যাস সরবরাহ বন্ধ রাখার ঘোষণা আসায় তাদের চোখেমুখে হতাশা।

অটোরিকশার চালক তারেক আহমেদ বলেন, এক সপ্তাহ গ্যাস পাবো না। রুটিরুজি বন্ধ থাকবে। কিভাবে পরিবার নিয়ে চলবো বুঝতে পারছি না।

আরেক চালক কাজল মিয়া জানান, গ্যাসের সঙ্কট চলছে। এজন্য নিয়মিত লাইনে গাড়ি চালানো যাচ্ছে না। আয়-রোজগার কমে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছি।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হবিগঞ্জ জেলায় ফিলিং স্টেশন রয়েছে ৮টি। এর মধ্যে ৭টি ফিলিং স্টেশনই চলতি মাসের জন্য বরাদ্দ পাওয়া গ্যাস শুক্রবারের মধ্যে বিক্রি করে ফেলেছে। এ জন্য ফেব্রুয়ারি মাস শুরু হওয়ার আগে তারা আর গ্যাস বিক্রি করতে পারবেন না।

সিএনজি অটোরিকশা সমিতির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক নেতা জানান, জেলায় রেজিস্ট্রেশন করা প্রায় ৯ হাজার ও রেজিস্ট্রেশনবিহীন আরও ৫ হাজার সিএনজি অটোরিকশা আছে। জেলার ৮টি ফিলিং স্টেশনের মধ্যে সাতটিতেই গ্যাস সরবরাহ বন্ধ থাকায় চালকরা এখন বেকার। কেউ কেউ জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তরলীকৃত পেট্রোলিয়াম গ্যাস বা এলপিজি দিয়ে গাড়ি চালাচ্ছেন। এ কারণে তারা অনেকটা বাধ্য হয়ে অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছেন।

এ বিষয়ে কথা বলতে চাইলে ফিলিং স্টেশনগুলোর মালিক পক্ষ্য কোনো কথা বলতে রাজি হননি।

 

 

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

More News Of This Category

এই সাইটের কোন লেখা কপি পেস্ট করা আইনত দন্ডনীয়